সাজেকে আটকা পড়া পর্যটক সেনা সহায়তায় ফিরতে শুরু করেছে।

0

হিল নিউজ বিডি প্রতিনিধি: গত ১৮, ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি, দীঘিনালা ও রাঙামাটি পাহাড়ি বাঙালির মধ্যে সাম্প্রদায়িক জাতিগত দাঙ্গা সংঘটিত হয়। এসময় রাঙামাটি সাজেকে প্রায় দেড় হাজার পর্যটক অবস্থান করেছিল।
জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভ্রমণ পিয়াসু পর্যটকরা অবকাশ যাপনে বাঘাইছড়ি সাজেক আসেন। কিন্তু খাগড়াছড়ি নিউজিল্যান্ড এলাকায় এক বাঙালি যুবকে উপজাতিরা পিটিয়ে হত্যা করার পর পাহাড়ি ও বাঙালির মধ্যে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে৷ এই উত্তাপ খাগড়াছড়ি থেকে রাঙামাটিতেও ছড়িয়েছে। প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জারি করেন ১৪৪ ধারা। এছাড়াও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ৭২ ঘন্টা অবরোধের ডাক দেয়। যার ফলে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়৷ আটকা পড়ে পর্যটকরা।

অদ্য মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তায় সাজেকে আটকা পড়া পর্যটকবাহী পিকআপ-চাঁদের গাড়িসহ অনান্য ১১২টি, সিএনজি ২৩টি ও মোটরসাইকেল ১০৯টি সাজেক থেকে নেমে আসতে শুরু করেছে।

এর আগে রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকতা শিরিন আক্তার বলেন, দীঘিনালার ঘটনার পর অবরোধ ঘিরে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় এসব পর্যটকেরা আটকা পড়েন। যান চলাচল শুরু হওয়া পর্যটকদের তাদের গন্তব্য পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

আটক পড়া পর্যটকরা ফিরতে শুরু করায় সবার মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এতদিন সাজেকে পরিবহন বন্ধ ছিল অন্যদিকে টানা কয়েকদিন পর্যটকরা আটকে থাকায় সাজেকের পর্যটন কর্টেজ গুলোতে খাবার পানি ও খাদ্য সংকট তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে সেখানে একটা সংকট তৈরি হয়েছিল৷ পর্যটকদের পরিবারের সদস্যরাও আতঙ্কে ছিল। সর্বশেষ পর্যটক ফিরতে শুরু করায় সবাই সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।

আগের পোস্টকাউখালীতে ইউপিডিএফ কর্তৃক গ্রামবাসীদের নির্যাতনের অভিযোগ।
পরের পোস্টকক্সবাজারে সন্ত্রাসীদের হাতে সেনা কর্মকর্তা নিহত।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন