রাঙামাটি জেলা পরিষদে শতভাগ চাকমা নিয়োগ নিয়ে সচেতন মহল দায় এড়াতে পারেনা।

0

বিশেষ প্রতিবেদন, অনন্ত অসীম: পার্বত্য চট্টগ্রাম:

দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে পূর্বের পরিষদ বাতিল করা হয়েছে। গত ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে ১৫ সদস্য এই পরিষদের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। সিনিয়র সহকারী সচিব তাসলীমা বেগম সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

পুনর্গঠিত পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সাবেক কৃষি কর্মকর্তা কাজল তালুকদার। এই পরিষদ গঠন হওয়ার পর থেকে স্থানীয় পাহাড়ি-বাঙালিরা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বিতর্কিত হিসেবে অভিহিত করেন। পরিষদ পুনর্গঠন নিয়ে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে বৈষম্যের অভিযোগ আসে। এসব অভিযোগ নিয়ে নতুন পরিষদ কাজ শুরু করে।

এই নিয়োগের একমাস না যেতেই গত ২০ ডিসেম্বর ২০২৪ রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের অধীনে RHDC ও ILO এর যৌথ বাস্তবায়নাধীন ProGRESS প্রকল্পের শতভাগ জনবল নিয়োগ দিয়েছেন চাকমা জনগোষ্ঠী থেকে। নিয়োগকৃত ৮ জনই চাকমা জনগোষ্ঠী থেকে!

নিয়োগ সম্পর্কে জানা যায়, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার সাক্ষরিত একটি চূড়ান্ত ফলাফল বিবরণী গত (শুক্রবার) ২০ ডিসেম্বর রাত্রে প্রকাশ করে। তাতে দেখা যায় ভয়ংকর বৈষম্যের চিত্র। এই অপ্রত্যাশিত বৈষম্য চিত্র দেখার জন্য পাহাড়ি কিংবা বাঙালি কেউ প্রস্তুত ছিল না। প্রতিবারই নিয়োগে ৯০% চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা ও অন্যান্য উপজাতি জাতিসত্তা থেকে নিয়োগ প্রদান করে: অবশিষ্ট ১০% বাঙালি নিয়োগ করা হত। পার্বত্য জেলা পরিষদগুলো সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে এমনটা দেখা গেছে। এইতো গত ২৩ নভেম্বরের নিয়োগ তার বাস্তব উদাহরণ। কিন্তু এবার পূর্বের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে নিজের চাকমা প্রীতি, সাম্প্রদায়িকতা ও হীন মানসিকতা প্রকাশ করলেন সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত জেলা পরিষদের বাঙালি বিদ্বেষী চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার।

এই নিয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, চাকমা প্রীতি, স্বজন প্রীতি, দুর্নীতি, অনিয়ম ও বৈষম্যের। পাহাড়ে চলছে নানান সমালোচনা।

স্থানীয়রা বলছেন, চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার এখানে সরাসরি চাকমা প্রীতি দেখান। এটি একটি মারাত্মক বৈষম্য ও সাম্প্রদায়িকতার বহিঃপ্রকাশ। এখানে শুধু বাঙালিকে উপেক্ষা করা হয়নি, এখানে মারমা, ত্রিপুরা, লুসাই, তংচঙ্গ্যা ও পাংখোয়াকে উপেক্ষা করা হয়েছে।

বৈষম্যমূলক একটি চূড়ান্ত ফলাফল বিবরণী জেলা পরিষদ ঘোষণার পর এই নিয়ে সচেতন মহল ও বাঙালি ভিত্তিক কথিত সংগঠনের রহস্যজনক নীরবতা নিয়ে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। বৈষম্যমূলক নিয়োগ নিয়ে সচেতন মহল রহস্যজনক ভূমিকায় ছিল। কোনোভাবেই সচেতন মহল এই দায় এড়াতে পারেন না। এই বৈষম্য নিয়ে পাহাড়ের বাঙালিদের সাইনবোর্ড ঝুলানো বাঙালি সংগঠনগুলোও নিশ্চুপ। নিয়োগের ৩ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও বাঙালি সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করা হয়নি। এমনকি দায়সারাভাবে একটা প্রেস রিলিজ পর্যন্ত দেওয়া হয়নি! প্রশ্ন উঠেছে বাঙালি সংগঠনের কাজ কী? বাঙালি সংগঠন যদি শতভাগ চাকমা নিয়োগে চুপ থাকে তাহলে তাদের দিয়ে জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে? পাহাড়ের চলমান বৈষম্য, অনিয়ম অবসান কি সম্ভব? বাঙালি সংগঠনের নীরবতায় কাজল তালুকদাররা আরো ভয়ংকর রূপে বৈষম্য করবে। সব জায়গা থেকে বাঙালি মাইনাস করার ফরমুলা অ্যাপ্লাই করবে। সচেতন মহলের নীরবতা একসময় পাহাড়ে চাকমা ব্যতীত বাঙালি, অন্যান্য উপজাতি জাতিসত্তার সামাজিক, সাংস্কৃতিক, প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার সংকট সৃষ্টি হবে।

রাঙামাটির ইস্যু ভিত্তিক সাম্প্রদায়িক সাংবাদিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন হিমেল চাকমা তার ফেসবুকে শতভাগ চাকমা নিয়োগের যৌক্তিকতার ব্যাখ্যা দিতে একটি পোস্ট করেন৷

তার পোস্টটি এমন ” সমতলের চোখে পাহাড়ে বৈষম্য
জেলা পরিষদের এ রেজাল্ট দেখে প্রশ্ন উঠেছে রেজাল্টে বাঙালি নাম নেই কেন? এখানে কি বৈষম্য হয়েছে? সমতলের মানুষরা তো চরম বৈষম্য দেখছেন।
এ রেজাল্টকে বেস ধরে কোন গণমাধ্যমে রিপোর্টের ব্যবস্থা করা হলে আর তো কথায় নেই। এ বৈষম্য রিপোর্ট করে বড় জনগোষ্ঠীকে পাহাড়ি বিদ্বেষী মনোভাব সৃষ্টি করানো সম্ভব।
আসলে এর গভীরে ঢুকলে বুঝা যায় আসল কাহিনী। বুঝতে হবে এনজিওগুলো কিছু পকেট পয়েন্টে কাজ করে। ধরেন, প্রকল্প এলাকা বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়নে যমুনাছড়ি। বৈষম্য দূর করে সেখানে কাজ করতে গিয়ে একজন মেধাবী বাঙালীকে নিয়োগ দিলেন।
ভদ্রলোক উৎফুল্ল চিত্তে কর্মস্থলে যোগ দিতে একদিন বোটে চড়ে গিয়ে যমুনাছড়িতে পা রাখতেই দেখতে পেলেন শুকরের পাল।
পাংখো জনগোষ্ঠী খুব আগ্রহ নিয়ে ফুলের তোড়া নিয়ে ভদ্রলোক এনজিও কর্মকর্তাকে রিসিভ করলেন। এরপর মাচাং ঘরে তুললেন। মাচাং উপর পাটি বিচিয়ে দিলেন। এর উপর বিচিয়ে দিলেন আরেকটা নতুন চাদর। গৃহকর্তা ও কর্তী এরপর বাষ্প উড়ানো অবস্থায় ভাত এনে দিলেন। দিলেন দেশী মুরগী। আরো কত সুস্বাদু তরকারী।
এদিকে ভদ্রলোক ভাবছেন মুরগী জবাই করার সময় বিসমিল্লাহ বলা হয়নি। তরকারীতে মনে হয় নাপ্পী দিয়েছে।
এমন সময় মাচাংয়ের নিচে গুয়েক গুয়েক করে শুকর ডাক দিল। চরম ক্ষুধার্ত ভদ্রলোকের ক্ষুধা চলে গেল। আর খাওয়া হলো না। ওয়াশিং মেশিনের হোলের ন্যায় পেটের ভিতর দিল একটা মোচড়।
কিছুক্ষণ পর শুরু হল বমি ও ডায়রিয়া। হাসপাতালে যাওয়ার কোন ব্যবস্থা নেই। পানি শূন্যতায় ভদ্রলোক মারা গেল। গ্রামে নেমে আসল বিপদ। এবার বলেন যারা বৈষম্যর অভিযোগ তুলছেন সেখানে চাকুরী করতে যাবেন কিনা? যদি যান তাহলে সবার আগে আমি বলব আলহামদুলিল্লাহ। যদি বুঝতে পারেন তাহলে বলব পাহাড় নিয়ে একটু স্টাডি করেন। চিলের পেছনে দৌড়াবেন না। দৌড়াতে গেলে মরা ছাড়া বাঁচার পথ আমি দেখি না।”

হিমেল চাকমার এই বক্তব্য নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে নয়। তার এ বক্তব্য কোনোভাবেই যথার্থ নয়। প্রায়শ্চই পাহাড়ের ইস্যুভিত্তিক বিষয় নিয়ে কথা বলেন। একজন সাম্প্রদায়িক সাংবাদিক হিসেবে সবসময় বাঙালিদের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেন৷ তার এই অবস্থান বাঙালির কিছু যায় না আসলেও পাহাড়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে সবসময় মুখিয়ে থাকেন। উপজাতি নেতা, আঞ্চলিক দল ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান গুলোতে সে সবসময় বাঙালি বিরোধী হিসেবে একটা বিশেষ সুবিধা পেয়ে থাকে৷ সাংবাদিকতার আড়ালে সে জাতিগত ভেদাভেদ, ধর্মীয় বিভেদ, সহিংসতা, আক্রমণাত্মক বক্তব্য ও হেয় প্রতিপন্ন করে থাকেন৷ বেসরকারি টিভি চ্যানেল ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন, আজকের পত্রিকায় কাজ করে হিমেল সাংবাদিক পেশাকে কলঙ্কিত করছেন একইসাথে অপব্যবহার করছেন। তার আচরণ, উগ্রতা ও আত্মহমিকায় শুধু বাঙালিদের সঙ্গে নয় উপজাতিদের সঙ্গেও এমনটা সে ঘরে৷

আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামের জনসংখ্যার পরিসংখ্যান একটু দেখি:
পরিসংখ্যান ২০২২ অনুযায়ী পাহাড়ে বাঙালি (৫০.০৬%), চাকমা (২৪.৬৮%), মারমা (১১.৩৮%), ত্রিপুরী (৭.২৩%), মুরং (২.৮%),তঞ্চঙ্গ্যা (২.৩৩%), বম (০.৬৭%), অন্যান্য (০.৮৫%)। সব মিলিয়ে এই এ অঞ্চলে ১২টি জাতিসত্তার বসবাস। অর্থাৎ পার্বত্য চট্টগ্রামের জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশিই বাঙালি জনগোষ্ঠী আর চাকমা ব্যতীত অন্যান্য জনসংখ্যা ৭৩.৩২%। মাত্র ২৪.৬৮% জনসংখ্যা কীভাবে শতভাগ নিয়োগ দখল করে?

পাহাড়ে শুধু উপজাতি জনগোষ্ঠী বসবাস করে এমন ধারণা অনেকেরই। তার মধ্যে চাকমা অনগ্রসর এজন্য সমস্ত সুযোগ-সুবিধা তারাই প্রাপ্য এমন ধারণাও আছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী সারা দেশে শিক্ষার হার ৭৩%, আর পাহাড়ে চাকমাদের ৭৬%। তারপরও নাকি চাকমারা অনগ্রসর জাতি!

একই পাহাড়ে একই পরিবেশে বেড়ে উঠে সুযোগ সুবিধা শুধু চাকমাদের দিয়ে বাঙালি ও অন্যান্য জনগোষ্ঠীকে পিছিয়ে রাখা রাষ্ট্রের উন্নয়ন দর্শন হতে পারে না।

একতরফা চাকমা নিয়োগ নিয়ে যে শুধু বাঙালিরা অসন্তুষ্ট শুধু তাই নয়। এখানে চাকমা ব্যতীত মারমা, ত্রিপুরা, লুসাই, তংচঙ্গ্যা, পাংখোয়া রয়েছে তারাও এই নিয়ে তীব্র অসন্তোষ।

এই নিয়োগ বাতিল করার জন্য স্থানীয় পাহাড়ি ও বাঙালিরা বিভিন্নভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। তারা নিয়োগের বৈষম্য ও বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করারও পরামর্শ দিচ্ছেন নিয়োগ বঞ্চিতদের।

বাঙালি সংগঠনের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুললে, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের মহাসচিব আলমগির কবির জানান, রাঙ্গামাটি জেলা নিয়োগ নিয়ে আমরা কথা বলছি, নিয়োগ বৈষম্যের বিরুদ্ধে কর্মসূচি খুব শীঘ্রই আসবে। আমরা এই বৈষম্য নিয়োগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

এই নিয়োগ বৈষম্যহীন প্রমাণ করতে গিয়ে চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার, তার লোকবল দিয়ে বাঙালিদের অযোগ্য, অশিক্ষিত, এই পদগুলোতে প্রার্থী ছিল না, এমন নানান কথা রটিয়ে শতভাগ চাকমা নিয়োগ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এক দুইজন ব্লগার লেখার পর থেকেই কিন্তু সর্বত্র এখন প্রতিবাদ ঝড় বইছে।

চেয়ারম্যান কাজল তালুকদারের ব্যাখ্যা ও তার জনবলের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে স্থানীয় পাহাড়ি ও বাঙালিরা নিয়োগ নিয়ে কী বলছেন?

অতুল বিকাশ ত্রিপুরা বলছেন, রাঙামাটিতে চাকমা ব্যতীত অন্যান্য জাতিসত্তাও বসবাস করে ! (ধরলাম আপনার কথামতো বাঙালি বাদে) তাদের মধ্যে অনেকে হয়তো চাকরি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে তা আমি বিশ্বাস করি।৷ কিন্তু এই চাকরি পরীক্ষায় কি চাকমা ছাড়া আর কোন উপজাতি পাশ করতে পারেন নাই? যদি সত্যি মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হতো তাহলে আমি অন্তত সেটা বিশ্বাস করতে পারবো না যে ওনারা ব্যতীত আর কেউ পাশ করতে পারেন নাই বলে। আমরা ভুক্তভোগী আমাদের নতুন করে জ্ঞান দিতে আসবেন না দয়া করে।

অসাক চিং লা মাং বলেন,
হুম মন দিয়ে পড়লাম। তারপরও বলতে হয়,চাকমা ও দেওয়ান ব্যতীত অন্য কোনো জুম্ম নাম দেখলাম না।

Mongsano Marma বলেন, Apnr ei status ei proman kore apnra sudhu nijer jatir sartho chara r onno jatir sartho dekhan na.. Ekta Circular merit theke suru kore jodi waiting list sudhu Chakma der name thake seta niye question uthbe na to ki niye uthbe..Sarajibon zela parishod corruption kore esheo pet bhore nai ekhon bairer desher fund er takatao nijer jati lokeder biliye dicche sojon priti kore..Rangamatir sokol sucheton manush er uchit ei result er biruddhe tibro andolon koraa r ei panel jesob interviwer tader porichoy jonosomokke anlei buja jabe koto lakh takar binimoye eigula tara bikri kore diyechee….Ekjon journalist hisebe apnr theke neutral point of view asha korechilam even er biruddhe protibad kora ta uchit chilo kintu ulte apni ei lok dekhano viva take defend korlen..

লিপিকা তংচঙ্গ্যা বলেন,
ব দের বাদ দিলাম (বাঙালিদের বাদ দিলাম) অন্য জাতি গোষ্ঠীদের কি হলো?

Sû Shîl Læy বলেন, এত মারমা, ত্রিপুরা বা অন্য উপজাতিও রাখার প্রয়োজন ছিল।

ফয়সাল মাস্টার বলেন, আপনার লজিক আপত্তিকর। এখানে বাঙালি নিয়োগ দিলেও যারা পরিবেশ পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে তার দায়িত্ব পালনে সক্ষম তাকে দিলেই তো বৈষম্য থাকে না।

মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, দাদা আপনি যে যুক্তি দিলেন তা একেবারে শিশুতুল্য। পাহাড়ের স্থানীয়, যারা এখানে জন্মগ্রহণ করেছেন এমন বাঙালি, মারমা,ত্রিপুরা, পাংখোয়া, বম, লুসাই ইত্যাদি জনগোষ্ঠীর লোকজন পাহাড়ের পরিবেশে বেড়ে উঠেছে তারা এখানে সংগ্রাম করে বেঁচে থাকে, তারা এখানে কাজ করতে পারবে। আমার জানামতে অনেকেই আবেদন করেছিল কিন্তু তাদের পরীক্ষায় না ডেকে নির্ধারিত ব্যক্তিদের ডেকে পরীক্ষা নিয়ে টিকিয়ে দেওয়া হয়েছে সুপরিকল্পিত ভাবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে শুধু একটি জনগোষ্ঠীর বাস নয় অনেক জনগোষ্ঠীর বাস। তারা কি সবাই পাহাড়ের পরিবেশে কাজ করার অনুপযোগী?? সেখানে সবাই কে বাদ দিয়ে নিদিষ্ট জনগোষ্ঠীর লোকজন কে নিয়োগ দেওয়া টা শুধু বৈষম্য নয় চরম বৈষম্য।

আগের পোস্টখ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিন উপলক্ষ্যে সেনাবাহিনীর খাদ্যসামগ্রী বিতরণ।
পরের পোস্টবিলাইছড়ির দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সেনাবাহিনীর শীতবস্ত্র বিতরণ।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন