নিউজ ডেস্ক
অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মপরিকল্পনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অন্তর্ভুক্ত করে তার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার দাবিতে রাজধানী ঢাকায় দিনব্যাপী গণসংযোগ ও সচেতনতামূলক পথসভা আয়োজন করেছে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলন’।
আগামী শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ঢাকাজুড়ে অনুষ্ঠিতব্য এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ১০টায় পুরান ঢাকার ঐতিহাসিক বাহাদুর শাহ পার্ক প্রাঙ্গণ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে গণসংযোগ কার্যক্রম। কর্মসূচির আওতায় প্রচারপত্র বিতরণ, সচেতনতা মূলক বক্তব্য এবং পথসভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে একাধিক স্থানে।
দিনভর চলমান এই কার্যক্রমে ছয়টি পথসভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমটি বাহাদুর শাহ পার্কে, এরপর পর্যায়ক্রমে প্রেসক্লাব, শাহবাগ, ফার্মগেট, মিরপুর-১০ ও উত্তরা রাজলক্ষ্মীতে আয়োজন করা হবে সভাগুলো।
গণসংযোগের নির্ধারিত পথরেখা হলো— বাহাদুর শাহ পার্ক, প্রেসক্লাব, টিএসসি, শাহবাগ, ফার্মগেট, শ্যামলী, মিরপুর-১, মিরপুর-১০, ইসিবি চত্বর, বিমানবন্দর ও উত্তরা।
পথসভাগুলোতে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করবেন— বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, দৈনিক সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, পাশাপাশি যুব ইউনিয়ন, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্ট ও বিসিএলের নেতৃবৃন্দ।
এছাড়া কর্মসূচিতে সংহতি জানাবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, মানবাধিকার রক্ষায় নিয়োজিত নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও বিশিষ্টজনেরা।
চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের যুগ্ম সমন্বয়কারী মানবাধিকারকর্মী জাকির হোসেন এবং অধ্যাপক খায়রুল ইসলাম চৌধুরী এক যৌথ বিবৃতিতে ঢাকাবাসীকে কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। একইসঙ্গে তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহযোগিতাও কামনা করেন।
১৯৯৭ সালের ২-রা ডিসেম্বর তৎকালীন সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি (জেএসএস) মধ্যকার পার্বত্য চুক্তি সম্পাদিত হয়। চুক্তিতে ৭২টি ধারার অধীনে ৯৯টি উপধারা রয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী: ৬৯টি উপধারা সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত হয়েছে। ১৫টি উপধারা আংশিক বাস্তবায়িত রয়েছে। বাকি ১৫টি উপধারা এখনো বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াধীন। কিন্তু চুক্তির মৌলিক শর্ত অবৈধ অস্ত্র সরকারের নিকট সম্পন্ন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তা করেনি জেএসএস। সরকারি সূত্র বলছে অবৈধ অস্ত্র চুক্তি সম্পন্ন বাস্তবায়নে প্রধান বাধা। এখন জেএসএস যদি চুক্তি শতভাগ বাস্তবায়ন চায় তাহলে অবশ্যই শান্তি স্থাপনে তাদেরকে নিরস্ত্র হতে হবে।