পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শাহাদাত ফরাজী সাকিবকে দেশবিরোধী চক্রান্তকারীদের মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের প্রতিবাদে আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আয়োজনে এ মানববন্ধনে ছাত্রনেতা ইব্রাহিম খলিল অপির সঞ্চালনায় এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়া।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের ঢাকা মহানগর সভাপতি আবদুল হামিদ রানা, সাবেক ছাত্রনেতা অধ্যক্ষ ইখতিয়ার ইমন, প্রভাষক সাইফুল ইসলাম ও ছাত্রনেতা রিয়াজুল হাসান।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে পাঠ্যপুস্তকে সুপরিকল্পিতভাবে ‘আদিবাসী’ শব্দ যুক্ত করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে সাধারণ ছাত্র জনতা এনসিটিবি অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করলে উপজাতি সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। অথচ ওইদিন ঘটনাস্থলে অনুপস্থিত থাকলেও, শাহাদাত ফরাজী সাকিবের নামে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এরই ধারাবাহিকতায় ১২ ফেব্রুয়ারি তাকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রধান অতিথি ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়া বলেন, “শাহাদাত ফরাজী সাকিব সবসময় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তাকে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলব।”
অধ্যক্ষ ইখতিয়ার ইমন বলেন, “আদিবাসী শব্দের অন্তরালে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করে ‘জুমল্যান্ড’ প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্র রুখতে শাহাদাত ফরাজী সাকিবের মতো নেতাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দমন করা হচ্ছে।”
বক্তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শাহাদাত ফরাজী সাকিবের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। অন্যথায়, পার্বত্য চট্টগ্রামে হরতাল, অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এই অন্যায় গ্রেফতার ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলার বিরুদ্ধে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণের আহ্বান জানান মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা।