পাইশিখই মারমা | ঢাকা
রাজধানীর শাহবাগে পুলিশের শান্তিপূর্ণ অবস্থানে হামলার ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) নেতা ও আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য কেএসমং মারমার ছেলে অং অং মারমা।
১১ মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে শাহবাগে বাম সংগঠনগুলোর ‘লাল সন্ত্রাস’ প্রতিরোধে পুলিশের অবস্থানের সময় সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর নৃশংস হামলা চালায় শাহাবাগি ও পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন জেএসএসের নেতাকর্মীরা।
চাক্ষুষ তথ্য অনুযায়ী, পুলিশের ওপর এই হামলায় নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় পাহাড়ে সক্রিয় সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন জেএসএস নেতা কেএসমং মারমার ছেলে অং অং মারমাকে। জেএসএস দীর্ঘদিন ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে এবং সংগঠনটির বিরুদ্ধে ৩০ হাজারের বেশি বাঙালি ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষকে হত্যা এবং সেনাবাহিনীর সদস্যদের হত্যার অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, কেএসমং ও তার ছেলে অং অং মারমা জেএসএসের সক্রিয় সদস্য হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং তারা বাংলাদেশকে বিভক্ত করে তিন পার্বত্য জেলা নিয়ে ‘জুম্মল্যান্ড’ নামে একটি পৃথক রাষ্ট্র গঠনের ষড়যন্ত্র করছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দেশের বাম সংগঠনগুলোর ‘লাল সন্ত্রাস’ কৌশলের অন্যতম সহযোগী পাহাড়ের জেএসএস। অভিযোগ রয়েছে, বামপন্থী সংগঠনগুলো রাজনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়লেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা চালাতে জেএসএসের মতো সংগঠনকে ব্যবহার করছে।
এদিকে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পূর্বে এনসিটিবি ভবনের সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় শাহাদাত ফারাজী সাকিবকে গ্রেপ্তার করেছিল, যদিও তার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এখন প্রশ্ন উঠেছে, শাহবাগে পুলিশের ওপর হামলার মূল পরিকল্পনাকারী অং অং মারমাকে গ্রেপ্তার করা হবে কি না।
পাহাড়ের সাধারণ জনগণ দীর্ঘদিন ধরে জেএসএসের সশস্ত্র কার্যক্রম ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। তারা চায়, এই বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ও তাদের নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অবসান ঘটুক এবং পাহাড়ে শান্তি ফিরে আসুক।
এই ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য আসেনি। তবে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নগরীতে এনে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকিস্বরূপ।