খাগড়াছড়িতে শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষার আহ্বান সেনাবাহিনীর।

0

খাগড়াছড়িতে শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান।

বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুরে খাগড়াছড়ি রিজিয়নের কনফারেন্স রুমে স্থানীয় বাঙালি নেতা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বিশেষ মতবিনিময় সভায় এ আহ্বান জানান তিনি।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে রিজিয়ন কমান্ডার বলেন, ‘মঙ্গলবার খাগড়াছড়ি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের বিল্ডিং মেইনটেন্যান্স বিভাগের ইনস্ট্রাক্টর ও সিভিল কন্সট্রাকশন অ্যান্ড সেফটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানাকে ধর্ষণের অভিযোগে পাহাড়ি দুর্বৃত্তরা পিটিয়ে হত্যা করে৷ ওই ঘটনায় খাগড়াছড়ি জেলায় পাহাড়ি ও বাঙালি সম্প্রদায়ের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ফলে দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা ও দাঙ্গার জন্ম দিয়েছে।’

সংঘাত ও সংঘর্ষ এড়ানোর জন্য এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করারও আহ্বান জানিয়েছেন রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান।

তিনি বলেন, ‘ঘটনার প্রেক্ষিতে পাহাড়ি নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা হয়েছে। পাহাড়ি নেতারা তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছেন।’

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সপ্তম শ্রেণীর এক ত্রিপুরা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করে পাহাড়ি শিক্ষার্থী ও বহিরাগতরা। ঘটনার জেরে বিকেল থেকে শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয় পাহাড়ি-বাঙালিদের মধ্যে। সংঘর্ষে কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি বেশকিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও লুট করা হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মঙ্গলবার বিকেল ৩টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। আজ বুঝবার বিকেল ৩টা থেকে তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

আগের পোস্টপাহাড়ে এক কলেজ শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করেছে উগ্র উপজাতি সন্ত্রাসীরা।
পরের পোস্টখাগড়াছড়িতে শিক্ষক সোহেল হত্যা পূর্বপরিকল্পিত: হিমেল বাবু।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন