বিলাইছড়ি জনসাধারণের নিরাপত্তা স্বার্থে সেনা উপস্থিতি, এই নিয়ে জেএসএস এর মিথ্যাচার।

0

নিজস্ব প্রতিনিধি বিলাইছড়ি: পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি (জেএসএস) পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পরও পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র নিয়ে চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুন-গুম এর মধ্যে দিয়ে পাহাড়ের শান্তি-সম্প্রীতি বিনষ্ট, এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করে আসছে।

স্থানীয় অধিবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাঙামাটি জেলাধীন বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি ইউনিয়নের গঙ্গাপাড়া এলাকায় জনসাধারণের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সেনাবাহিনী কর্তৃক অস্থায়ী ভাবে একটি হেলিপ্যাড স্থাপন করা হচ্ছে। স্থানীয় জনসাধারণ দীর্ঘদিন থেকে বড়থলিতে চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুন-গুম ও ভয়ভীতির শিকার হয়ে আসছে। জেএসএস সন্তু গ্রুপের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি, অপহরণ ও মানুষদের ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত করে আসছে। জনসাধারণ সেনাবাহিনীর কাছে বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছে, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের মাধ্যমে চাঁদাবাজি বন্ধ করার জন্য। তারই ধারাবাহিকতায় সেনাবাহিনী নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত এলাকার জনসাধারণের নিরাপত্তার স্বার্থে টহল পরিচালনা করতে একটি হেলিপ্যাড স্থাপন করে। এলাকাটি অতি দুর্গম হওয়ার কারণে এবং যাতায়াত ব্যবস্থা না থাকার এখানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিত নেই। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এ অঞ্চলের কয়েকটি এলাকায় কেএনএফ ও জেএসএস সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত হয়েছে। তাদের কারণে এখানকার মানুষের জীবিকা নির্বাহ কঠিন হয়ে পড়েছে।

সেনাবাহিনী একটি মানবিক বাহিনী, তাই জনসাধারণের ডাকে সাড়া দিয়ে তারা শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে অস্থায়ী একটি হেলিপ্যাড স্থাপনের কাজ শুরু করেছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে এমনই তথ্য জানা গেছে।

জেএসএস সেনা হেলিপ্যাড স্থাপন বন্ধ করতে জায়গাটি গঙ্গাছড়া বৌদ্ধ বিহারের জায়গা বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে আসছে। জেএসএস বলে আসছে, “সেনা ক্যাম্প ও হেলিপ্যাড স্থাপনে অর্থের বিনিময়ে জায়গাটি ক্রয় করতে চায় সেনাবাহিনী। কিন্তু স্থানীয় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী জনগণ তাতে অসম্মতি জানান। তাই জোরপূর্বক সেনা ক্যাম্প ও হেলিপ্যাড স্থাপন করছে।”

জেএসএস কর্তৃক প্রকাশিত hill voice থেকে সেনাবাহিনীর সংবাদ প্রকাশিত

জেএসএস এর এই বক্তব্য অনুসন্ধান করতে গিয়ে স্থানীয় পাহাড়ি মান্যগন্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জায়গাটি বৌদ্ধ বিহারে নয়। এটি খাস ভূমি৷ সরকারের ১ নং খতিয়ানের ভূমি। এখানে মালিকানা কোন জায়গা নেই৷ তারপরও সেনাবাহিনী বলেছে, আমরা নিরাপত্তার স্বার্থে অস্থায়ীভাবে হেলিপ্যাড স্থাপন করছি। কেউ যদি জায়গাটির প্রকৃত মালিক হন, বৈধ কাগজপত্র থাকে তাহলে আমরা উপযুক্ত দামে ক্রয় করবো বা ভাড়া প্রদান করবো। সেনাবাহিনীর এই বক্তব্যের পরও জেএসএস এর এমন মিথ্যাচার কেন তা আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা এখানে জেএসএস ও কেএনএফ সন্ত্রাসীদের দ্বারা, চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুন-গুম ও হামলার শিকার হচ্ছি। জেএসএস এখানে এক আতঙ্কের নাম। তাদের ভয়ভীতিতে সাধারণ মানুষ সবসময় আতঙ্কে থাকে। সেনাবাহিনী অভিযান হলে জেএসএস ও কেএনএফ এর সন্ত্রাসী তৎপরতা ও আয়ের উৎস চাঁদাবাজি বন্ধ হয়ে যাবে৷ আপাতত দৃষ্টিতে সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করতে সেনাবাহিনীর নামে মিথ্যাচার করা হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

আগের পোস্টসুয়ালকের গয়ালমারায় পিসিসিপি বান্দরবানের উঠান বৈঠক ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত।
পরের পোস্টদেবাশীষ রায় কর্তৃক সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন