পাহাড়ের উন্নয়নে বড় অন্তরায় শিক্ষার অনগ্রসরতা: জেলা প্রশাসক রাঙামাটি।

0

“শিক্ষার পরিবর্তন ছাড়া পাহাড়ের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়”—এমন মন্তব্য করেছেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ মারুফ।

তিনি বলেন, “পাহাড়ের সকল সমস্যার মূলেই রয়েছে শিক্ষার অনগ্রসরতা। শিক্ষা খাতে গুণগত পরিবর্তন আনতে পারলে অন্যান্য খাতেও আমূল পরিবর্তন আসবে।”

রাঙামাটিতে বুধবার (৯ এপ্রিল) সকা‌লে জেলা প্রশাস‌কের স‌ম্মেলন ক‌ক্ষে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে আয়োজিত ‘শিক্ষা সম্মেলন ও সৃজনশীল উদ্যোগ’ শীর্ষক এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় ডিসি জানান, জেলার প্রতিটি উপজেলায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিয়ে ত্রিপক্ষীয় সভা আয়োজন করা হবে। পাশাপাশি মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে চালু করা হবে গ্রুপ স্টাডি ব্যবস্থা। দুর্গম এলাকার পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য নেওয়া হবে বিশেষ পরিকল্পনা।

তিনি আরও বলেন, “পাহাড়ে শিক্ষার হার এখনও সন্তোষজনক নয়, যা আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়। শিক্ষা ছাড়া এই অঞ্চলের অগ্রগতি সম্ভব নয়।”

সভায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করিম বলেন, “দুর্গমতার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে আবাসিক বিদ্যালয়ের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষাকে সামনে রেখে প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সমন্বয়ে টিচিং ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “পাহাড়ের জনগোষ্ঠীকে আলোর পথে আনতে শিক্ষার বিকল্প নেই। এজন্য প্রয়োজন সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সহযোগিতা।”

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার উপপরিচালক মোঃ মোবারক হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) পাঠান মোঃ সাইদুজ্জামান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত আসমা, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমা, শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, এনজিও ও সুশীল সমাজের সদস্যরা।

সভায় অংশগ্রহণকারীরা পাহাড়ের শিক্ষাব্যবস্থার চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করে মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগ ও বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

আগের পোস্টসংবিধান অমান্য করে আদিবাসী প্রোগ্রামে রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।
পরের পোস্টক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আদিবাসী প্রোগ্রামে রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান; তীব্র নিন্দা পিসিসিপি’র

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন