আদিবাসী স্বীকৃতি পেলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখিয়ে স্বায়ত্তশাসন বা পৃথক ভূখণ্ড দাবী করতে পারে।

0

লেখক: নয়ন চ্যাটার্জি- এনজিও’রা বাংলাদেশের ৩ পার্বত্য জেলাকে বাংলাদেশ থেকে পৃথক করে পৃথক ভূখণ্ড তৈরীর ষড়যন্ত্র করছে। ঠিক যেভাবে সুদান থেকে দক্ষিণ সুদান এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে পূর্ব তিমুর নামক আলাদা খ্রিস্টান রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছিলো জাতিসংঘ ও সম্প্রাজ্যবাদীরা। বাংলাদেশেও ৩ পার্বত্য জেলাকে পৃথক করতে খ্রিস্টান মিশনারীরা ব্যাপক খ্রিস্টানীকরণ করেছে এতদিন। সেই খবর হয়ত কেউ কেউ জানেন।

আজকে এনসিটিবির সামনে স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি আর উপজাতিদের মধ্যে যে মারামারি হয়েছে, তার মূল ঘটনা হচ্ছে-
অনলাইনে নিউজ বলছে- স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি সংগঠনটি দীর্ঘদিন ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার বিদেশী ষড়যন্ত্র সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার জন্য কাজ করছে। (তথ্যসূত্র কমেন্টে)

অপরদিকে আজকে উপজাতি রাস্তায় নেমেছিলো, উপজাতিদের সাংবিধানিক আদিবাসী স্বীকৃতির জন্য। কারণ উপজাতিদের যদি সাংবাধিকান আদিবাসী স্বীকৃতি দেয়া হয় তবে জাতিসংঘের আইন অনুসারে উপজাতিরা ৩ পার্বত্য জেলায় তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখিয়ে স্বায়ত্তশাসন বা পৃথক ভূখণ্ড দাবী করতে পারে। ফলে ৩ পার্বত্য জেলা বাংলাদেশ থেকে পৃথক হয়ে যাবে। যেই ছবিটা দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা ১৫ বছর আগে প্রকাশ করেছিলো। এক্ষেত্রে ভারত উপজাতিদের উস্কানি দিয়ে যাচ্ছে।

উপজাতি-আদিবাসী প্রশ্নে বাংলাদেশের সকল গভঃমেন্ট এক ছিলো। কেউ তাদের আদবাসী বলেনি, বলেছে- ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী। কারণ দেশের অখন্ডতা প্রশ্নে ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই। বিশেষ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী উপজাতিদের ষড়যন্ত্র দমন করতে পাহাড়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। তবে এর বিরুদ্ধে প্রথম আলো – ডেইলি স্টার, খ্রিস্টান মিশনারী ও বাম সংগঠনগুলো। তারা উপজাতিদের আদিবাসী হিসেবে সব সময় উল্লেখ করে এবং সাংবিধানিক স্বীকৃতির জন্য কাজ করে।

তবে আমাদের তরুণ প্রজন্ম একটু সুশীল বলে সব সময় প্রথম আলো ডেইলি স্টারের ন্যারেটিভে চলে। যেমন- এখন বলছে- স্টাম্পে পতাকা বেধে মারলো কেন? উপজাতিদের মাথায় সেলাই কেন ? ইত্যাদি।
আরে ভাই, বাংলাদেশকে কেউ খন্ড-বিখণ্ড করতে চাইলো, তখন আপনি কী চুপ করে বসে থাকবেন ?
আজকে উপজাতিদের মিছিলের শিরোনাম ছিলো সংবিধানে আদিবাসী স্বীকৃতি, যার মাধ্যমে তারা দেশকে খণ্ড-বিখণ্ড করার ষড়যন্ত্রে নেমেছে। কেউ যদি দেশপ্রেম থেকে সেখানে বাধা দিলে অপরাধী হয়ে যায়, তবে স্বাধীনতার সময় দেশের জন্য যারা অস্ত্র ধরেছে তারাও তো অপরাধী। তারা রাইফেলে পতাকা ঝুলিলেছিলো, আর সভারেন্টি স্টাম্পে পতাকা বেধেছে পার্থক্য তো এখানেই।

ভাই, আমার কাছে ফালতু সুশীলতার কোন দাম নাই।
আপনি সুশীল হিসেবে নিউট্রাল থাকবেন, আর কেউ এসে আপনার দেশ নিয়ে যাবে, ধর্ম নিয়ে যাবে, এই ধরনের সুশীলতার পক্ষে আমি না।
তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টির পক্ষে।
কারণ তারা দেশ ও জাতির পক্ষে কাজ করেছে।
দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের তাৎক্ষণিক শাস্তি দিয়েছে।

আপনি বাঙালী হয়ে উপজাতিদের পক্ষে নিতে পারেন,
কিন্তু লাভ নেই। কারণ উপজাতিরা ৩ পাবর্ত্য জেলায় বাঙালী নিধন চায়, এটা মনে রাইখেন।
কয়েকদিন আগেও তারা ১ জন বাংলাদেশী কাঠমিস্ত্রিকে পিটিয়ে মেরেছে, তখন অবশ্য আপনাদের সুশীলতা ঘুমিয়ে ছিলো, কারণ প্রথম আলো না ডাকলে আবার আপনাদের ঘুম ভাঙ্গে না। উপজাতিরা গত কয়েক দশকে ৪০ হাজার বাঙালীকে হত্যা করেছে, সেই খবরও হয়ত জেনজির কাছে নাই।

যাই হোক, আগে পড়াশোনা করেন, তারপর বুঝেন স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি কত মহৎ
কাজ করেছে। আপনি যতটুকু চিন্তা করেন, তাদের কাজ তার থেকেও বহু উপরে।

সূত্রনয়ন চ্যাটার্জি
আগের পোস্টলামায় বাবা-ছেলেসহ ৭ তামাকচাষীকে জেএসএস অপহরণ করেছে।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন