বান্দরবানের সন্ত্রাসবাদ ও পর্যটন শিল্পের অন্তঃসারশূন্যতা।

এক সময় হাজারো পর্যটকের স্বপ্নের ঠিকানা ছিল বান্দরবান কিন্তু বর্তমানে কেএনএফের নির্মম কার্যক্রম পর্যটন শিল্পকে ধ্বংসের কুলিতে পরিণত করেছে।

0

হিল নিউজ বিডি প্রতিবেদক:

বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের অন্তর্গত বান্দরবান একসময় ছিল শান্তি, সম্প্রীতি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অনন্য নিদর্শন। তাজিংডং, কেওক্রাডং মতো সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এই জেলায়। পাহাড়ের কোলে ঘেরা এই জেলা পরম প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যে ভরা, যেখানে নীল আকাশ, নিরলস ঝর্ণা ও সবুজাভ বনভূমি পরিদর্শকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে বিবেচিত। তবে বিগত দশকে এই শান্তি ও সৌন্দর্য ধীরে ধীরে নিধন হয়ে যাচ্ছে এক নির্মম সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অগ্রণীতে।

বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার ২ নং রুমা সদর ইউনিয়নের ইডেন পাড়ার বাসিন্দা মৃত জাওতন লনচেও এর ছেলে নাথানা লনচেও প্রকাশ নাথান বম এর নেতৃত্বে ২০০৮ সালে, এক সেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা “কেএনডি” (কুকি-চিন ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন) পরবর্তীতে রূপান্তরিত হয়ে “কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট” (কেএনএফ) নামে এক সশস্ত্র গোষ্ঠীতে পরিণত হয়। বম জনগোষ্ঠীর উগ্র মতবাদে বিশ্বাসী যুবকেরা এই সংগঠনে যোগদান করে। প্রতিবেশী দেশের কাচিন, কারেন প্রদেশ ও মনিপুর রাজ্যের কঠোর গেরিলা প্রশিক্ষণের অন্তর্গত হয়ে ২০১৯-২০২১ সালে কেএনএফের সদস্যরা বাংলাদেশের বান্দরবানে ফিরে আসে। এই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ও নিষ্ঠুর সংগঠনের প্রবেশ দ্বারমুক্ত হয়ে যায় বান্দরবান অঞ্চলে, যেখানে তারা অবাধ অপহরণ, নির্বিকার খুন-গুম, চাঁদাবাজি ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের মর্মান্তিক পর্ব শুরু করে।

সন্ত্রাসবাদ ও অবৈধ চাঁদাবাজির অপার প্রয়াসে বান্দরবান ধীরে ধীরে এক ভয়াবহ অভয়ারণে পরিণত হয়েছে। গত এক দশকে পার্বত্য চট্টগ্রামে জেএসএস সংস্কার, ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক, মগ লিবারেশন পার্টি ও কেএনএফসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক সংগঠন আত্মপ্রকাশ করে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে নির্মম অপরাধচক্রে লিপ্ত হয়েছে। এই গোষ্ঠীগুলোর সক্রিয় কার্যক্রম রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রিত শান্তি-প্রক্রিয়া ও সাধারণ জনগণের দৈনন্দিন জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে।

১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সরকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) বা শান্তিবাহিনীর মধ্যে সম্পাদিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি এক সময় অন্ধকার যুগের কালো অধ্যায়কে হ্রাস করে আলোর কিরণ ফেলেছিল। বান্দরবানকে তখন এক শান্তি ও সম্প্রীতির মডেল হিসেবে গড়ে তুলেছিল। তবে কেএনএফের আগমন ও সশস্ত্র কার্যক্রম এই শান্ত পরিবেশকে এক মুহূর্তেই চূর্ণবিচূর্ণ করে ফেলে।

বান্দরবান বহু বছর ধরে পর্যটকদের মুগ্ধ করে আসা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহাসিক স্থানসমূহের কারণে দেশের অন্যতম আকর্ষণীয় জেলা হিসেবে পরিচিত ছিল। তাজিংডং, কেওক্রাডং, নীলগিরি, নাফাখুম, বগালেক, থানচি, রেমাক্রি, তিন্দু, দেবতাখুমসহ অসংখ্য পর্যটন স্পট এক সময় হাজারো পর্যটকের স্বপ্নের ঠিকানা ছিল। কিন্তু বর্তমানে কেএনএফের নির্মম কার্যক্রম পর্যটন শিল্পকে ধ্বংসের কুলিতে পরিণত করে দিয়েছে।

সশস্ত্র গোষ্ঠীর অসাধু নিষেধাজ্ঞার ফলে, জেলা বিস্তীর্ণ অঞ্চলে পর্যটকদের যাতায়াত বাধাগ্রস্ত হয়েছে। রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচি উপজেলার পর্যটন স্পটগুলোতে সন্ত্রাসীদের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা ও নিরাপত্তা অবরোধের ফলস্বরূপ পর্যটকসংখ্যা প্রায় শূন্যে নেমে এসেছে। পর্যটন-নির্ভর হোটেল, রেস্টুরেন্ট, গাড়ি চলাচলের মাধ্যমে স্থানীয় অর্থনীতির গতিধারা এক বিরল বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে।

পর্যটকদের অনুপস্থিতিতে, জেলা বিস্তীর্ণ এলাকায় দুই শতাধিক হোটেল-মোটেলের কার্যক্রম স্থবির হয়ে গেছে। চাকরি ছাঁটাই ও কর্মহীনতার বৃদ্ধির ফলে হাজারো মানুষ দৈনন্দিন জীবিকার সংগ্রামে বিরতিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এলাকার প্রায় ৫০০ টির বেশি যানবাহন, ২০০ টির অধিক নৌযান, ৩০০ টির আশেপাশে ট্যুরিস্ট গাইড ও অন্যান্য পর্যটন সেবা প্রদানকারী কর্মীরা বেকার অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দ্বার ব্যাংক ঋণের বোঝা বহন করে ব্যবসার ভিত্তি গড়ে তুলেছিল, কিন্তু আজ সেই স্বপ্নগুলো অশান্তির কারাগারে পরিণত হয়েছে।

কেএনএফের নির্মম অত্যাচারের ছাপ শুধু পর্যটন শিল্পেই পড়ে না, বরং স্থানীয় সাধারণ মানুষের জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। পাহাড়ি ও বাঙালি জনগোষ্ঠী একসময় মিলেমিশে শান্তিপূর্ণ ও ঐক্যবদ্ধভাবে বাস করত, কিন্তু সন্ত্রাসীদের নিষ্ঠুর কার্যক্রম তাদের অতীতের মধুর স্মৃতিকে ধূলিসাৎ করে বর্তমানকে করুণ বাস্তবে রূপান্তরিত করেছে।

অসংখ্য পরিবারে আজ হারিয়ে গেছে প্রিয়জন, সন্তান, ঘরবাড়ি ও স্বপ্নের অধিকার। এক উপজাতি পরিবারের করুণ কাহিনী অতীব হৃদয়বিদারক। একজন মধ্যবয়সী উপজাতি ব্যক্তি, যিনি একসময় পর্যটকদের গাইড হিসেবে পরিচিত ছিলেন, কেএনএফের জবরদস্ত প্রচেষ্টার মুখে দাঁড়িয়ে, তাঁর প্রিয়জন হারিয়ে একান্ত ব্যথার সম্মুখীন হয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর দহনে শত শত পরিবারের জীবন শূন্যতায় নিমজ্জিত হয়েছে। এ ছাড়া, দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে আসা দেশি-বিদেশি পর্যটকও কেএনএফের নির্মম কার্যক্রমের শিকার হয়ে ভয়ানক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হচ্ছেন। পর্যটকদের এই আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তার ফলে, বান্দরবানে পর্যটন আগমন ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।

বান্দরবান ভৌগোলিক ও কৌশলগত কারণে সন্ত্রাসীদের নির্মূল করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। সন্ত্রাসীরা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে অবাধে অবস্থিত অবরক্ষিত সেনা ক্যাম্প, সীমান্তরেখা ও প্রাকৃতিক বাধার সুযোগ গ্রহণ করে নিজেদের কার্যক্রমকে নিরাপদে অঞ্জলি দান করছে। অবৈধ অস্ত্রের অবাধ সরবরাহ, দুর্বল সীমান্ত নজরদারি এবং পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাহিনীর অভাবে কেএনএফ অবিরাম কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে এবং একটি জঙ্গি গোষ্ঠীকে অর্থের বিনিময়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করার অভিযোগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রথম অভিযানে নামে। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নানা Joint Operation ও অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের নির্মূলের চেষ্টা চালিয়েছে, তবে পাহাড়ি অঞ্চল ও দুর্বিষহ ভূ-পরিবেশের কারণে সফলতা সীমাবদ্ধ হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত অবরক্ষিত সেনা ক্যাম্প ও অপ্রতুল মানবশক্তি সন্ত্রাসীদের কার্যক্রম বন্ধ করতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে পারেনি, যার ফলে সন্ত্রাসীদের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

বান্দরবানের বর্তমান বিপর্যয় থেকে রেহাই পেতে হলে প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক পর্যায়ে তদারকি ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা অপরিহার্য।

প্রথমত, নিরাপত্তা বাহিনীকে আধুনিক প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণে সমৃদ্ধ করে সশস্ত্র গোষ্ঠী নির্মূলের ওপর জোরদার অভিযান পরিচালনা করতে হবে। অবৈধ অস্ত্র ও অর্থের উৎস বন্ধ করতে আইন-আদালতের সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করা আবশ্যক।

দ্বিতীয়ত, পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক কর্মসূচি ও পুনরুজ্জীবন প্রকল্প হাতে নিতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত হোটেল-মোটেল, পর্যটন সেবা প্রতিষ্ঠান ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য আর্থিক সহায়তা, ঋণ মাফি ও পুনর্গঠনমূলক পরিকল্পনা গ্রহণ করা যেতে পারে। এ ছাড়াও, সরকারের উচিত পর্যটন শিল্প পুনরুজ্জীবনের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের উদ্দেশ্যে নিরাপদ ও মনোরম পরিবেশ নিশ্চিত করা।

তৃতীয়ত, সমাজের অবহেলিত ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর (বিশেষ করে পাহাড়ি জনগণের) জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও শিক্ষা-স্বাস্থ্য সহায়তার মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। এক্ষেত্রে স্থানীয় ভাষা ও সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী ভান্ডারকে পুনরুজ্জীবিত করে, আবারও প্রতিফলিত করার মাধ্যমে তাদের সাংস্কৃতিক আত্মসম্মান ও পরিচিতিকে বর্ধিত করা যেতে পারে।

বান্দরবান কেবল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি এক সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের নিদর্শনও ছিল। পাহাড়ি উপজাতি ও বাঙালি জনগোষ্ঠীর মিলেমিশে রচিত ইতিহাস, পরস্পরের প্রতি আন্তঃভূত সম্মান ও ঐক্যের অমোঘ উদাহরণ ছিল। তবে সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও চাঁদাবাজির ছাপ দিয়ে সেই ঐক্য ধ্বংসের কশীর মধ্যে রূপান্তরিত হচ্ছে।

তবে আশার আলো এখনো অদূরে। দেশের উচ্চশিক্ষিত নীতিনির্ধারক, সমাজকল্যাণকর্মী ও শিল্পপতি সকলের যৌথ প্রয়াসে বান্দরবানের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক ঐক্য পুনরুদ্ধার ও পর্যটন শিল্প পুনরুজ্জীবিত করার সম্ভাবনা বজায় রয়েছে। এই প্রয়াসে, স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সক্রিয়ভাবে সমন্বিত করে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পুনর্গঠন নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ একটি অপার সৌন্দর্য ও সম্ভাবনাময় দেশ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ঐক্য, হারানো ঐতিহ্য ও গভীর মানবিক মূল্যবোধের দেশে পর্যটন শিল্প কেবল অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যম নয়, বরং জাতিগত ও সামাজিক বন্ধনের এক অমলিন প্রতীক। বান্দরবানকে একসময় যে শান্তির haven হিসেবে গড়ে উঠেছিল, তা পুনরায় ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে দেশের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত জোরালো ও সুসংগঠিত উদ্যোগ গ্রহণ করা।

সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কেএনএফের নির্মম কার্যক্রম কেবল এক এলাকারই নয়, সমগ্র বাংলাদেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক চিত্রকে প্রভাবিত করছে। যদি এই নির্মম অপরাধচক্র অব্যাহত থাকে, তবে দেশের হারানো স্বপ্ন, হারানো সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অবক্ষয় নিশ্চিত।

তবে যদি জাতি ভেদাভেদ ভুলে দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা এক হয়ে, নিরাপত্তা বাহিনী, প্রশাসন ও সমাজের প্রতিটি স্তরের সমন্বয়ে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করি, তবে বান্দরবান আবারও শান্তির জনপদে পরিণত হতে পারে। এ জন্য প্রশাসনিক কঠোরতা, আর্থিক সহায়তা ও সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণের সমন্বয়ে একটি সুসংগঠিত রণনীতি গ্রহণ করা অপরিহার্য।

আজকের দিনে আমরা শুধু বান্দরবানকে নয়, সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের শান্তি ও উন্নয়নের প্রত্যাশা পোষণ করি। সাধারণ জনগণ, ব্যবসায়ী, পর্যটক ও প্রশাসনের সমন্বয়ে একটি সুসংহত প্রয়াসে যদি সন্ত্রাসবাদ ও চাঁদাবাজির এই কালো অধ্যায় নির্মূল করা যায়, তবে ফিরে আসবে সেই হারানো স্বপ্ন, ফিরে আসবে সেই প্রাচীন ঐক্যবদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিবেশ।

আশা করা যায়, অতি শিগগিরই কঠোর ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে কেএনএফের নির্মম কার্যক্রম দমিত হবে ও বান্দরবান আবারও পর্যটনের ও সাংস্কৃতিক ঐক্যের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে। এভাবেই আমাদের পাহাড়ি ও বাঙালি আমাদের ঐতিহ্য ও আমাদের স্বপ্ন নতুন করে রূপ নেবে, এবং হারানো প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক সৌন্দর্যের পুনরুদ্ধার সম্ভবপর হবে।

তথ্য সূত্র:
১। দৈনিক ইত্তেফাক ২৬ অক্টোবর, ২০২২ ও ১২ জুন ২০২৩
২। প্রথম আলো ১২ অক্টোবর, ২০২২
৩। এখন টিভি ১০ এপ্রিল, ২০২৪
৪। প্রতিদনের সংবাদ ০৪ জানুয়ারি, ২০১৯
৫।  ডিবিসি: ১লা ডিসেম্বর, ২০২১
৬। ইনডিপেনডেন্ট ০৭ অক্টোবর, ২০২৪

আগের পোস্টরাঙামাটিতে মাদক সংক্রান্ত বিরোধ থেকে মারামারি: পুলিশ আটক করেছে একজনকে।
পরের পোস্টবিলাইছড়িতে সেনাবাহিনীর অভিযানে জেএসএস চাঁদা কালেক্টর আটক।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন