পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্প্রতি উদ্ভূত পরিস্থিতির অন্তরালে যে সহিংস ঘটনা ঘটেছে এর ফলে রাঙামাটিতে ব্যবসা বাণিজ্যসহ পর্যটনশিল্প ভীষণভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। রাঙামাটিতে হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যবসা-বাণিজ্য মুখ থুবড়ে পড়েছে। পর্যটন শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট হোটেল ও টুরিস্ট বোট মালিক- শ্রমিক প্রায় বেকার হয়ে পড়েছে। রাঙ্গামাটির অন্যান্য ব্যবসাও পর্যটক শূন্যতার কারণে স্থবির।
এখানে যে সমস্ত ঘটনা ঘটেছে তা একটু অনুসন্ধিষ্ণু দৃষ্টি দিয়ে দেখলে বুঝা যায় এখানকার পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে একটি পক্ষ সুপরিকল্পিতভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের সার্বিক পরিবেশ পরিস্থিতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করে হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার পাঁয়তারা করছে। বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় তাদের দাবি-দাওয়া আর ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। শান্তি চুক্তির পুনর্মূল্যায়ন ও আদিবাসী দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের বক্তব্য বিবৃতি অন্য কিছুর ইঙ্গিত বহন করে। ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর সম্পাদিত শান্তি চুক্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী পাহাড়িদের উপজাতি এবং বাঙ্গালীদের অ-উপজাতি হিসেবে লিখিত আছে। সেই অবস্থান থেকে সরে এসে এক পক্ষ নিজেদের আদিবাসী এবং অন্যপক্ষকে (বাঙালীদের) ‘সেটেলার’ বানিয়ে দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রথমত প্রয়োজন অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, চাঁদাবাজি, ঘুম ও হত্যা বন্দ করা এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ সৃষ্টি করা। এখানে বসবাসকারী ১৩ টি উপজাতি ও অ- উপজাতিদের সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে প্রশাসন তথা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করছি।