পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতিদের বিচার বহির্ভূত হত্যার দায়ভার কার?

0

পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচার বহির্ভূত হত্যার দায়ভার উপজাতি সংগঠনগুলোর ওপর বর্তায়। এই অঞ্চলের পরিস্থিতি জটিল এবং বহু বছর ধরে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংঘাতের কারণে এটি আরও গভীরতর হয়েছে। বিচার বহির্ভূত হত্যার দায়ভার নির্ধারণ করতে গেলে কয়েকটি প্রধান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের বিপক্ষের দিকে তাকাতে হয়:

স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী: পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন উপজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে সশস্ত্র গোষ্ঠী সক্রিয়, যেমন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (PCJSS), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (UPDF), গণতান্ত্রিক, সংস্কার, কেএনএফ প্রভৃতি। এ ধরনের গোষ্ঠীগুলি প্রায়ই নিজেদের রাজনৈতিক ও আঞ্চলিক স্বার্থ রক্ষা করতে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। নিজেদের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্বও এই হত্যাকাণ্ডের কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব পালনে বাধা: সব ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছে যে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক সময় উপজাতি সন্ত্রাসীরা তাদের বাধা মনে করে নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলা করে দায়িত্বরত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হত্যা করে, বিশেষ করে সেনাবাহিনী পার্বত্য অঞ্চলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধে পড়ে থাকে তখন তারা সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়। সাধারন মানুষের নিরাপত্তায় উপজাতি সন্ত্রাসী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে এসব ঘটনা ঘটে। তবে, অনেক সময় বিভিন্ন অভিযানে বের হলে সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালায়।

রাজনৈতিক ক্ষমতা ও প্রভাবশালী গোষ্ঠী: কিছু উপজাতি রাজনীতিক ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নিজস্ব স্বার্থ রক্ষা করতে এবং ক্ষমতা ধরে রাখতে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করে থাকে। স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের ফলে এ ধরনের ঘটনা সংগঠিত হয়ে থাকে।।

প্রশাসনিক অদক্ষতা: অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসনের অদক্ষতা এবং দুর্নীতির কারণে পার্বত্য অঞ্চলে ন্যায়বিচারের প্রক্রিয়া ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের ফলে জনগণের আস্থা কমে যায় এবং তারা আইন নিজের হাতে তুলে নিতে শুরু করে, যা সহিংসতা এবং বিচার বহির্ভূত হত্যার অন্যতম কারণ।

আধিপত্য বিস্তারঃ সন্ত্রাসী দলগুলো নিজেদের আধিপত্য বিস্তারিত করতে বিভিন্ন সময় সংঘাতে লিপ্ত হয়। একটি দল অপর দলের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়, গোপনে হামলা চালায় এবং বিভিন্ন ব্যক্তিদের টার্গেট করে হামলা চালিয়ে হত্যা করে। এই সমস্ত আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে অনেক সময় সাধারণ জনগন বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়।

চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে: বিভিন্ন স্থানে চাঁদা আদায় কে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী গ্রুপদের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি হয়। এর উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়।

এ ধরনের পরিস্থিতিতে, দায়ভার সন্ত্রাসীদেকেই নিতে হবে। সমস্যার মূল কারণগুলিকে চিহ্নিত করে সমাধান করতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দায়িত্ব পালনে বাধা, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির অস্ত্রকরণ, এটি অসহনীয় সংকেত। এর থেকে আমাদের উত্তোরণের জন্য
সংলাপের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘমেয়াদী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।

আগের পোস্টপাহাড়ের শান্তি কোন পথে: হান্নান সরকার মানবাধিকার কর্মী।
পরের পোস্টবান্দরবানে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের সন্মেলন: সভাপতি উবামং সম্পাদক জুয়েল ত্রিপুরা।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন