ঢাকায় বাঙালি ছাত্রদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করেছে জেএসএস পিসিপি ও বামরা।

0

পাভেল করাচিন, হিল নিউজ বিডি ঢাকা প্রতিনিধি:

পাহাড় থেকে জেএসএস সন্তু গ্রুপের পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) ২/৩ দিন ধরে ঢাকায় লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নিয়েছে। বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিচ্ছিন্ন করার জন্য নব্য আদিবাসী শব্দ পাঠ্যবইয়ে পুনর্বহালের দাবিতে তারা দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

ঢাকায় বাম দলগুলোর নেতৃত্বে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন জেএসএস এর পক্ষে যারাই সহিংসতা তৈরি করেছে তারা হলেন, অনন্ত ধামাই (৩৬), রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা (২৪) ঢাবি শিক্ষার্থী, ইসাবা (২৬) ঢাবি শিক্ষার্থী, রেনইয়াং ম্রো (২৭) (বান্দরবান থানচি), ধনযেত্রা (৩০), শৈলী (২৭) ঢাবি শিক্ষার্থী, ধন ওয়াই ম্রো (২৪) ঢাবি শিক্ষার্থী, টনি চিরাং (৩০) ঢাবি শিক্ষার্থী। এরাই বিভিন্ন সময় পাহাড় নিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে অপপ্রয়াস চালিয়ে আসছিল। আজকের ঘটনার জন্য এরাই মূলত দায়ী। গত দু’দিন ধরে বিতর্কিত আদিবাসী ইস্যুতে উসকানিমূলক স্লোগান এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙালিবিরোধী কথাবার্তা সংঘর্ষ সৃষ্টি করে। কথিত আদিবাসী ফোরাম ও আদিবাসী যুব ফোরামের নামে তারা পার্বত্য চট্টগ্রামকে দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করতে জেএসএস এর নির্দেশে কাজ করছে।

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর পাঠ্যবইয়ে আদিবাসী শব্দ যুক্ত ছিল একটি গভীর ষড়যন্ত্র। তার সঙ্গে জড়িত রয়েছে দেশবিরোধী অপশক্তি। অথচ ৫ই আগস্টের আগে বৈষম্য বিরোধী কোটা আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান ছিল আজকের কথিত আদিবাসী দাবিদার পাহাড়ি সংগঠনগুলো। তারা তখন ৫% উপজাতি কোটা পুনর্বহাল দাবিতে পাহাড়ে ও চট্টগ্রাম-ঢাকায় সোচ্চার ছিল। এরা কিন্তু এখন পট পরিবর্তনের সুযোগে আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি তোলে!

স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টির বাঙালি ছাত্ররা সংবিধান বিরোধী আদিবাসী শব্দ বাতিলের দাবি করেছে। এখানে আদিবাসী শব্দের বিরোধিতা করায় বাঙালিদের ওপর উগ্র উপজাতি এবং বামরা পরিকল্পিত হামলা করেছে। অথচ একটি মহল আজকের ঘটনার জন্য একপেশে স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি তথা বাঙালিদের দায় করছে। এটি দুঃখজনক। স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টির ৮ জানুয়ারি প্রথম ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ পাঠ্যপুস্তকে “আদিবাসী” শব্দটি বাতিল এবং এমন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সামনে বিক্ষোভ করেছিল, সেসময় সংশ্লিষ্টদের উচিত ছিল দ্রুত পাঠ্যবই থেকে বিতর্কিত আদিবাসী শব্দটি সরানো এবং এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা কিন্তু তারা তা না করে দায়সারাভাবে ওয়েবসাইট থেকে আদিবাসী শব্দটি সরিয়েছে চুপ থাকে!

ছবি: দেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম রক্ষায় রক্তাক্ত বাঙালি ছাত্র

এদিকে প্রশাসন এই সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেনি। তারা আজকের স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টির এবং নব্য আদিবাসী দাবিদারদের কর্মসূচি বন্ধে ১৪৪ ধারা জারিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তাদের এই ব্যর্থতা আজকে ঢাকার বুকে পাহাড়ি বাঙালি সংঘর্ষ জড়িয়ে। উপজাতি সন্ত্রাসীরা পাহাড় থেকে ঢাকায় গিয়ে কীভাবে বাঙালি ছাত্রদের ওপর হামলা করে? তাদের শেল্টারদাতা কারা বের করা দরকার।

কথিত পাহাড়ি ছাত্রদের বাম দলগুলো এবং দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী ঢাকায় সহযোগিতা করে সংঘর্ষ সৃষ্টি করেছে। সংঘর্ষ সৃষ্টি করেও ষড়যন্ত্রে তারা থেমে নেই, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা গুজব এবং হামলা হয়েছে এই মর্মে রং লাগানো ছবি ছড়িয়ে এবং মেডিকেলে ভর্তি হইয়ে একটি ঘোলাটে পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। মামলা হামলার মাধ্যমে বাঙালি ছাত্রদের দমন করতে চায়! আজ ২০ জনের অধিক বাঙালি ছাত্র আহত হয়। এই নিয়ে সচেতন মহল বর্ণিত উগ্র সন্ত্রাসী ও বাম ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার দাবি করে বলেন, ঢাকায় উপজাতিদের আদিবাসী দাবির বিরুদ্ধে প্রশাসনিকভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত, একই সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি ও সংবিধানের ২৩ (ক) অনুচ্ছেদের উপজাতি শব্দ লঙ্ঘন করে যারা আদিবাসী শব্দ ব্যবহার করবে তাদের সকল সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন।

ছবি: রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা, তিনি আন্দোলনরত বাঙালি ছেলেদের ওপর হামলা করতে ঢাকার রাস্তায় প্রকাশ্যে লাঠি হাতে মহড়া দিয়েছেন।

এই নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পার্বত্য বাঙালিরা। ঢাকার বুকে দেশদ্রোহী এবং ভিনদেশি দখলদার উপজাতি কর্তৃক বাঙালিদের ওপর হামলা মেনে নেওয়া যায় না। ১৭০০ সালের পরবর্তী সময় মঙ্গোলীয়, তিব্বত, ভারত ও বার্মা থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় গ্রহণ করা উপজাতিরা আজ এদেশে নিজেদের আদিবাসী দাবি করে এবং বাঙালিদের সেটেলার এবং হেনস্তা করে কথা বলে! সরকারের উদাসীনতা এবং সহনশীল পার্বত্য নীতি তাদেরকে উচ্চাভিলাষী করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মাধ্যমে ১৯৯৭ সালে সরকার তাদের সকল দাবিদাওয়া নিশ্চিত করেছে। এরপর তাদের কীসের দাবি? ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠীর ইন্ধনে এখন এই উপজাতিরা সন্ত্রাসীরা আদিবাসী শব্দের আড়ালে পাহাড়ে একটি রাস্ট্র গঠন করতে চায়। দেশভাগের এই দাবি কীভাবে এ দেশের বামরা সমর্থন করে তা বোধগম্য নয়। সুশীল, প্রগতিশীলতার ট্রাম ব্যবহার করে তারা দেশে অশান্তির বীজবপন করে।


ছবি: আদিবাসী শব্দের বিরুদ্ধে ঢাকায় প্রতিবাদকারী ছাত্র সমাজকে প্রতিহত করতে পাহাড় থেকে লাঠিসোঁটা এবং ঢাকায় বিভিন্ন এলাকায় গার্মেন্টের শ্রমিক হিসেবে কাজ করা লোকদের নিয়ে এনসিটিবি কার্যালয় সড়কে অবস্থান নেওয়া উগ্র উপজাতি। বাঙালি ছাত্ররা মিছিল নিয়ে আসলে অতর্কিতভাবে হামলা করেন।
ছবি: জেএসএস পিসিপি’র নেতা লাঠি হাতে বাঙালিদের ওপর হামলা করার পূর্ব প্রস্তুতি
আগের পোস্টপার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটি পুনর্গঠন।
পরের পোস্টলামায় বাবা-ছেলেসহ ৭ তামাকচাষীকে জেএসএস অপহরণ করেছে।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন