ইউপিডিএফ এর চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস বন্ধে ৩১ বিশিষ্ট প্রতিরোধ কমিটি গঠন।

0

নিজস্ব প্রতিনিধি:

রাঙামাটি কাউখালী উপজেলার ৪নং কলমপতি ইউনিয়নের গাড়িছড়া নামক এলাকায় রাত জেগে ইউপিডিএফ এর বিরুদ্ধে পাহারা বসিয়েছে স্থানীয় জনসাধারণ। ইউপিডিএফ সন্ত্রাসবাদ, হামলা, চাঁদাবাজি আর অপহরণ ভয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে স্থানীয় জনসাধারণ।

গত ১১ জানুয়ারি দুপুরে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বিরোধী সন্ত্রাসী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর একটি সশস্ত্র দল জোরপূর্বক চাঁদাবাজির লক্ষ্যে স্থানীয় চা দোকানি মো. ওসমানের কাছে আসেন। দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ওসমানের সঙ্গে ইউপিডিএফ সশস্ত্র গ্রুপ বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হয়। পরবর্তীতে দোকানি ওসমান, স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইসলামসহ উপস্থিত কয়েকজনকে অদূরে একটি বৌদ্ধ বিহারে গিয়ে ইউপিডিএফ শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। তারা ইউপিডিএফের সঙ্গে যেতে অস্বীকৃতি জানালে ৪/৫ জন সশস্ত্র সদস্য তাদেরকে অপহরণের চেষ্টা করে।

পরে খবরটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে দুই শতাধিক স্থানীয় জনসাধারণ এগিয়ে এসে ধাওয়া দিলে ইউপিডিএফ পালিয়ে দিতে সক্ষম হয় কিন্তু তাদের বহনকারী সিএনজি অটোরিকশা চালকসহ ২জনকে স্থানীয়রা আটক করে রাবার বাগান সেনা ক্যাম্পে দেয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

স্থানীয়রা মনে করেন, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ইউপিডিএফ আগের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি হারে চাঁদা বৃদ্ধি করেছে। চাঁদা আদায় করতে ইউপিডিএফ এখন বেপরোয়া। এতদিন পাহাড়ের ভিতরে উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় চাঁদাবাজি সীমাবদ্ধ ছিল, বর্তমানে বাঙালি এলাকায় সশস্ত্রভাবে এসে চাঁদা দাবির ঘটনা উদ্বেগ নতুন করে তৈরি করেছে।

ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রাত জেগে বিক্ষোভ প্রদর্শন করার পর তাদের হামলা, চাঁদাবাজি, অপহরণ, ভয়ভীতি ও সন্ত্রাস বন্ধে গাড়িছড়ার স্থানীয় জনতা ৩১ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিরোধ কমিটি গঠন করে। এই কমিটি নিয়মিত ইউপিডিএফ এর চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহতে কাজ করবে।

আগের পোস্টকাউখালীতে চাঁদাবাজ ইউপিডিএফকে জনতার ধাওয়া।
পরের পোস্টপাঠ্যপুস্তকে ‘আদিবাসী’ শব্দ বাতিলের দাবিতে এনসিটিবিতে শিক্ষার্থীরা।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন