জেলা প‌রিষদ ও আদালতে বিত‌র্কিত ব্য‌ক্তি‌দের অপসারন চায় বৈষম্য‌বিরোধী ছাত্র সংগঠন।

0

নিউজ ডেস্ক: রাঙামা‌টি পার্বত্য জেলা প‌রিষদ ও জেলা দায়রা জজ আদাল‌তে সদ্য নি‌য়োগ পাওয়া বিত‌র্কিত সদস্য, পি‌পি, এপি‌পির অপসারন চে‌য়ে বি‌ক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসু‌চি পালন ক‌রে‌ছে রাঙামা‌টি জেলা বৈষম্য‌বি‌রোধী ছাত্র সংগঠন।

র‌বিবার বেলা ১১টার দি‌কে জেলা প‌রিষ‌দের প্রধান গেইট বন্ধ ক‌রে দি‌য়ে তারা ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসু‌চি পালন ক‌রে। প‌রে প্রশাস‌নের আশ্বা‌সে তারা কর্মসু‌চি স্থ‌গিত ক‌রেন।

এদি‌কে অবস্থান কর্মসু‌চি চলাকা‌লে নব‌নিযুক্ত চেয়ারম্যান কাজল তালুকদা‌রের গা‌ড়ি কার্যাল‌য়ের গে‌টে আস‌লে প্রবেশ কর‌তে দেয়া হয়‌নি। প‌রে চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার গা‌ড়ি থে‌কে নে‌মে পা‌য়ে হে‌টে অ‌ফিস ক‌ক্ষে চ‌লে যান।

আন্দোলনরত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা

সদস্য নির্বাচিত করার ক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িক বৈষম্য করা হয়েছে এবং বরকল, কাউখালী, রাজস্থলী ও জুরাছড়িকে বাদ দিয়ে বেশিরভাগ সদস্য রাঙামাটি সদর থেকে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় জনসাধারণ ক্ষোভ জানিয়েছেন।

এবিষয়ে আরো খবর:

পরিষদ গঠনে বৈষম্য সৃষ্টির প্রতিবাদে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে স্মারক লিপি পেশ করেছে কাউখালী উপজেলা বিএনপি।
রবিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে কাউখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে এ স্মারক লিপি দেয়া হয়। কাউখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাধারন সম্পাদক আব্দুল মোতালেব স্বাক্ষরিত এ স্মারক লিপি প্রদান করা হয়। কাউখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আতিকুর রহমান প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে দেয়া কাউখালী উপজেলা বিএনপির স্মারক লিপির সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তা পাঠিয়ে দেয়া হবে।

রাঙামাটি জেলার প্রবেশদার হিসেবে খ্যাত কাউখালী উপজেলা। অতীতে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা হিসেবে কাউখালী উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারনের গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রাখার পর পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের অতীতের ইতিহাসে রেকর্ড ভঙ্গ করে কাউখালী উপজেলা থেকে কোন প্রতিনিধি রাখা হয়নি। অবিলম্বে ঘোষিত প্রজ্ঞাপন বাতিল করে কাউখালী থেকে প্রতিনিধি দিয়ে নতুনভাবে প্রজ্ঞাপন দেয়ার দাবী জানান অন্যথায় আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন।

অতীতে দেখা যায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে যতবারই গঠন করা হয়েছে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সমন্বয়ে (রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের আইন অনুযায়ী) জেলার প্রত্যেকটি উপজেলা থেকে প্রতিনিধি নিয়ে গঠন করা হয়েছিল। কিন্ত এই প্রথম বার কাউখালী উপজেলার প্রতি বৈষম্য সৃষ্টি করে স্বৈরাচারী হাসিনার দোসরদের গোপন আতাতের মাধ্যমে কিছু আওয়ামী সরকারের নেতাকর্মীদেরকে দিয়ে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ পূর্ণগঠন করা হয়। যাহা রাঙামাটি জেলা ব্যাপী জনগণের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

আগের পোস্টখাগড়াছড়ি পানছড়িতে জেএসএস ইউপিডিএফ ভয়াবহ সংঘর্ষ, নিহত ১
পরের পোস্টনা পারিলাম বাঁচতে আমি না পারিলাম পাহাড় ছাড়তে: ক্যাহ্লা সিং মারমা।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন