নিউজ ডেস্ক
আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিভক্ত করে আলাদা করতে চায় — এমন মন্তব্য করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সাংসদ অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “বাংলার মানুষ কোনো ষড়যন্ত্র সফল হতে দেবে না। জামায়াত ইসলামি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এলে পার্বত্য চট্টগ্রামের সব সংকটের স্থায়ী সমাধান করা হবে।”
অদ্য শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টায় বান্দরবান বাজার মাঠে আয়োজিত জামায়াতের কর্মী ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “সরকারি বিভিন্ন পদে বসে থাকা মানবতা বিরোধী শক্তির দোসরদের বিতাড়িত করতে হবে। দেশের লাখ লাখ মানুষের চোখের পানি যারা ফেলেছে, তাদের বিচার বাংলার মাটিতে হবেই।”
সমাবেশে বান্দরবানের ৩০০ নং আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবুল কালামকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান অধ্যাপক পরওয়ার।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের চট্টগ্রাম মহানগরী আমির ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য আলহাজ শাজাহান চৌধুরী বলেন, “জামায়াত কখনো পার্বত্য অঞ্চলের উপজাতিদের জমি দখল করেনি। যারা জমি দখল করেছে, তারা গত ১৭ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে। শেখ মুজিবুর রহমান পাহাড়িদের বাঙালি বানাতে গিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিরোধ সৃষ্টি করেছেন।”
তিনি আরও বলেন, “জামায়াত ইসলামী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে। প্রতিটি জাতিগোষ্ঠী তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও পরিচয় নিয়ে এগিয়ে যাবে।”
বান্দরবান জেলা জামায়াতের আমির এসএম আবদুচ ছালাম আজাদের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন—
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান, সাবেক এমপি ও চট্টগ্রাম মহানগরীর আমির আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আহসান উল্লাহ, চট্টগ্রাম অঞ্চল টিমের সদস্য মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক জাফর সাদেক, অধ্যাপক নুরুল আমিন, কক্সবাজার জেলা আমির অধ্যক্ষ নুর আহম্মদ আনোয়ারী, খাগড়াছড়ি জেলা আমির অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল মোমেন, রাঙামাটি জেলা আমির অধ্যাপক আব্দুল আলিম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আমির অ্যাড. আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আমির আলাউদ্দীন সিকদার বান্দরবান জেলার নায়েবে আমির ও জেলা পরিষদের সদস্য অ্যাড. মুহাম্মদ আবুল কালাম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, এটি ছিল বান্দরবানে জামায়াতে ইসলামীর প্রথম বড় জনসমাবেশ। বান্দরবানের সাতটি উপজেলা ছাড়াও কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সমাবেশে অংশ নেন, যা এলাকায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।