পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পায়তারা করছে চাকমা রাণী ইয়েন ইয়েন।

0

 

 

পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক উস্কানিদাতা হিসেবে চাকমা কথিত রাণীর বিরুদ্ধে বরাবরই সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ। বিগত কয়েক বছর ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার যেনো ইয়েন ইয়েনের নোংরা অভ্যাসের পরিণত হয়েছে। নারীবাদী হিসেবে পাহাড় নিয়ে জঘন্যতম মিথ্যাচার কিছুই থামছে না। তার এই বেপরোয়া কর্মকান্ড পাহাড়ের শান্ত পরিবেশ অশান্ত হচ্ছে। সেসাথে পাহাড়ি বাঙালির মধ্যে বড় ধরনের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাহাঙ্গা তৈরি হওয়ার উপক্রম হয়েছে৷ পার্বত্য চট্টগ্রামের ঘটনা প্রবাহকে সাম্প্রদায়িক রং দিয়ে প্রায়শ্চই সোশাল মিডিয়া নিজের ফেইসবুক থেকে মিথ্যা বানোয়াট ও কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। জানা যায় এসব করে তিনি উপজাতি উগ্রবাদী অংশ এবং আঞ্চলিক সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করে চাকমা সার্কেল তথাকথিত চাকমা রাজবংশে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে নানান অপতৎপরতার আশ্রয় নিয়েছেন। নারীবাদী, প্রগতিশীল চিন্তার আড়ালে তার রয়েছে করুচিপূর্ণ হীন্য মানসিকতা।

চাকমা রাণীর ফেসবুক স্ট্যাটাস

চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়ের দ্বিতীয় পত্নী হিসেবে আসার পর থেকে এই রাখাইন বার্মিজ নারী পাহাড়ের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে উঠেপড়ে লেগেছে। তার এমন কর্মকাণ্ডে বিব্রতবোধ করছে চাকমা সমাজের মানুষ। চাকমাদের দাবি মায়ের থেকে মাসির দরদ বেশি৷ নিজে চাকমা না হয়েও রাখাইন নারী হয়ে চাকমা সার্কেল চীফ কথিত রাজাকে বশ করতে একের পর বিতর্কিত কাজ করে যাচ্ছেন। যা চাকমাদের মানসম্মানে আঘাতের সামিল। রাণীর এই বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে রাজা দেবাশীষ রায়ের সঙ্গেও তার বনিবনা হচ্ছে না বলে জানা গেছে।

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পূর্বে যেভাবে পত্রপত্রিকাগুলো একতরফাভাবে পাহাড়িদের পক্ষে সাফাই গাইত আর পাহাড়ি বাঙালি সংঘর্ষের ঘটনাগুলো বাঙালিদের উপর চাপিয়ে দিত; এখন সেটার কিছুটা পরিবর্তন এসেছে৷ গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বরের) বিকাল থেকে সন্ধ্যা পরবর্তী সময়ে খাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলায় পাহাড়ি বাঙালি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খাগড়াছড়িতে মামুন নামে এক বাঙালি যুবকে গত ১৮ সেপ্টেম্বর পাহাড়িরা হত্যা করে। এই হত্যার বিচার দাবিতে দীঘিনালায় বাঙালিরা বিক্ষোভ করে। এই বিক্ষোভ মিছিলে আঞ্চলিক দলের সহযোগী অঙ্গসংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সন্ত্রাসীরা অতর্কিতভাবে হামলা করে। যার রূপ নেয় পরবর্তীতে পাহাড়ি বঙালি সংঘর্ষে। এসময় কে বা কাহারা দীঘিনালা বাজারের দোকানে আগুন দেয়। সংঘর্ষের সময় পাহাড়ি বাঙালি উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ গুরুতর আহত হন। এই ঘটনার বাস্তবিক বিষয়বস্তু পত্রপত্রিকা গুলোতে উঠে না আসলেও তার আংশিক প্রকাশিত হয়েছে। ডেইলি স্টার পত্রিকা সংবাদ শিরোনাম করেছে “দীঘিনালায় পাহাড়ি বাঙালি সংঘর্ষ; দোকান বাড়িঘরে আগুন।” এই আংশিক সত্য প্রকাশিত হওয়ার পর বেজায় চটেছেন উগ্র সাম্প্রতিক চাকমা রাণী ইয়েন ইয়েন। সে এর প্রতিবাদে ডেলি স্টার পত্রিকার চট্টগ্রাম সাংবাদিককে হুমকি প্রদর্শন করেছে। তার ফেসবুক আইডি থেকে হুমকি প্রদর্শন করে পত্রিকার প্রকাশিত অনলাইন সংবাদের স্কিনকপি শেয়ার করে ক্যাপসন দেন ” দ্য ডেইলি স্টার বাংলার “নিজস্ব সংবাদদাতা, চট্টগ্রাম” মহোদয়,
মিথ্যে ও ভুল তথ্য দিয়ে এই বিভ্রান্তিকর জবরজং রিপোর্টটি সরিয়ে নিন অথবা সঠিক তথ্য উপাত্ত দিয়ে রিপোর্টটি এডিট করে এরপর প্রচার করুন। আপনাকে চিনে নিব, আপনার সাথে দেখা হবে, নিশ্চিত।”

ইয়েন ইয়েনের এই হুমকির প্রেক্ষিতে ডেইলি স্টার সংবাদটি সরিয়ে নেন! পরে আবার ইয়েন ইয়েন ফেসবুকে লিখেন, “ডেইলি স্টার বাংলার নিউজ সরিয়ে নেয়াতে সাধুবাদ জানাই। আমার পোস্টটিও আড়াল করে রাখছি।”

সর্বশেষ এখন আমাদের একটি প্রশ্ন এই উগ্র সাম্প্রদায়িক নারী এত সাহস ও ক্ষমতা কোথায় পায়? যার হুমকির প্রেক্ষিতে ডেইলি স্টারের মত প্রভাবশালী পত্রিকা সংবাদ সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়? এই নারীর ক্ষমতার জোর কোথায়??? পাহাড় নিয়ে ফেসবুকে মিথ্যাচার করার পরও তার বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে সাম্প্রদায়িক উস্কানিদাতা হিসেবে মামলা হয়না?

 

আগের পোস্টবান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদে বাঙালি ভাইস-চেয়ারম্যান পদ সৃষ্টির দাবি।
পরের পোস্টইউপিডিএফ প্রসিত সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত ২।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন