বৈষম্য বিরোধী কথিত পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলনের উস্কানিমূলক সংবাদ সম্মেলন!

0

পাভেল করাচিন: কোটা প্রথা বিলুপ্ত করতে গিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পতন করে প্রশংসায় পঞ্চমুখর। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে পাহাড়ে চলছে ব্যাঙের ছাতার মত প্ল্যাটফর্ম। এসব প্ল্যাটফর্ম আঞ্চলিক দলগুলোর বি-টিম হিসেবে কাজ করছে।

সাম্প্রতিক সময়ে গত ১৯/২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪-খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে এসব হামলার মূলে ছিল ‘বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন’ নামের একটি ব্যানার বা প্ল্যাটফর্ম।

স্থানীয় পাহাড়ি ও বাঙালিরা বলছেন, ইউপিডিএফ চাঁদাবাজি, অপহরণ ও খুন-গুমসহ রাস্ট্র বিরোধী কর্মকাণ্ডের কারণে সাধারণ মানুষের কাজে আজ ঘৃণার পাত্র। তাই তারা সরাসরি জনগণের সম্মুখীন হতে পারছেন না। পর্দার আড়াল থেকে কলকাঠি নাড়ছেন৷ বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন ব্যানারে পাহাড়ের সেনাবাহিনী, বাঙালি ও পার্বত্য পরিস্থিতির উপর মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য ছড়িয়ে দিয়ে জাতিগত সংঘাত ও সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা তৈরি করেছে৷ বর্তমানে বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন ব্যানার থেকে সাধারণ পাহাড়িদের উস্কানি দিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে৷
তারই ধারাবাহিকতায় অদ্য ২৪ অক্টোবর সকাল ১০:৩০ ঘটিকায় খাগড়াছড়িতে বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন সংবাদ সম্মেলন করে৷
এই সংবাদ সম্মেলনে যেসব পাহাড়ি ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত হয়েছেন তারা সবাই ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপের সহযোগী অঙ্গসংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও গণতন্ত্র যুব ফোরামের সদস্য।
তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার মত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনসহ এ অঞ্চলে সহাবস্থান তৈরি হয় এমন বক্তব্য রাখেনি। তারা বরাবরই ইউপিডিএফের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী বক্তব্য রেখেছেন৷ যেখানে জাতিগত ভেদাভেদ, হিংস্রা ও সংঘর্ষ সৃষ্টি হওয়ার মত বক্তব্য ছাড়া পাহাড়ি জাতিসত্তা তথা রাস্ট্রের কল্যাণে কোন বক্তব্য স্থান পায়নি।

ইউপিডিএফ বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন ব্যানারে পাহাড়িদের বিভ্রান্তি করার চেষ্টা করছে। একইসাথে পাহাড়ি জাতিসত্তাকে একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতে ধাবিত করার জন্য গভীর চক্রান্ত বাস্তবায়নে ইউপিডিএফের বি-টিম হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে ব্যানারটি।

পাহাড়ে এখন খ্যাতি অর্জন আর মাঠ দখলের একটা হাতিয়ার হচ্ছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম দিয়ে প্ল্যাটফর্ম খোলা। তাই পাহাড়ি আঞ্চলিক দলগুলো নিজেদের খেয়াল খুশি ও রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্য আদায়ে তথাকথিত পাহাড়ি ছাত্র সংগঠনকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ব্যবহার করছে।

গত ১৯/২০ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জাতিগত সহিংসতার ঘটনায় বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন ব্যানার থেকে উস্কানিমূলক স্লোগান ও মিছিল সভা-সমাবেশ ও সেনাবাহিনী, বাঙালি বিদ্বেষমূলক আচরণ থেকেই সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা মনে করেন।

ইউপিডিএফ একটি অনিবন্ধিত আঞ্চলিক দল। তারা কোন একটি ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠীর ইন্ধনে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদের মাধ্যমে এ অঞ্চলে স্বায়ত্তশাসন দাবি করছে৷ তাদের এই দাবিদাওয়া সম্পূর্ণ বাংলাদেশ সংবিধান পরিপন্থী৷ এর আগে ১৯৯৭ সালের চুক্তির মাধ্যমে সরকার পাহাড়ি জাতিসত্তার সকল মৌলিক অধিকার, নাগরিক অধিকারসহ বিভিন্ন দাবিদাওয়া পূ্রণ করে। পাহাড়ি জাতিসত্তা চুক্তির সুফল ভোগী হিসেবে আজকে শিক্ষা-দীক্ষা, চাকরি-বাকরিসহ উন্নত জীবনে প্রবেশ করেছে। বর্তমানে স্বায়ত্তশাসনসহ বিভিন্ন দাবিদাওয়া অন্যায় দাবি। ইউপিডিএফ একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন। সাধারণ পাহাড়িদের ব্যবহার করে বা ভুক্তভোগী করে পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে যা বিশ্বের দরবারে উপস্থাপন করে রাজনৈতিক সুবিধা আদায়সহ পার্বত্য চট্টগ্রামকে পৃথক করে আলাদা রাস্ট্র গঠন করারই মূল উদ্দেশ্য৷ তাই ইউপিডিএফসহ অন্যান্য আঞ্চলিক দল বি-টিম ব্যবহার করে পাহাড়ে একটা ঘোলাটে পরিস্থিতি তৈরি করতে নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

আগের পোস্টআলীকদমে থানায় ডেকে যুবককে নির্মম নির্যাতন ওসির।
পরের পোস্টরাজস্থলীতে মগপার্টির হামলায় গুরুত্বর আহত-২; প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন