২৪ জুলাই বিপ্লবের মহা নায়ক ছিলেন রাঙামাটি লংগদু উপজেলার কৃতিসন্তান শাহাদাত ফরাজি সাকিব! এদেশের স্বৈরাচার মুক্ত করতে জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের পুরোটাই ঢাকার রাজপথে ছিলো সাকিব। ঢাকার সাইন্সল্যাব এরিয়ার দায়িত্বে থেকে তিনি দেশপ্রেমের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন।
তবে, স্বাধীনতা অর্জনের পরেও পার্বত্য চট্টগ্রামকে এক দশমাংশের জন্য মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়নি। ভারত নতুন করে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু করেছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর মাধ্যমে। তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, গ্রাফিতি অঙ্কনসহ নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো বাংলাদেশ সংবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে এবং আদিবাসী ইস্যুকে কেন্দ্র করে সারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। এই পরিস্থিতিতে ঢাকায় উপজাতি ও বাম সংগঠনগুলো ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু করে, এবং বানোয়াট মামলা দায়ের করে দেশপ্রেমিক নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে।
দেশপ্রেমিক সাকিব, যিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতার ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, সেই সাকিবকে মিথ্যা বানোয়াট মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। সাকিবের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যমূলক। জানা গেছে, পাঠ্যবই থেকে বিতর্কিত আদিবাসী শব্দ পরিহারের দাবি জানিয়ে গত ১৫ জানুয়ারি এনসিটিবি ঘেরাও কর্মসূচী করে স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি নামে একটি সংগঠন। এসময় শব্দটি বহাল রাখার দাবিতে সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র ব্যানারে কর্মসূচী দিয়ে অতর্কিত হামলা করে স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টির উপর৷ এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরবর্তীতে বিক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে রাজধানীর মতিঝিল থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মতিঝিল থানার একটি মিথ্যা মামলায় শাহাদাত ফরাজি সাকিবকে গ্রেফতার করা হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের বিভিন্ন শাখার নেতাকর্মীরা সাকিবের বিরুদ্ধে আনিত মিথ্যা বানোয়াট মামলা প্রত্যাহারের জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন, “সাকিবের মুক্তি মিছিলে একাকার হয়ে যাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙালি জনগণ।”
এক্ষুনি সাকিবের মুক্তি প্রদান করা হোক এবং তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা হোক!
বার্তা প্রেরক:
মোঃ আলমগীর কবির
মহাসচিব
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ (পিসিএনপি), কেন্দ্রীয় কমিটি
