পার্বত্য চুক্তির ২৭ বছরেও পার্বত্য চট্টগ্রামে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি, খুন, গুম, অপহরণ ও চাঁদাবাজি থেমে নেই। এ অঞ্চলকে স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে উপজাতিরা। চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে খুনি সন্তু লারমা ও তার স্বজাতিরা।
পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালিরা সর্বক্ষেত্রেই অধিকার বঞ্চিত অন্যদিকে একতরফা সুবিধা ভোগ করে যাচ্ছে উপজাতিরা। বৈষম্যের একটি বাস্তব চিত্র নিম্নে তুলে ধরবো। তার আগে পার্বত্য চট্টগ্রামে হত্যা, গুম ও চাঁদাবাজির চিত্র তুলে ধরতে চাই:
বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতিদের ৬ টি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন, যারা নিয়মিত হত্যা, গুম, চাঁদাবাজিতে নিয়োজিত রয়েছে।
তারা বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রায়ই ২ হাজার কোটি টাকা চাঁদাবাজি করছে।
জেএসএস সন্তু লারমা নেতৃত্বে ১৯৮৪ সালের ৩১ মে বরকল ভূষণছড়ায় ঘুমন্ত প্রায়ই ৭০০ (সাত শত) বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীকে হত্যা করে, ১৯৮৬ সালের ২৯ এপ্রিল খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা, তবলছড়ি, গৌরাঙ্গবাজার,পানছড়ি, লোগাং, খাগড়াছড়ি সদর হাজারো বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীকে হত্যা করেছে, ১৯৯৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর দাওয়াতের নাম করে পাহাড়ের গভীর জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ৩৫ কাঠুরিয়াকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়।
জেএসএস, ইউপিডিএফ, কেএনএফ সহ উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন গুলো কতৃক এই পর্যন্ত প্রায়ই ৪০ হাজার বাঙ্গালীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
তারা আমার দেশের গর্বীত প্রায়ই ৪০০ শত সেনাবাহিনী ও অন্যান্য বাহিনী সহ মোট ৬২০ জনের মতো পুলিশ,আনসার বাহিনীকে হত্যা করে।
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর চুক্তি পূর্বশর্ত ছিলো উপজাতি সম্প্রদায়ের নিকট কোন অবৈধ অস্ত্র থাকবেনা কিন্তু গত ২৭ বছরে তাদের নিকট আরও অনেক ভারী অস্ত্র এসেছে যা দিয়ে তারা পার্বত্য চট্টগ্রামকে পূর্বতিমূর এবং দক্ষিণ সুদানের মতো আলাদা একটি খ্রিষ্টান রাষ্ট্র বানাতে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রত্যাহার কৃত সকল সেনাক্যাম্প পুনঃস্থাপন চাই এবং অতিদ্রুত এখানে সেনা ক্যাম্প বৃদ্ধি করতে হবে।
বৈষম্যের চিত্র গুলো নিম্নে তুলে ধরছি-
(১) পার্বত্য চট্টগ্রামে তিনটি সার্কেল, এই সার্কেল চিফ উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত এবং রাজনৈতিকভাবে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত, এমনকি তিনটি পার্বত্য সংসদীয় আসনে উপজাতিদের আধিপত্য থাকে। এই ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া বাঙালি জনগোষ্ঠী হিসেবে আমরা দীর্ঘদিন দাবি করে আসছি যে- সার্কেল প্রথা বিলুপ্ত করা, এবং জেলা পরিষদগুলোতে উম্মুক্ত করে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন করা বা একজন চেয়ারম্যানের সমপরিমাণ ক্ষমতা দিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান বাঙ্গালীদের থেকে মনোনয়ন দেওয়া এবং সংসদীয় প্রার্থী নির্বাচনে পাহাড়ি বাঙালি উভয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি নিশ্চিত করা।
(২) আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যানের পদটি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত এই ক্ষেত্রেও ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন বা চেয়ারম্যানের সমপরিমাণ ক্ষমতা দিয়ে একজন বাঙালি ভাইস চেয়ারম্যান মনোনয়ন দেওয়ার।
(৩) পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী পদটি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত এটিও চরম বৈষম্য। পার্বত্য উপদেষ্টায় যে কোন জনগোষ্ঠী থেকে দেওয়া যেতো সেই ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া বাঙালী জনগোষ্ঠী থেকে দেওয়ার প্রয়োজন ছিলো। রাজনৈতিক ক্ষমতা বলে উপজাতিদের আধিপত্য সবজায়গা। এই ক্ষেত্রেও বাঙালিদের থেকে একজন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বাঙালি প্রতিনিধি থাকা উচিত।
এই ক্ষেত্রে সংরক্ষিত মহিলা এমপিও উপজাতিদের থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়, যা খুবই দুঃখ জনক। এরও পরিবর্তন প্রয়োজন।
(৪) ১৯০০ সালের শাসনবিধির মাধ্যমে উপজাতিরা এককভাবে হেডম্যান, কারবারি, চীফ সার্কেলসহ বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করছে উপজাতিরা। হাইকোর্ট ১৯০০ সালের শাসন বিধিকে মৃত আইন বলে একটি রায় দিয়েছেন, রিভিউ শুনানিতে থেকে থাকার কারণেই তা আলোর মূখ দেখছেনা। আমরা ইতোমধ্যেই এই আইনকে বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছি তিন জেলা ও ঢাকায়।
১৯০০ সালের শাসন বিধি হলো একটি কালো আইন, সংবিধান পরিপন্থী তাই এটি বাতিল প্রয়োজন।
(৫) পার্বত্য ভূমি কমিশন গঠন করা হয়েছে উপজাতিদের প্রাধান্য দিয়ে ৯ জন সদস্য বিশিষ্ট কমিশন। এই ক্ষেত্রে তিন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ৩ জন চীফ সার্কেল ও আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান এই ৭ জন উপজাতি কমিশনের সদস্য, আর এজন সাবেক বিচারপতি ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারকে দিয়ে কমিশন গঠন করা হয়, এখানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী থেকে একজনকেও অন্তর্ভূক্ত করা হয় নি যা খুবই দুঃখ জনক। এই কমিশন যদি শাসনবিধি মোতাবেক জায়গা-জমির রায় প্রদান করে তাহলে পার্বত্য বাঙালিরা এ অঞ্চলের ভূমির উপর অধিকার হারাবে। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ নেই। তাই এটি পাহাড় থেকে বাঙালি শূন্য করার পরিকল্পনা। এই সমস্যা নিরসনে জনসংখ্যা অনুপাতে ভূমি কমিশনকে পূর্নগঠন করতে হবে।
(ক) ১৬ সংশোধীর মাধ্যমে কালো আইন করা হয়েছে যেমন- রীতি,নীতি,প্রথা, পদ্ধতি।
হেডম্যান, কারবারি ও কথিত রাজা/ চীফ সার্কেল যা বলবেন তাই আইনে পরিনত হবে এই ক্ষেত্রে ভূমি হারা কোন বাঙ্গালী কোথাও কোন আপিল করতে পারবে না।
এই কালো আইন বাতিল করতে হবে।
(৬) উপজাতিদের জন্য ব্যবসা-বাণিজ্য বা লাইসেন্সে ইনকাম ট্যাক্স ফ্রী করা হয়েছে কিন্তু বাঙ্গালিরা ট্যাক্সের আওতাভুক্ত , তাই অর্থনৈতিকভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙ্গালীরা দিনদিন অনগ্রসর হয়ে পড়ছে। দুঃখের বিষয় হল- উপজাতিরা লাইসেন্স ট্যাক্স ফ্রী হওয়ায় এখানকার বাঙালিরাও উপজাতিদের লাইসেন্সে কাজ করে যাচ্ছে। এটি বাঙালিরা পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ। বৈষম্য-দূরীকরণে পার্বত্য অঞ্চলের সকল সম্প্রদায়ের জন্য একই নিয়ম চালু করা উচিত।
(৭) ব্যাংক লোন- ব্যাংক লোন নিলে উপজাতিদের কোন সুদ দিতে হয় না কিন্তু বাঙালিদেরকে চড়াও সুদ দিতে হয়।
উপজাতিরা ব্যাংক লোন পরিশোধ করতে না পারলে তাদেরকে অনেক ক্ষেত্রেই মওকুফ করা হয় কিন্তু বাঙালিরা পরিশোধ করতে না পারলে তাঁদের স্থাবর- অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করা হয় এবং জেলে যেতে হয়, লোনের ক্ষেত্রে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য একই নীতি অবলম্বন করতে হবে। না হয় এই বৈষম্য পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙালিদের অর্থনৈতিক ভাবে মেরুদণ্ডহীন করবে।
(৮) শিক্ষা ও চাকুরী – দীর্ঘ সময় ধরে উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত কোটা থাকায় শিক্ষা ক্ষেত্রে উপজাতিরা আজ প্রায়ই ৭৩% শিক্ষিত আর বাঙালিরা মাত্র ২৩% শিক্ষিত।
উপজাতি ছাত্র-ছাত্রীরা কোটার মাধ্যমে বিদেশে উচ্চতর ডিগ্রী নিতে পারে আর বাঙালিরা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
চাকুরী ক্ষেত্রেও বাঙালিরা বিশাল বৈষম্যের শিকার।
কোটার কারণে উপজাতিরা সকল ক্ষেত্রে চাকুরী পায়, আর বাঙ্গালিরা বঞ্চিত, যেনম- তিন জেলা পরিষদ গুলোতে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রায়ই ৮৫ থেকে ৯০% উপজাতিদের নিয়োগ দেওয়া হয়, আর বাঙালিরা ১০ কিংবা ১৫% মতো, তাও সেখানে তারা দারুণ একটা শুভংকরের ফাঁকি দেয়, যেমন- বাঙালি ১৫ জনের মধ্যে হিন্দু, বড়ুয়া সিংহভাগই!
এই শিক্ষা বৈষম্য ও চাকরি বৈষম্য উপজাতি জনগোষ্ঠীর জীবনমান পরিবর্তন করার মাধ্যমে জাতিকে অগ্রসর করলেও পার্বত্য বাঙালিকে অনগ্রসর জাতিতে পরিণত করেছে। যা একটি জনগোষ্ঠীর মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের শামিল। এই বৈষম্য চিত্র পার্বত্য চট্টগ্রামকে ভয়াবহভাবে গ্রাস করেছে৷ এজন্য সারাদেশের ন্যায় শিক্ষা ও চাকরি থেকে সবধরনের কোটা প্রথা বিলুপ্ত জরুরী হয়ে পড়ছে।
(৯) বাজার ফান্ডে দীর্ঘ সময় ধরে লোন বন্ধ রাখা হয়েছে। এটি পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। এই ক্ষেত্রে উপজাতি নেতারা ক্ষমতার সকল চেয়ার গুলো বহন করায় তাদের ইশারায় এই কাজটি করা হয়েছে, কারণ বাজার ফান্ড এলাকা গুলোতে বেশির ভাগই বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী বসবাস করে।
(ক) বাজার ফান্ডের প্রশাসক তথা বাজার চৌধুরী অনেক মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বাজার ফান্ডের প্লট হস্তান্তর করেন এটি বন্ধ করা উচিত।
আর হেডম্যানরা অনেক মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে জায়গা-জমি বেচাকেনা প্রতিবেদন ও হেডম্যান ও সার্কেল চীফ স্থানীয় বাসিন্দা রিপোর্ট দিয়ে থাকেন যা খুবই দুঃখ জনক।
(১০) সর্বশেষ ১৯৯৭ সালের ২-রা ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি ও ১৯০০ সালের শাসন বিধির মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের বাঙালিদেরকে তৃতীয় শ্রেণির নাগরিকদের পরিণত করা হয়েছে। পক্ষান্তরে উপজাতি জনগোষ্ঠী উপরোক্ত সুফল ভোগী হিসেবে পাহাড়ে নিজেদের একক আধিপত্য বিস্তার করছে। সর্বক্ষেত্রেই বাঙালিদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে। তা অবসানে চুক্তির অসাংবিধানিক ধারা ও ১৯০০ শাসনবিধি বাতিল বর্তমান সময়ের শ্রেষ্ঠ দাবির পরিনত হয়েছে।
(১১) উন্নয়ন বোর্ডে সবসময়ই উপজাতি চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়, শুধুমাত্র ২০০১ সালে বিএনপি – জামায়াত সরকার গঠন করা হলে সেই সময় খাগড়াছড়ি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূঁইয়াকে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়েছিলো, আমাদের দাবী হচ্ছে, উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে যাতে একজন যোগ্য বাঙালিকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
(১২) স্থায়ী বাসিন্দা সনদের ক্ষেত্রেও বাঙালিরা বড়ো ধরনের বৈষম্যের শিকার হতে হয়। হেডম্যান উপজাতি সম্প্রদায় হইতে হওয়ার কারণে হেডম্যান রিপোর্ট পাচ্ছে না, আর হেডম্যান রিপোর্ট ছাড়া ডিসি সনদ পাওয়া সম্ভব নয়। আবার এদিকে হেডম্যান রিপোর্ট ছাড়া পাহাড়ে জমি বেচাকেনাসহ বসতি স্থাপনও করা যাচ্ছে না। সবমিলিয়ে হেডম্যান প্রথা পাহাড়ে বাঙালিদের অস্তিত্ব দিনদিন হুমকির দিকে ধাবিত করছে।
উক্ত বিষয় ছাড়াও আরো অনেক বিষয় রয়েছে যা থেকে পার্বত্য বাঙালিরা যুগ যুগ ধরে বঞ্চিত হচ্ছে। এই বঞ্চিত এ বৈষম্য পার্বত্য বাঙালিদের পাহাড়ে পিছিয়ে রাখছে। যার প্রভাব পড়ছে পার্বত্য বাঙালিদের জনজীবন, সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দিকসমূহে। তাই পার্বত্য চট্টগ্রামে বৈষম্য নিরসনে এবং পাহাড়ি বাঙালিদের মধ্যে শান্তি-স্থাপনে উপরোক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ হতে পারে যুগোপযোগী পদক্ষেপ। যাতে এ অঞ্চলের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বৃদ্ধি পাবে।
পার্বত্য চুক্তির আজ ২৭ বছর হলো, চুক্তি মোতাবেক ২৩৯ টি সেনা ক্যাম্প পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে প্রত্যাহার করা হয়।
চুক্তিতে ৭২ টি ধারা ও ৯৯ টি উপ ধারা রয়েছে।
৭২ টি ধারার মধ্যে ৬৫ টি ধারা ইতিমধ্যে বাস্তবায়ন করা হয়েছে ৩ টি ধারা বাস্তবায়নাধীন রয়েছে ৪ টি ধারা আংশিক বাস্তবায়ন করেছে সরকার কিন্তু পক্ষান্তরে চুক্তির অন্যতম শর্তছিলো পার্বত্য অঞ্চলে কোন উপজাতির নিকট কোন অবৈধ অস্ত্র থাকবেনা বরং আগের চেয়ে অনেক অবৈধ অস্ত্র তাদের বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপজাতিরাই এই চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে।
চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলকে উপজাতি উদ্যেশিত অঞ্চল ঘোষণা করে বাংলাদেশ সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন।
লেখক: মোঃ আলমগীর কবির
মহাসচিব
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ (পিসিএনপি) কেন্দ্রীয় কমিটি।