নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতায় ইউপিডিএফ ৪ শিক্ষার্থীকে মুক্তি দিতে বাধ্য হলো।

0

হিলনিউজবিডি প্রতিনিধি:

গত ১৬ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে খাগড়াছড়ি জেলার গিরিফুল এলাকা থেকে ইউপিডিএফ মূলদল সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে অপহৃত হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থী। এরপর থেকে তাদের উদ্ধার অভিযানে নামে নিরাপত্তা বাহিনী। গত সোমবার ২১ এপ্রিল ভোরে খাগড়াছড়ি ভাইবোনছড়া সেনাবাহিনী ইউপিডিএফ (মূল) এর শীর্ষ সন্ত্রাসীদের একটি গোপন আস্তানার সন্ধান পায়। আস্তানা থেকে গোলাবারুদ ও সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে এবং এটি ধ্বংস করে। এবং তাদের সম্ভাব্য স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। এক পর্যায়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ক্রমবর্ধমান চাপে গ্রেফতার হওয়ার ভয় থেকে ইউপিডিএফ অপহৃত শিক্ষার্থী ৫ জনের মধ্যে ৪ জনকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছেন। এরমধ্যে রিশন চাকমা (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ) কে এখনো মুক্তি দেয়নি বলে খবর পাওয়া গেছে।

সূত্রে জানা গেছে, ইউপিডিএফ গোপনীয়তা বজায় রেখে গত ২২ এপ্রিল অপহৃতদের মুক্তি দেওয়ার জন্য কাউখালী উপজেলার নাকশছড়ি এলাকায় নিয়ে আসে। পরে সেখান থেকে ২২ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭ টায় জীবতলি মইনে এলাকায় ইউপিডিএফ নেতা উদয় চাকমার মাধ্যমে দিব্যি চাকমাকে মুক্তি প্রদান করা হয়।

স্থানীয় সূত্র আরও জানায়, অন্যদের ব্যাপারে সরাসরি তথ্য পাওয়া না গেলেও দিব্যি চাকমাকে তার পিতা ধনঞ্জয় চাকমার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। পিতা ও কন্যা নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রেখে দ্রুত তাদের নিজ বাড়িতে রওনা হন।

বর্তমানে মুক্তি পাওয়া ৪ শিক্ষার্থীদের সুনির্দিষ্ট অবস্থান ও যোগাযোগের বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছে, নিরাপত্তার স্বার্থেই পরিবার এ বিষয়ে মুখ না খুললেও বিশ্বস্ত সূত্র হতে প্রাপ্ত খবরে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র বলছে মুক্তি দেওয়ার আগে ইউপিডিএফ তাদের থেকে জোরপূর্বক জবানবন্দি রেকর্ড করে। এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করে যাতে মুক্তি পাওয়ার পর ইউপিডিএফ কোনো মুখ না খোলে।

তবে এই বিষয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি।

 

আগের পোস্টপাহাড়ি নারীর ইজ্জতের মূল্য মাত্র ১০ হাজার টাকা: জেএসএসের বিচারে ক্ষোভ।
পরের পোস্টমিথ্যা ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার বাঙালি যুবক ফাহিম: রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ স্থানীয়দের।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন