গতকাল বুধবার মার্চ: পার্বত্য চুক্তিবিরোধী ইউপিডিএফ (প্রসীত) সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলিতে রাঙ্গামাটি জেলার বরকল উপজেলার সুবলং ইউনিয়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস)-এর এক প্রত্যাগত সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও একজন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন।
নিহত ব্যক্তির নাম কমল বিকাশ চাকমা (৪৯), পিতা মৃত জগন্নাথ চাকমা, গ্রাম রূপবান, ৮নং ওয়ার্ড, সুবলং ইউনিয়ন, থানা বরকল। আহত ব্যক্তি বিমল কান্তি চাকমা (৪২), পিতা মহারাজ চাকমা, গ্রাম পাগলী ছড়া, ১নং ওয়ার্ড, ৭নং লংগদু সদর ইউনিয়ন, লংগদু উপজেলা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে কমল বিকাশ চাকমা ট্রলার বোটে করে রূপবান বাজারে বাজার করতে যান। এ সময় ইউপিডিএফের সশস্ত্র কমান্ডার বোধিসত্ত্ব চাকমার (৪০) নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল বাজারে আসে এবং কমল বিকাশ চাকমাকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন এবং তার পাশে থাকা বিমল কান্তি চাকমা গুরুতর আহত হন।
হামলার পরপরই ইউপিডিএফের সন্ত্রাসীরা নিহত কমল বিকাশ চাকমার ট্রলার বোটটি নিয়ে লংগদুর দিকে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় নেতৃত্বদানকারী বোধিসত্ত্ব চাকমা (৪০), পিতা অশ্বথামা চাকমা, বাড়ি লংগদু ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড, মধ্য খাড়িকাবা গ্রামে। তার নেতৃত্বে হামলায় অংশ নেওয়া অন্যান্য সন্ত্রাসীদের পরিচয়—
শুভ রঞ্জন চাকমা ওরফে গুল্য (৪৫), পিতা মৃত পুনংচান চাকমা, গ্রাম পেত্যছড়ি, ৮ নং ওয়ার্ড, ১নং সুবলং ইউনিয়ন। রিনেল চাকমা ওরফে বাংলাকানা (৩৫), পিতা চন্দ্র ধ্বজ চাকমা, গ্রাম উত্তর উকছড়ি, ৭ নং ওয়ার্ড, সুবলং ইউনিয়ন। বিপ্লব চাকমা (৩৫), পিতা লক্ষি কুমার চাকমা, গ্রাম উত্তর উকছড়ি, ৭ নং ওয়ার্ড, সুবলং ইউনিয়ন।
এ হত্যাকাণ্ডের পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান।
এ হত্যাকাণ্ড পার্বত্য চট্টগ্রামে ইউপিডিএফের সহিংস কার্যক্রমের আরেকটি প্রমাণ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
স্থানীয়রা বলছে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চুক্তির পর থেকে জেএসএস ইউপিডিএফ মুখামুখি। তাদের মধ্যে খাগড়াছড়ি পানছড়ি সংঘাত হয়েছিল। সে সংঘাতের রেষ ধরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।