স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বীর সেনানিদের বীরত্বগাঁথা-১৪

0

লেফটেন্যান্ট (পরবর্তীতে মেজর) মোঃ নুরে আজাদ, বীর প্রতীক, ই বেংগল (তৎকালীন ইউনিট ৪ ই বেংগল)

লেফটেন্যান্ট মোঃ নুরে আজাদ, বীর প্রতীক, ই বেংগল গত ০৫ নভেম্বর ১৯৮২ তারিখে বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমি হতে ৭ বিএমএ দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সের সাথে কমিশন লাভ করেন। কমিশনের পর তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে অবস্থিত ৪ ই বেংগল ইউনিটে যোগদান করেন। ইউনিটে কর্মরত থাকাকালীন গত ০৫ জানুয়ারি ১৯৮৪ তারিখ সন্ধ্যায় সোর্স মারফত বাবুছড়া আর্মি ক্যাম্প সংলগ্ন কাঁঠাল বাগান গ্রামে শান্তিবাহিনীর গোপন আশ্রয়ের তথ্য জানতে পারেন। বাবুছড়া ক্যাম্প থেকে লেঃ আজাদ উক্ত সংবাদ ব্যাটালিয়ন হেডকোয়ার্টারকে অবহিত করলে অধিনায়ক তাকে একটি পেট্রোল নিয়ে লক্ষ্য বস্তুতে যেতে বলেন। অপরদিকে অধিনায়ক মাষ্টার পাড়া আর্মি ক্যাম্প হতে সুবেদার মোঃ দোলোয়ার হোসেন এর নেতৃত্বে আরও একটি টহল দল অভিযানে প্রেরণ করেন। লেঃ আজাদ তার পেট্রোল নিয়ে আনুমানিক ১৩০০ ঘটিকার দিকে কাঁঠাল পাড়া গ্রামে পৌছায়। এসময় তিনি পাহাড়ের উপর দুষ্কৃতিকারীদের অবস্থান নিশ্চিত করেন এবং টহল নিয়ে পাহাড়ে উঠতে শুরু করেন। অর্ধেক উচ্চতায় ওঠার সাথে সাথে উপর থেকে দুষ্কৃতিকারীদের ক্যাম্পের দায়িত্বরত প্রহরী গুলি বর্ষন শুরু করে। লেঃ আজাদ অত্যন্ত সাহসিকতা ও ক্ষিপ্রতার সাথে দুষ্কৃতিকারীদের অবস্থানের দিকে এগিয়ে যায় এবং তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ পরিচালনা করে। উক্ত অপারেশনে শান্তিবাহিনীর ২ জন দুষ্কৃতিকারী ৭.৬২ মি: মি: রাইফেল সহ আটক হয় এবং তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে ১টি এসএমসি, ১টি চেক কারবাইন এবং ১টি জি-৩ রাইফেল উদ্ধার করা হয়।

জীবনের ঝুঁকি থাকা সত্বেও ক্ষুদ্র দল নিয়ে সুষ্ঠু পরিকল্পনা এবং অভাবনীয় সাহসিকতা ও ক্ষিপ্রতার সাথে দুষ্কৃতিকারীদের প্রতিহত করার জন্য পরবর্তীতে ১৪ মে ১৯৮৫ তারিখ তৎকালীন মহামান্য রাষ্ট্রপতি লেফটেন্যান্ট মোঃ নুরে আজাদ’কে বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত করেন।

আগের পোস্টবীর শহীদদের স্মরণ করলো রাঙামাটি পিসিসিপি।
পরের পোস্টস্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বীর সেনানিদের বীরত্বগাঁথা-১৫

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন