রাঙামাটি প্রতিনিধি
রাঙামাটি শহরের মানিকছড়ি চেকপোস্টে অভিনব কৌশলে কাঠ পাচারের সময় পাঁচ টনের একটি ট্রাক থেকে বিপুল পরিমাণ মূল্যবান চিড়াই কাঠ জব্দ করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। রোববার সকালে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এ ধরনের কাঠ পাচারচক্রের এক জটিল পরিকল্পনা ভেস্তে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
চেকপোস্টে থামানো বরিশাল নিবন্ধিত (ট-১১-০২৫৮) ট্রাকটিতে প্রথমে সাধারণ এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বহনের ছদ্মবেশ লক্ষ্য করা যায়। পরে গভীর পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ৩৩টি সিলিন্ডারের নিচে সুকৌশলে লুকানো রয়েছে ৬৯৪ টুকরো চৌকাঠ। চৌকাঠগুলো তৈরি ছিল চাম্পা, কড়ই, গুটগুটিয়া ও গোদা প্রজাতির মূল্যবান কাঠ দিয়ে, যা বর্তমানে সরকার নির্ধারিতভাবে বিক্রয় নিষিদ্ধ। বাজারমূল্য প্রায় ১৫ লাখ টাকা।
এ সময় কাঠবোঝাই ট্রাকের চালক আব্দুল মান্নান (৩৫) এবং কাঠের মালিক পরিচয়দাতা মোঃ আব্দুল অদুদ ওরফে কামরুল (৩৮)–কে ঘটনাস্থল থেকেই আটক করেন মানিকছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই চন্দন কুমার রায় ও এসআই রূপক কুমার রায়।
আটককৃতদের পরিচয় সম্পর্কে পুলিশ জানায়, চালক আব্দুল মান্নান রাঙ্গুনিয়া উপজেলাধীন ঠান্ডাছড়ির গাবতল ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং কাঠের মালিক কামরুল ইসলামপুরস্থ ৭নং ওয়ার্ডের সাদেকনগরের হাজী নুরুল ইসলামের সন্তান।
রাঙামাটি কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সাহেদ উদ্দিন জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র রাঙামাটি থেকে কাঠ পাচারের কাজে গ্যাস সিলিন্ডারবাহী ট্রাক ব্যবহার করছে, এমন গোপন সংবাদের পর পুলিশ ছায়া তদন্তে নামে। পরবর্তীতে পুলিশ সুপার ড. ফরহাদ হোসেনের নির্দেশে চেকপোস্টে নজরদারি জোরদার করা হয়।
ঘটনার পর জব্দকৃত কাঠ এবং আটককৃত ব্যক্তিদের বন বিভাগের নিকট হস্তান্তর করা হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের কর্তব্যরত ফরেস্টার মোঃ সুলতানুল আজীম নিশ্চিত করেছেন, বন বিভাগ এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বন আইনে মামলা দায়ের করে তাদেরকে আদালতে হস্তান্তর করে।