রুহুল আমিন তুহিন, খাগড়াছড়ি হিল নিউজ বিডি: পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালি যেনো রাস্ট্রের এক অবহেলিত জনগোষ্ঠী। পদে পদেই পাহাড়ে বাঙালিরা লাঞ্ছনা-বঞ্চনার শিকার হচ্ছে। খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানের কয়েক লক্ষাধিক বাঙালি জনগোষ্ঠী কর্মসংস্থানের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছে গুচ্ছগ্রামে বন্দীশালায়।
১৯৯৭ চুক্তির সংবিধান পরিপন্থী বৈষম্যমূলক ধারা-উপধারা বাঙালিদের সুযোগ-সুবিধা থেকে ছিঁটকে দিয়েছে। যার ফলে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা, চাকরি, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দুরবস্থা বাঙালীদের উপজাতি জনগোষ্ঠী থেকে পিছিয়ে রাখছে। তাই জীবিকা নির্বাহে বেছে নিয়েছে কৃষিকাজ, পশুপালন ও দিনমজুর পেশাকে। এখানেও শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে না পাহাড়ের আঞ্চলিক দলগুলো। গত কয়েক দশকে পাহাড়ে বাঙালি নির্যাতনের যে চিত্র সে প্রকৃত চিত্র দেশের প্রথম সারির গণমাধ্যমে ওঠে না আসায় নীরবে চলছে পাহাড়ে বাঙালি নির্যাতন, অপহরণ ও হত্যা।
স্থানীয় অধিবাসীরা জানান, পাহাড়ে বাঙালিরা নির্যাতিত বা হত্যাকাণ্ডের শিকার হলে তার বিচার হয়না। ষাটোর্ধ এক বাঙালি রামগড়ে হারানো গরু-ছাগল খুজতে গিয়ে উপজাতি সন্ত্রাসীদের হামলায় হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়নের তবলাপাড়ায় ১৩ নভেম্বর দুপুর ১২টার দিকে উপজাতীয় সন্ত্রাসী গ্রুপ ইউপিডিএফ কর্তৃক মজিবুল হক (৬৩) নামে এক ব্যক্তিকে বেদম পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে জলাশয় ফেলে চলে যায়। ঘটনার পর সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে সন্ত্রাসী হামলাতে মজিবুল হকের মাথা, হাত পায়ে পিটে মারাত্মক জখম হয়েছে, বতর্মানে রামগড় হাসপাতালে চিকিৎসাধী আছেন। মজিবুল হক পাতাছড়া ইউনিয়নের ছাইদংছড়া গ্রামের মৃত আব্দুর সোবানের ছেলে, সে পেশায় একজন কৃষক এবং পশুপালন করেন।
মজিবুল হক জানান, তার হারিয়ে যাওয়া ৪টি গরু ও ২টি ছাগল খুজতে গেলে কোন কারণ ছাড়াই ৪ জন উপজাতীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাকে বেদম মারধর করে।
এদিকে ঘটনার খবর শুনে রামগড় ওসি হাসপাতালে মজিবুল হক-কে দেখতে যায় এবং অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান।
হামলার সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বিরোধী সন্ত্রাসী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) জড়িত বলে জানা গেছে।