পাহাড় নিয়ে ধারণা পরিবর্তন করা জরুরী|মুক্তমত|

0
rbt

লেখক তাহামিদুল ইসলাম: পাহাড়ী মানে শুধু চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তনচইঙ্গা, খুমি, ম্রো, বম না। পাহাড়ে বাঙালীরাও আছে। হিন্দু আছে, মুসলমান আছে, বড়ুয়া আছে।

পাহাড়ে থাকা বাঙালীরা সবচেয়ে শোষিত মানুষ। পাহাড়ে চাকরীতে সব কোটা উপজাতিদের জন্য। আবার তাদের জন্য সমতলেও কোটা আছে। কিন্তু পাহাড়ে থাকা গরীব বাঙালীদের জন্য সেটাও নাই। তাই আপনার পাহাড়ী বাঙালী কোনো বন্ধু নাই, আপনি চিনেনও না।

ফেসবুক পোস্ট

বৃটিশরা চাকমাদের আনুগত্যের বিনিময়ে এক বিশাল সুবিধা দিয়ে রেখেছিল। এখনো সেই আইনই চলে সেখানে।
যেকোনো কিছুর জন্য রাজার সার্টিফিকেট লাগে। জমি কিনতে, এমনকি বিয়ে করতেও লাগে। রাজার সার্টিফিকেট ছাড়া বিয়েও বৈধ নয়।
পাহাড়ী বাঙালীদের এই সার্টিফিকেট পাওয়া খুবই কঠিন। অথচ বার্মা বা মিজোরাম থেকে আসা একজন উপজাতি সহজেই সেটা পায়।
পাহাড়ে সরকারী চাকরী গুলো প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় সব চাকমা আর অল্প কিছু অন্য উপজাতিদের জন্য বরাদ্ধ। ৮০%ই তাদের।
চতুর্থ শ্রেণীর চাকরী গুলো আপনার আমার ভাষায় কথা বলা লোকেরা পায়।
জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদে একটু খোঁজ নিলেই এই তথ্যের সত্যতা পাবেন।

তো পাহাড়ে থাকা এই বাঙালীরা না উপজাতি কোটায় এসে ইউনিভার্সিটি বা মেডিকেলে পড়তে পারে, না বিসিএস দিয়ে ক্যাডার হয়, না ছোট চাকরী করতে পারে।
এরা আপনার আমার ট্যুর গাইড হিসেবেই কাজ করে, ছোট খাটো ব্যবসা করে।
সেটার জন্যও আবার শান্তিবাহিনীকে চাঁদা দিতে হয়।

সূত্রTahmiud Islam
আগের পোস্টপাহাড়ে সকলকে শান্ত থাকার আহবান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।
পরের পোস্টপাহাড়ের উপজাতিরা কী আদিবাসী: তাহামিদুল ইসলাম।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন