বামপন্থী সংগঠনগুলোকে মাঠে নামাচ্ছে খ্রিস্টান মিশনারীরা

0

নয়ন চ্যাটার্জি

এনসিটিবির সামনে পাহাড়ি ও বাঙালীদের মধ্যে মারামারিকে কেন্দ্র করে হঠাৎ মাঠে সক্রিয় হয়েছে বাম সংগঠনগুলো। ছাত্র ফেডারেশনসহ বাম সংগঠনের কর্মীদের হঠাৎ করে মাঠে সক্রিয় দেখা যাচ্ছে। তারা পুলিশের সাথে চিরচরিত ধাক্কাধাক্কি মারামারি করছে। নারী কর্মীরা রাস্তায় পরছে, আর পুরুষরা তাদের কোলে করে হাসপাতালে নিতে নায়কচিত ভূমিকা দেখাচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ করে কেন বাম সংগঠনগুলো মাঠে নামছে ? তাদের ফান্ডিং করছে কারা ?

পুরো বিষয়টির পেছনে কাজ করছে মূলত খিষ্টান মিশনারীরা। আপনারা লক্ষ্য করেছেন নিশ্চয়ই, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী আচার-সংস্কৃতিতে বাধা দেবার জন্য বাম সংগঠনগুলো বাঙালী ও মুসলমানদের সবচেয়ে বেশি দায়ী করে। কিন্তু ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর সংস্কৃতি দখল করার পেছনে সবচেয়ে বেশি কাজ করে খ্রিস্টান মিশনারীরা। সেটা নিয়ে বামসংগঠনগুলোকে কখন কথা বলতে দেখেছেন ? দেখেননি। কারণ বাম সংগঠনগুলোকে পেছন থেকে খ্রিস্টান মিশনারীরাই ফান্ডিং করে, যেন পাহাড়ে খ্রিষ্টানরা একচ্ছত্র অধিপত্য বজায় রাখতে পারে। আর ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীরা ধর্মে খ্রিস্টান হলেও তাদের আদিবাসী স্বীকৃতির মাধ্যমে জাতিসংঘ থেকে চাপ দিয়ে আলাদা খ্রিস্টান রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা চলছে। ঠিক যেভাবে পূর্ব তীমুর ও দক্ষিণ সুদান নামক খ্রিস্টান রাষ্ট্রের জন্ম হয়।

একটা ঘটনা ঘটলে তার আলটিমেট লাভবান কারা সে দিকে দৃষ্টি দেয়া বেশি জরুরী। আর এক্ষেত্রে লাভবান খ্রিস্টান মিশনারীরাই হবে। কারণ আদিবাসী স্বীকৃতির মাধ্যমে তাদের এতদিনের বিনিয়োগ সফলতার মুখ দেখবে। আর সে জন্যেই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর আদিবাসী স্বীকৃতি তাদের দরকার। আর সেই স্বীকৃতির জন্য মাঠে কাজ করছে বাম সংগঠনগুলো। তাদের যদি সকল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্যই দরদ হতো, তবে খ্রিস্টান থেকে মুসলিম হওয়া ওমর ফারুক ত্রিপুরাকে কেন হত্যা করা হলো তার জন্য বিচার চাইতো আগে। কিন্তু তারা কখনই সেটা চায় না।
এ থেকে প্রমাণিত হয়, বাম সংগঠনগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা করে ওমর ফারুক ত্রিপুরার হত্যাকারী, অর্থাৎ খ্রিস্টান মিশনারীরাই।

আপনাদের আরো হিসেব মিলিয়ে দেই। পাঠ্যবই প্রস্তুতে এনজিও-মিশনারীরা প্রায় ৬শ’ কোটি টাকা ফান্ডিং করে। আর সেই ফান্ডিং এর কারণে খ্রিস্টান মিশনারীদের দেয়া কনটেন্ট ঢুকাতে বাধ্য হয় এনসিটিবি। আপনারা যারা মনে করছেন আদিবাসী সম্বলিত গ্রাফিতি এমনি এমনি ঢুকে গেছে তারা বোকার রাজ্যে বাস করছে। এই গ্রাফিতি ঢুকেছে এনজিও বা মিশনারীতের ফান্ডিং-এই। আবার পাঠ্যবই কারেকশনের মূল ছিলো রাখাল রাহা ওরফে সাজ্জাদ। এই রাখার সাহা হচ্ছে বাম সংগঠন ছাত্র ফেডারেশনের লোক। যেই ছাত্র ফেডারেশন মাঠে নেতৃত্ব দিয়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকজনদের এনসিটিবির সামনে নিয়ে এসছে।

পুরো বিষয়টি হিসেব মেলালে সহজেই মিলে যাবে।

সূত্রNoyon Chatterjee
আগের পোস্টমায়ানমার থেকে অস্ত্র পাচার হচ্ছিল বাংলাদেশে, সামনে এল ভয়ঙ্কর তথ্য।
পরের পোস্টআদিবাসী একটি জোট শব্দ, যার ভেতরে লুকিয়ে আছে বাঙালী বিদ্বেষ।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন