দীঘিনালার বানছড়া দুর্গম এলাকায় সেনাবাহিনীর চিকিৎসা সেবা প্রদান।

0
ছবি: দীঘিনালার বানছড়া দুর্গম এলাকায় সেনাবাহিনীর চিকিৎসা সেবা প্রদান।

নিউজ ডেস্ক

ছবি: দীঘিনালার বানছড়া সেনা ক্যাম্পের চিকিৎসা সেবা প্রদান।

পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা, শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার দুর্গম মধ্য বানছড়া এলাকায় স্থানীয় জনগণের মাঝে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষুধ বিতরণ করেছে দীঘিনালা সেনা জোন।

সোমবার(২ ডিসেম্বর) সকালে দীঘিনালা ইউনিয়নের মধ্য বানছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ চিকিৎসা সহায়তা ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন দীঘিনালা জোনের এর ৪ই বেংগলের দি বেবী টাইগার্স দীঘিনালা সেনা জোনের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ওমর ফারুক, পিএসসি। ক্যাম্পে সারা দিনব্যাপী সেবা প্রদান করা হয়, ৩শতাধিক স্থানীয় বাসিন্দা চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেন। প্রসূতি নারী, শিশু, বৃদ্ধসহ নানা বয়সী রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয় এবং বিনামূল্যে ঔষুধ বিতরণ করা হয়।

মধ্য বানছড়া গ্রামের বাসিন্দা দয়াদম চাকমা (৭৫) বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে কোমর ও বুকে ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছি। টাকার অভাবে ঔষুধ কিনতে পারছিলাম না। সেনাবাহিনীর ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষুধ পেয়েছি, এতে আমার অনেক উপকার হয়েছে।” মধ্য বানছড়া এলাকার গ্রাম প্রধান (কার্বারী) সমরেন্দু চাকমা বলেন, “আমাদের গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ দরিদ্র ও পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। অভাবের কারণে নিয়মিত চিকিৎসা নিতে পারে না। এ এলাকায় চিকিৎসা সেবা পাওয়া খুবই কষ্টসাধ্য। আমরা সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞ এবং গ্রামে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের অনুরোধ জানিয়েছি।”

মেডিক্যোল ক্যাম্প পরিদর্শনকালে অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ওমর ফারুক বলেন, “মধ্য বানছড়া একটি অত্যন্ত দুর্গম এলাকা। এ অঞ্চলে কোনো কমিউনিটি ক্লিনিক বা চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র নেই, ফলে স্থানীয় জনগণ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত ছিল। দীঘিনালা সেনা জোনের উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষুধ বিতরণ করা হয়েছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের কষ্ট কিছুটা হলেও কমবে। সেনাবাহিনী অতীতের মতো ভবিষ্যতেও স্থানীয় জনগণের সুখ-দুঃখে পাশে থাকবে।” চিকিৎসা ক্যাম্প পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন দীঘিনালা সেনা জোনের আওতাধীন আলমগীর টিলা ও বানছড়া সেনা ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন এম. এ. মোমেন শিহাব এবং দীঘিনালা সেনানিবাসের চিকিৎসক আরএমও রাকিবুল ইসলাম রনি।

আগের পোস্টপার্বত্যাঞ্চল এখনো কেন অশান্ত: মোস্তফা কামাল।
পরের পোস্টপার্বত্য চুক্তির সংবিধানবিরোধী ধারা-উপধারা সংশোধন প্রয়োজন।’

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন