এম কে আনোয়ার, খাগড়াছড়ি
খাগড়াছড়ি পৌরসভায় একটি বিতর্কিত ঘটনা ঘটেছে, যা সাম্প্রদায়িক বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিফলন। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিএনপির ১ নং ওয়ার্ড সভাপতি সেবা প্রত্যাশী হিসেবে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের পরিবর্তে এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন তৃপ্তি শংকর চাকমা। তার কাছে নাগরিক সনদের প্রত্যয়ন নিতে জরুরি কাগজপত্র জমা দেন। অভিযোগ উঠেছে যে, কাগজপত্র গ্রহণের পর তৃপ্তি শংকর চাকমা ১০০০ টাকা ঘুষ দাবি করেন। বিএনপির নেতা টাকা দিতে অস্বীকার করলে, তৃপ্তি শংকর চাকমার নেতৃত্বে কয়েকজন উপজাতি যুবক সেবা প্রত্যাশীকে মারধরের চেষ্টা করেন। ফলে, বিএনপির নেতা ঘটনাস্থল থেকে চলে আসতে বাধ্য হন এবং পরবর্তীতে স্থানীয়দের কাছে বিষয়টি জানান।
এরপর আবার যখন বিএনপির নেতা প্রত্যয়ন স্বাক্ষর নিতে যান, তৃপ্তি শংকর চাকমা স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করে তাকে হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন। বিএনপির নেতা জানান, রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরও ঘুষের দাবি অব্যাহত রয়েছে।
একই অভিযোগ করে সংখ্যালঘু হিন্দু নারী। তিনি জানান, তার শাশুড়ীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। বিভিন্নভাবে হেয় প্রতিপন্ন করেন।
ঘুষ দাবির অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী যুবক। তারা তৃপ্তি শংকর চাকমার উশৃঙ্খল আচরণ ও ঘুষ দাবির কথা স্বীকার করেছেন।
ঘুষ দাবির অভিযোগ অসত্য বলে দাবি করেছেন, নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমা।
এছাড়া, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় ভোটার হতে গিয়ে অনেক বাঙালি নাগরিক কাগজপত্রের জন্য মারাত্মক ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। নির্বাচন কমিশনের ২৩ জানুয়ারির পরিপত্র ১ অনুযায়ী অহেতুক শর্ত জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। রোহিঙ্গা ইস্যু দেখিয়ে নতুন ভোটার তৈরি করতে যেসব কাগজপত্র দাবি করা হচ্ছে, তা সাংবিধানিকভাবে অপ্রত্যাশিত এবং অযৌক্তিক।
এ ঘটনাটি প্রশাসনিক ত্রুটির একটি অশুভ ইঙ্গিত, যা ভোটার হওয়ার প্রক্রিয়াকে আরও জটিল ও অস্বস্তিকর করে তুলছে।
এখানে মূলত শব্দের কিছু পরিবর্তন, বাক্য গঠন এবং বিষয়টির স্পষ্টতা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করেছি।