পাহাড়ে চলমান পাহাড়ি বাঙালি দাঙ্গা পরিস্থিতিতে সাজেকে ভ্রমণকারী অনেক পর্যটকেরই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা শুনলাম। আসলে বিষয়টি নতুন কিছু নয়। সাজেক নিয়ে আমার নিজেরও রয়েছে একটি ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা আপনাদের সবার কাছে তা শেয়ার করছি।
গত ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে আনুমানিক দুপুর সাড়ে ১২ ঘটিকায় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক পর্যটনে বন্ধুরা মিলে বেড়াতে যাওয়ার পথে আমরা হঠাৎ করে কিছু লোকজনের সম্মুখীন হই। তারা আমাদের কাছে থেকে বেশ মোটা অংকের টাকা দাবি করে এবং আমরা দিতে অস্বীকার করলে আমরা অপহরণের শিকার হই। আমার ধারণা তারা স্থানীয় আঞ্চলিক কোন সন্ত্রাসী সংগঠনের লোক হবে। কারণ তাদের সবার কাছে অস্ত্র ছিলো। আমরা ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারিনাই।
দীর্ঘ ৬ ঘন্টা পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের উদ্ধার করতে আসে। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে নিরাপদে আমাদের সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। আমাদের কোন সমস্যা হয়নি কারণ আমাদের সেনাবাহিনী আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা সবই দিয়েছে এবং আমরা আমাদের বাসায় পৌছাতে সক্ষম হয়েছি।
আমাদের মত অনেকেই পার্বত্য চট্টগ্রামে ভ্রমণে গিয়ে অপহরণের শিকার হচ্ছে। পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন গুলোর আধিপত্য রয়েছে, যে আমি নিজে প্রত্যক্ষ করেছি। এবং জীবনে আর কখনো পারে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আছে বলে এখনো ভ্রমণ পিপাসুরা পার্বত্য চট্টগ্রামে যেতে পারছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের আধিপত্য বন্ধ করতে সেনাবাহিনীর ভূমিকা অনস্বীকার্য।