বান্দরবানে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক দলের সদস্য জনতার হাতে আটক।

0

নিলয় বড়ুয়া, লামা প্রতিনিধি:

বান্দরবানের লামায় স্থানীয় জনতার সাহসী পদক্ষেপে অস্ত্রসহ মংএনু মারমা (৩৪) নামে এক সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে। তিনি ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক দলের সদস্য বলে জানা গেছে।

ভিডিও

আজ সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের ক্যায়াজুপাড়া এলাকায় চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী তৎপরতা চালানোর সময় স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

স্থানীয়দের মতে, দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী দলটি ওই এলাকায় ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি চালিয়ে আসছিল। সোমবার সকালে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক দলের তিন সদস্য ক্যায়াজুপাড়া এলাকায় চাঁদাবাজির উদ্দেশ্যে আসে। তাদের তৎপরতা দেখে স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে ধাওয়া দেয়। ধাওয়ার সময় মংএনু মারমাকে আটক করা হয়, তবে বাকি দুই সদস্য পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

ক্যায়াজুপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর আতিকুর রহমান জানিয়েছেন, আটককৃত মংএনুর কাছ থেকে একটি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

স্থানীয় বাঙালি অধিবাসীরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, তাদের এলাকায় সন্ত্রাসীদের কোনো জায়গা নেই। স্থানীয় এক বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “বাঙালি এলাকায় চাঁদাবাজি চলবে না। কীভাবে সাহস হয় অস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করার?”

আটক মংএনু মারমা বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে আগে থেকেই সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয়দের হাতে আটক হওয়ার পর মংএনুকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে এবং পলাতক দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে।

বান্দরবানের মতো সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ এলাকায় এমন সন্ত্রাসী কার্যক্রম স্থানীয়দের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠছে। তবে জনতার ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ প্রমাণ করেছে যে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে সবাই প্রস্তুত।

 

আগের পোস্টরাঙামাটি টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ভোলকান ক্লাব চ্যাম্পিয়ন।
পরের পোস্টক্ষুদ্র জাতিসত্তা, উপজাতি নাকি আদিবাসী: একেএম শামসুদ্দিন।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন