মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করে বাঙালি শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করে উপজাতিরা।

0

জিহান মোবারক, খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক সোহেল রানাকে ইউপিডিএফ দীর্ঘদিন থেকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করতে নানা ষড়যন্ত্র করে আসছে। সে ষড়যন্ত্র আজ বাস্তবায়ন করেছে পিটিয়ে মারার মধ্য দিয়ে। ইতোমধ্যে আপনারা দেখেছেন ইউপিডিএফ পাহাড়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে দিচ্ছে৷ অদ্য ১ অক্টোবর সকাল ৯ ঘটিকা থেকে খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক সোহেল রানা কর্তৃক দশম শ্রেণীর ত্রিপুরা ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে বা চেষ্টা করেছে এধরনের একটি মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সয়লাব করে। যদিও তা উদ্দেশ্য প্রণোদীত গুজব। ধর্ষণ গুজব ছড়িয়ে পাহাড়িদের কলেজে আসতে বলে পাহাড়ি সংগঠন পিসিপি। এরপর উত্তেজিত পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা কলেজে প্রবেশ করে শিক্ষক সোহেল রানাকে মিথ্যা বানোয়াট (কথিত ধর্ষণ) অভিযোগে পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। জানা গেছে পাহাড়িরা গুজব রটিয়ে খাগড়াছড়ি সদর এলাকায় বাঙালিদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে৷ এতে অনেক বাঙালি আহত হয়েছে। পাহাড়িদের ঘর থেকে লাঠিসোঁটা নিয়ে খাগড়াছড়ি কলেজ ও সদরে আসতে বলে পাহাড়ি সংগঠন পিসিপি। যার কারণে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাসহ অনেক হামলার ঘটনা ঘটে। পুরো কলেজ ক্যাম্পাস ভাংচুর করে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা৷ এসময় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

খাগড়াছড়িতে বড় ধরনের দাঙ্গা সৃষ্টি করতে ১ অক্টোবর সকাল থেকে ইউপিডিএফ ও তার সহযোগী অঙ্গসংগঠন মিথ্যা ও বানোয়াট ধর্ষণ অভিযোগ সয়লাব করাসহ অদ্য তারিখ হইতে টানা দিনদিন স্কুল কলেজের ক্লাস বর্জন করেছে৷ মূলত ইউপিডিএফরের এসব কর্মকাণ্ড পাহাড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে।

জানা গেছে কলেজের ইন্সট্রাক্টর (বিল্ডিং মেইনটেন্যান্স) ও বিভাগীয় প্রধান শিক্ষক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানাকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করে সন্ত্রাসীরা। সোহেল রানার বিরুদ্ধে এক পাহাড়ি ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা হয়েছিল। ওই ছাত্রী আদালতে এসে সাক্ষ্য দেয় তিনি কোন ধর্ষণের শিকার হননি। পাহাড়ি একটি সংগঠনের চাপে মামলা করেছে মর্মে সাক্ষ্য দিলে সোহেল রানা খালাস পান এবং চাকরিতে যোগদান করেন। সোহেল রানা চাকরিতে যোগদানের পর থেকে পাহাড়ি ছাত্ররা তার বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির নানা অভিযোগ এনে প্রত্যাহার দাবি করে আসছিল। আজ ওই শিক্ষক বিদ্যালয় এলে ত্রিপুরার এক ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ এনে শিক্ষককে হত্যা করা হয়। সন্ত্রাসীদের প্রতিবাদের মুখে ওই শিক্ষক আজ বিদ্যালয় রিলিজ অর্ডার নিতে এসেছিলেন। কিন্তু তাকে সেই সুযোগ দেয়া হলো না।

২০২১ সাল থেকে শিক্ষক সোহেল রানাকে বাঙালি হওয়ার কারণে কলেজ থেকে বহিষ্কার করতে ধর্ষণ তকমা দিয়ে হয়রানি করে আসছে ইউপিডিএফ ও তার সহযোগী অঙ্গসংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ। সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে কলেজে স্বপদে বহাল করা হয়। এরপর থেকে উক্ত শিক্ষককে কলেজ থেকে বহিষ্কার করতে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিল আঞ্চলিক দল ইউপিডিএফ। তারা পার্বত্য পরিস্থিতি অশান্ত করে রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্য আদায়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করতে তৎপরতা চালাচ্ছে।

জেলার খাগড়াছড়ি পানছড়ি সড়কে বাঙালিদের মোটরসাইকেল ভাংচুর করেছে ইউপিডিএফ। সর্বদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে৷

খাগড়াছড়ি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলা প্রশাসন খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতি থমথমে বিরাজ করছে।

 

আগের পোস্টবাঙালি শিক্ষকের বিরুদ্ধে কথিত ধর্ষণ অভিযোগ তুলে ষড়যন্ত্র করছে ইউপিডিএফ।
পরের পোস্টখাগড়াছড়িতে বাঙালি শিক্ষককে হত্যার ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন