এ যেন পাহাড় নয় এক বন্দী খাচা।
পাহাড়ে বসবাসকারী উপজাতিদের যতটা নিরীহ ভেবেছিলাম তারা যে ততটাই হিংস্র এবার সাজেকে ঘুরতে না আসলে বুঝতে পারতাম না। বন্ধুদের সাথে সাজেক ভ্রমণে এসে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটির অসম্প্রদায়িক ঘটনার প্রেক্ষিতে উপজাতি সন্ত্রাসীরা আমাদেরকে মোটামুটি বন্দী করে ফেলে সাজেকে। আশেপাশের পাহাড়ির আমাদের ভয় দেখাতে থাকে যে, সাজেক থেকে ফেরার পথে সব জায়গায় অস্ত্রধারীরা রয়েছে এবং বের হলেই তারা গুলি করবে। পরিবার পরিজন বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে কি যে এক আতঙ্ক তা বলে বোঝাতে পারবো না। সেই সময় শুধু মনে হচ্ছিল বিভিন্ন জায়গায় শোনা বাঙালিদের উপর পাহাড়িদের গণহত্যা চালানোর ঘটনাগুলো। দিন রাত শুধু আল্লাহকেই ডেকেছি। একটা সময় হোটেলের খাবার পানি সবকিছু শেষ হয়ে আসলে শুরু হয় নতুন দুর্যোগ। আশেপাশের একটা পাহাড়িও হয়ে এগিয়ে আসেনি সাহায্য করতে। হয় তারাও উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের বয় আসেনি অথবা তারা জাতিগতভাবেই বাঙ্গালীদের কেউ দেখতে পারে না।
এই বিপদের সময়ে, আমরা সবাই উপলব্ধি করেছি কেন পাহাড়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী রয়েছে। সেই ভয়ংকর মুহূর্তে আমাদের একমাত্র ভরসার জায়গা ছিল যে সেনাবাহিনীরা পাশেই আছে। তাদের কাছে আমাদের সকল সমস্যার কথা তুলে ধরলে, তারা এই ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্যেও সব পর্যটকদের জন্য পানি ও খাবার সহ প্রয়োজনীয় সকল জিনিসের ব্যবস্থা করে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বাংলার দেশের গর্ব তার প্রমাণ আমরা আবার পেয়েছি।
পাহাড় বাঙালিদের জন্য নিরাপদ নয়। সেখানে প্রচুর উপজাতীয় অস্ত্রধারীরা রয়েছে যাদের কাছে পাহাড় জিম্মি। আমরা এর প্রত্যক্ষদর্শী। শুধুমাত্র সেনাবাহিনীর কারণেই বাঙালিরা এখানে আসতে পারছে। তাই সকলে প্রতি অনুরোধ জানাই যে যত দিনে পাহাড়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় আপনারা কেউ সাজেক ও অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভ্রমণে আসা থেকে বিরত থাকুন।