নিউজ ডেস্ক |
পার্বত্য চট্টগ্রামে চলমান সকল সহিংসতার পেছনে মূল কারণ হিসেবে চাঁদাবাজি ও অবৈধ অস্ত্রের প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো: জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, এই চাঁদাবাজি বন্ধ না করা গেলে এই অঞ্চলে সহিংসতা নির্মূল করা সম্ভব হবে না।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) দুপুরে রাঙামাটির বিজিবি সেক্টর সদর দপ্তরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, “কোট-স্যুট পরা লোকেরাই বড় বড় কথা বলে এসব অপকর্মকে জিইয়ে রাখে। কোনো অবস্থাতেই এ ধরনের চাঁদাবাজি বা সন্ত্রাস বরদাস্ত করা হবে না। কঠোর হাতে এদের দমন করা হবে এবং কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।” এ সময় তিনি সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ভারতীয় মিডিয়ার সমালোচনা করে বলেন, “ভারতীয় মিডিয়া মিথ্যা প্রচারে চ্যাম্পিয়ন। তাদের কিছু মিডিয়ার কাজই হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো। বাংলাদেশের মিডিয়াকে সত্য প্রচারের মাধ্যমে এর জবাব দিতে হবে।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, জেলা পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদারসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এর আগে সকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হেলিকপ্টারযোগে রাঙামাটির সাজেক ও বাঘাইহাটে বিজিবির বিভিন্ন ক্যাম্প পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এই সফর ও মন্তব্য পার্বত্য চট্টগ্রামের চলমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের কঠোর অবস্থানের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা। তবে তা কতটা বাস্তবতার মুখ দেখে দেখার বিষয়।