জিহান মোবারক, হিল নিউজ বিডি: পার্বত্য চুক্তির প্রতিটি বর্ষপূর্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি বা জেএসএস-এর পাশাপাশি এদেশীয় সুশীল, প্রগতিশীল, বামধারার রাজনৈতিক নেতা এবং কিছু অতিউৎসাহী গণমাধ্যম চুক্তির কোন কোন ধারা-উপধারা বাস্তবায়িত হলো, আবার কোন কোন ধারা-উপধারা বাস্তবায়িত হলো না, সেসব নিয়ে চুল-ছেঁড়া বিশ্লেষণ করে থাকে। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৭-তম বর্ষপূতি উপলক্ষে জেএসএস এর অভিযোগ এবং সরকারের বক্তব্য প্রসঙ্গগত আলোচনা বিশ্লেষণ করার আগে পার্বত্য চট্টগ্রামের সংক্ষিপ্ত পটভূমি ও সংকট নিয়ে আলোকপাত করা অত্যন্ত জরুরী- এবং চুক্তির বিষয়াদি পূর্ণ মূল্যায়ন করা এখন আবশ্যিক হয়ে পড়েছে।
খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান তথা পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থিত এক-দশমাংশ অংশ। পাহাড় বেষ্টিত তিনটি পার্বত্য জেলা আয়তন ১৩,২৯৫ বর্গ কিলোমিটার। নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি, প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর ও বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠী এবং ভৌগোলিকগত কারণে এই অঞ্চলের গুরুত্ব এক অপরিসীম। যার কারণে এ অঞ্চল অশান্ত করার জন্য দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারী মহল বরাবরই সক্রিয়। ১৯৭২ সাল থেকে অসাংবিধানিক দাবিদাওয়া পেশ করে বিচ্ছিন্নতাবাদ আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৭৫ সালে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও রাষ্ট্রীয় বাহিনীর উপর আঘাত করার মধ্য দিয়ে নিজেদের সক্ষমতা জানান দেয় পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি বা জেএসএস। তথাকথিত পাহাড়ি নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার নেতৃত্বে জেএসএস প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৯৭৯ সালে সরকারি ভূমিতে বসতি স্থাপনকারী লক্ষাধিক বাঙালিদের উপর অমানুষিক নির্যাতন ও গণহত্যা এবং জাতিগত নিধন শুরু করে জেএসএস এর সশস্ত্র শাখা তথাকথিত শান্তিবাহিনী। ১৯৭৯ সালে বসতিস্থাপনকারী বাঙালিদের উপর নির্বিচারে হামলা অব্যাহত রাখে। এসময় বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে মুখামুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয় জেএসএস এর সশস্ত্র শাখা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পাহাড়ি-বাঙ্গালী উভয় সম্প্রদায়। সরকার ১৯৮২ সাল থেকে এ অঞ্চলে শান্তিস্থাপনে সমাধানের পথে হাঁটে। শান্তি আলোচনার ফলপ্রসূ অগ্রগতি না হলেও পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানে সরকার আলোচনার দরজা খোলা রাখে। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৭ সনের ২-রা ডিসেম্বর জেএসএস সন্তু ও সরকার মধ্যকার পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সম্পাদিত হয়। প্রায় দুই দশকের সশস্ত্র লড়াইয়ের ইতি হয়েছিল এক চুক্তির মাধ্যমে। সে চুক্তির দুই মাস পরে খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকারের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করেছিল শান্তিবাহিনীর সদস্যরা। তাদের প্রত্যেককে সরকার ৫০ হাজার টাকা করে দিয়েছিল। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি চুক্তিতে উপজাতীয়দের প্রাধান্য দেওয়া হলেও রাষ্ট্রের স্বপক্ষের শক্তি বাঙালিরা এই চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে তাদের লাগাম হারিয়েছে। এই চুক্তিতে পার্বত্য বাঙালিদের মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়নি। খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানে ১০ লাখের চেয়ে বেশি বাঙালি রয়েছে। তাদের স্বার্থ ও মতামত কী বিবেচনার অযোগ্য ছিল? একপক্ষ লাভবান হয় এমন একটি চুক্তি হয়েছিল সেদিন। যা পরবর্তীতে নিরাপত্তা বাহিনীর উপর বিভিন্ন অপবাদ ও হত্যার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জেএসএসসহ অন্যান্য আঞ্চলিক দল।
উপজাতি জাতিস্বত্বার অধিকার আদায়ের চুক্তিতে ধারা-উপধারাসহ সর্বমোট ৯৯ টি সংবলিত ধারায় পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সম্পাদিত হয়। এই চুক্তিতে সরকারের পক্ষ থেকে অবৈধ অস্ত্র পরিহার করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার একটি মৌলিক শর্ত ছাড়া আর কোন শর্ত ছিল না। চুক্তির বেশিরভাগ শর্ত ও ধারা জেএসএসের দাবিদাওয়া মোতাবেক লিপিবদ্ধ হয়েছে। দীর্ঘদিনের রক্তারক্তি সংঘর্ষ ও হানাহানির অবসান ঘটিয়ে পাহাড়ে শান্তির সুবাতাস বইয়ে দিতে সরকার ছাড় দিয়ে উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিতে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। যাতে জেএসএস অবৈধ অস্ত্র পরিহার করে শান্তির পথে হাঁটে। প্রধান যে কারণটি সরকার ফোকাস করে সেটি হলো- সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের রাজনীতির মূলধারায় ফিরিয়ে আনা, শান্তিবাহিনীকে নিরস্ত্রীকরণ ও পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি-শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার তাদের সাথে চুক্তি সম্পাদন করে।
পরিতাপের বিষয় যে, আমরা প্রায় সংবাদমাধ্যমে দেখতে প্রায় চুক্তির দ্বিতীয় পক্ষ জেএসএস সন্তু লারমা অভিযোগ করে বলে থাকে “সরকার চুক্তি বাস্তবায়নে আন্তরিক নয়। আমাদের পূর্বের অবস্থায় জঙ্গলে ফিরে গিয়ে সশস্ত্র সংগ্রাম করতে হবে এবং অসহযোগ আন্দোলন করতে হবে।” এমন কথাসহ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করে জেএসএস সন্তু। যা দুঃখজনক এবং সন্তু লারমার জেএসএসের দ্বিমুখী আচরণ বলে প্রতিয়মান হয়।
আর এখন তারা পূর্বের চেয়ে অনেক বেশি আধুনিক অস্ত্রস্বস্ত্রে স্বজ্জিত। যা চুক্তির নিয়ম ভঙ্গ করেছে।
যদি সন্তু লারমার অভিযোগের প্রেক্ষিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের বাস্তব পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়, তাহলে হয়তো সবার এই নিয়ে সন্দেহ থাকবে না-
ইতিহাস ও বাস্তবতাকে সামনে রেখে সরকারি সূত্র বলছে, ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর চুক্তির মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের পার্বত্য এলাকার দীর্ঘদিনের অশান্তির অবসান হয়। এরপর নানা বাস্তবতার মধ্যদিয়ে চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ৬৫টি ধারা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করে। এর মধ্যে ৩টি ধারা আংশিক বাস্তবায়ন করে। বাকী ৪টি ধারা বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াধীন।
চুক্তির উল্লেখযোগ্য নিম্ন ধারাগুলো বাস্তবায়িত হয়েছে-
১.তিন পার্বত্য জেলার স্থানীয় সরকার পরিষদ (পার্বত্য তিন জেলা পরিষদ) সমন্বয়ে একটি আঞ্চলিক পরিষদ গঠন করা হয়েছে। উপজাতীয় আইন এবং সামাজিক বিচারকাজ এই পরিষদের অধীনে আছে।
২. পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়েছে।
৩. উপজাতীয়দের ভূমি মালিকানা অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য পার্বত্য ভূমি কমিশন গঠিত হয়েছে।
৪. উপজাতীয় শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।
৫. পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করা হয়েছে। জেএসএসের সবসময় বড় দাবি ছিল কিছু সেনা রেখে বাকী সব সেনাক্যাম্প প্রত্যাহার করার। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে ২৩৯টি সেনাক্যাম্প ব্যারাকে ফিরে নেয়৷ এর মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম অরক্ষিত হয়ে পড়ে। তার পরেও তাদের চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে অভিযোগ কেন? তা বোধগম্য নয়। অথচ সেনাবাহিনী নিরাপত্তার প্রতীক ও সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী। তারা সেই সেনাবাহিনীর বিরোধিতা করছে!
সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পর পার্বত্যবাসীর কল্যাণে পাহাড়ে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড সাধিত করে।
যার পরিসংখ্যান-
১. রাস্তা (যোগাযোগ ব্যবস্থা)- ৭৯৪৯ কিলোমিটার।
২. হাসপাতাল-ক্লিনিক- ২৭০ টি।
৩. কলকারখানা- ২২৩টি।
৪. কিয়াং (বৌদ্ধ উপাসনালয়)-৫৪১টি।
৫. গির্জা ৪৪০ টি।
৬. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- সরকারি প্রাইমারি স্কুল- ৫৪৮, বেসরকারি- ২৬৪টি, হাইস্কুল সরকারি- ২৭৩, বেসরকারি- ১৭৩টি, কলেজ সরকারি-৭, বেসরকারি- ১৮টি, পলিটেকনিক কলেজ সরকারি-৪, বেসরকারি-৭টি, নাসিং ইনস্টিটিউট সরকারি-১টি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সরকারি-১, বেসরকারি-২টি, মেডিকেল কলেজ সরকারি-১টি।
এছাড়াও আরো অগণিত উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড সরকার চুক্তির পরে করে।
এই পরিসংখ্যান থেকে বুঝা যায়, সরকার চুক্তির প্রায় ৯০ ভাগ বাস্তবায়ন করেছে। পৃথিবীর এমন কোনো দেশ নেই যেখানে চুক্তির শতভাগ বাস্তবায়িত হয়েছে। জেএসএস অবৈধ অস্ত্র পরিহার করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে সহযোগিতা করুক তাহলে চুক্তি পূর্নাঙ্গ বাস্তবায়ন হয়ে যাবে৷ কিন্তু জেএসএস তো তা করছে না। সচেতন মহল মনে করেন, শুধুমাত্র এক পক্ষের আন্তরিকতা বা প্রচেষ্টায় চুক্তি বাস্তবায়ন কখনো সম্ভব নয়।
পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে শুধু সরকারই নয় জেএসএস’ও শর্ত মানতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু তাদের চুক্তির শর্ত মানার আগ্রহ নিয়ে প্রশ্ন আছে সচেতন মহলের।
এমনই যখন বাস্তব চিত্র, তখন পার্বত্য চুক্তির ২৭ বছরে দাঁড়িয়ে জনসংহতি সমিতি দাবি তুলছে, চুক্তি বাস্তবায়ন করেনি সরকার। শুধু দেশের অভ্যন্তরেই নয়। এখন বিদেশের মাটিতেও বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে নেতিবাচক বক্তব্য রাখছেন পাহাড়ের জেএসএস নেতারা। সংবাদমাধ্যমের বরাতে এসব উঠে এসেছে।
জেএসএস যে দ্বিমুখী আচরণের মাধ্যমে চুক্তি বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করে আসছে তার কিছু উদাহরণ দিই-
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে অত্র্যাঞ্চল থেকে অবৈধ অস্ত্র, রক্তারক্তি সংঘর্ষ, হানাহানি এবং অশান্তির অবসান ঘটানোর জন্য। আদৌতে এসবের অবসান ঘটেছে কী?? জেএসএস চুক্তির সময় ভাঙ্গা, মরিচা ধরা প্রায় ১৯৪০ টি অস্ত্র সরকারের নিকট আআত্মসমর্পণ করে। যা ১৯৮৩ সাল থেকে শুরু করে! অথচ গোলাম মোর্তোজার শান্তিবাহিনীর গেরিলা জীবন বইয়ে ১৯৭৫ সালে শান্তিবাহিনীর ৫০০০ সদস্য থাকার কথা উল্লেখ করা হয়। সেখানে ১৯৪০ টি অস্ত্র কীভাবে হয়? ২০১৩ সালে বেসরকারি টিভি চ্যানেল ইনডিপেনডেন্স এর সাংবাদিক শামীমা বিনতে-কে দেওয়া এক সাক্ষাতের খোদ সন্তু লারমা স্বীকার করেন, তারা পার্বত্য চুক্তির সময় সম্পূর্ণ অস্ত্র জমা দেয়নি। তাদের এখনো কয়েকশো সশস্ত্র সদস্য রয়েছে। এই থেকে তো পরিষ্কার পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মৌলিক শর্ত লঙ্ঘন করে জেএসএস এখনো অবৈধ অস্ত্র নিয়ে বিদ্যমান রয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি জেএসএস নিজেই বরখেলাপ করেছে। জেএসএস অবৈধ অস্ত্র নিয়ে এখনো চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুন-গুম করে পার্বত্য চট্টগ্রাম অশান্ত করে আছে। চুক্তির পূর্বেকার ন্যায় পাহাড়ের আনাচে-কানাচে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানিতে আকাশ বাতাস ভারী হচ্ছে। জেএসএস ভেঙে একাধিক গ্রুপ সৃষ্টি হয়ে চাঁদাবাজি, অপহরণ ও খুন-গুমে লিপ্ত থেকে পাহাড়ি-বাঙ্গালী উভয় সম্প্রদায়ের ক্ষতি সাধন করার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করছে। জেএসএস এর কাছে চুক্তি বাস্তবায়নের চেয়ে লাভজনক পেশা হচ্ছে চাঁদাবাজি৷ এই দীর্ঘ পেশা ছেড়ে জেএসএস চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চায়না। এইটাই তাদের দ্বিমুখী আচরণ এবং চুক্তি বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি। সন্তু লারমার কারণে এ চুক্তি শান্তির সুবাতাস বয়ে আনতে পারেনি; বরং দীর্ঘমেয়াদি ক্ষোভ ও অসন্তোষের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। চুক্তি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করতে গেলে সন্তু লারমা অসহযোগিতা মূলক আচরণ করে। এটাই বাস্তবিক সত্য। উপজাতীয় জনগোষ্ঠী ও গণমাধ্যমকে জেএসএস চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে যা যা বলে তা সত্য নয়। নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে সরকারকে কাঠগড়ার মুখামুখি করার জোর প্রচেষ্টা করছে।