নিজেস্ব প্রতিনিধি, হিল নিউজ বিডি: আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজির টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে পাহাড়ের দু’টি আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র দল উত্তাপ ছড়াচ্ছে।
গত ৪৫ দিন ব্যবধানে পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি (জেএসএস) সন্তু ও ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) প্রসিত মধ্যকার কয়েক ধাপে রক্তারক্তি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসব সংঘর্ষে উভয় সংগঠনের বেশ কয়েকজন হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয় জনগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে।
আজ রবিবার (১০ নভেম্বর) আনুমানিক ১১ ঘটিকার সময় জেএসএস প্রতিষ্ঠাতা এম.এন লারমার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার লোগাং এক শোকসভার আয়োজন করে সন্তু গ্রুপ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউপিডিএফ ও জেএসএস মুখামুখি অবস্থান নেয়। জানা গেছে, লোগাঙ বাবুরো পাড়াতে জেএসএস এর একটি সশস্ত্র গ্রুপ ইউপিডিএফ নেতাদের অবস্থান লক্ষ্য করে ব্রাশফায়ার করে। এসময় মিটন চাকমা নামে (২৮) ইউপিডিএফ এর এক সংগঠক নিহত হয়। নিহত মিটন চাকমা জেলার দীঘিনালা উপজেলাধীন উদোলবাগান গ্রামের সুশান্ত চাকমার ছেলে। ইউপিডিএফ পাল্টা গুলি ছুটলে এসময় জেএসএস এর কয়েকজন আহতের ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রগুলো বলছেন, মিটন চাকমা ইউপিডিএফ এর কালেক্টর হিসেবে এই এলাকায় চাঁদা উত্তোলন করে আসছিল। জেএসএস কয়েক বছর ধরে পানছড়ি এলাকাটি পুনরায় নিয়ন্ত্রণ নিতে চেষ্টা করছে। ১৯৮৩ সালে দলীয় কোন্দলে নিজ সংগঠনের হাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন এম.এন লারমাসহ ১০ জন।
খাগড়াছড়ির পানছড়িতে ইউপিডিএফ সদস্যদের ওপর জেএসএস সন্তু গ্রুপের সশস্ত্র হামলা ও ইউপিডিএফ সংগঠক মিটন চাকমাকে হত্যার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইউপিডিএফ। ইউপিডিএফের খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে সংগঠক মিটন চাকমা নিহত হওয়ার বিষয়টি জানান।