অনন্ত অসীম, পার্বত্য চট্টগ্রাম:
নিহত ইউপিডিএফ সন্ত্রাসী পার্বত্য চুক্তি বিরোধী সন্ত্রাসী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর সশস্ত্র সদস্য।
বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি রাঙামাটি পার্বত্য জেলার লংগদু উপজেলার কাট্রোলী এলাকায় ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ টহলদল ইউপিডিএফ প্রসীত এর একটি আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। এতে এক ইউপিডিএফ সশস্ত্র সদস্য নিহত হয়। কয়েকজন সন্ত্রাসী পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী তল্লাশি পরিচালনা করে লাশ, মোবাইল ফোন, অস্ত্র ও গোলাবারুদ এবং বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেন।
নিহত ব্যাক্তির নাম ম্রআং মারমা (৩২)। তার বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলায় বলে জানা গেছে।
স্থানীয় লোকজন নিহত ব্যাক্তিকে পাহাড়ের আঞ্চলিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর কর্মী বলে দাবি করলেও সংগঠনটির পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছে। কিন্তু তাদের সাইবার মাধ্যম (সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম) নিহত ব্যক্তিকে ইউপিডিএফ দাবি করেছে।
এদিকে ৭নং লংগদু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিক্রম চাকমা বলেন, গোলাগুলিতে একজন নিহত হয়েছে। আমরা স্থানীয়ভাবে ধারণা করছি, নিহত ব্যাক্তি ইউপিডিএফের কর্মী। তবে তার পরিচয় সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ম্রআং মারমা কাট্রোলী, বন্দুকভাঙা এলাকায় চাঁদাবাজি, অপহরণ ও বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল বলে জানা গেছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা পোষাকে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী থাকার বিষয়টিকে স্থানীয় অধিবাসীরা নিজেদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখছে। তারা ইউপিডিএফ, জেএসএসসহ অন্যান্য পার্বত্য আঞ্চলিক সন্ত্রাসীদের নিরস্ত্রীকরণে সাঁড়াশি অভিযান এবং রাষ্ট্রকে পার্বত্য সন্ত্রাস বিষয়ে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করার দাবি জানান। একটি স্বাধীন দেশে সেনা পোষাকে অবৈধ অস্ত্রধারী থাকা রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি।