নিজস্ব প্রতিনিধি:
রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কাউখালী উপজেলার ৪নং কলমপতি ইউনিয়নের গাড়িছড়া এলাকায় গতকাল শনিবার (১১ জানুয়ারি) ২ ঘটিকায় চা দোকানদার ওসমান থেকে সশস্ত্র অবস্থায় এককালীন বাৎসরিক চাঁদা দাবি করে ইউপিডিএফ। দোকানদার ওসমান চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। এসময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ কয়েকজনকে ডেকে নিয়ে অপহরণের চেষ্টা করে।
খবরটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় জনতা লাঠিসোঁটা নিয়ে ইউপিডিএফ সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করলে তারা পাশের পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় জনতা ও ইটভাটার শ্রমিকরা, ঘটনাস্থল থেকে ইউপিডিএফ সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের পরিবহণ করা সিএনজি চালক রুই অং মারমা ও সানু মং মারমাকে আটক করে। তাদেরকে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয়।
স্থানীয় কয়েক শতাধিক জনতা ইউপিডিএফ এর অস্ত্রবাজি ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। এসময়ে নেতৃত্ব দেন ইসলাম মেম্বার।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ইউপিডিএফ প্রসিত সন্ত্রাসী গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে কাউখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি করে জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। ইউপিডিএফ এর অস্ত্রের ভয়ে এখানকার পাহাড়ি বাঙালি সবাই অসহায়। সবাই এতদিন ধরে নীরবতা পালন করে আসছিলেন। বেতবুনিয়া, সোনাইছড়ি, বড়বিলি, চৌধুরীপাড়া, আমছড়ি, গাড়িছড়া, আদর্শগ্রাম, মাঝেরপাড়া, তারাবুনিয়া ও নাইল্যাছড়ি সহ কয়েকটি এলাকায় ইউপিডিএফ কালেক্টর রনি মারমা, সাইচিউ মারমা প্রকাশ অভির নেতৃত্বে মানুষদের হুমকি-ধামকি, হামলা ও অপহরণ, এমনকি নির্যাতন অত্যাচারের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের চাঁদাবাজি করে আসছিল। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়াই জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে অস্ত্রধারী ইউপিডিএফকে ধাওয়া দেন।