মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার বাঙালি যুবক ফাহিম: রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ স্থানীয়দের।

0

কাউখালী প্রতিনিধি

পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নের পোয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. ফাহিম (২৩) কে একটি মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু মামলার অন্য আসামী রিমন চাকমাকে পুলিশ গ্রেফতার করেনি! স্থানীয়দের দাবি, তিনি উপজাতি-বাঙালি দোসরদের একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন।

জানা গেছে, ফাহিমের সঙ্গে একই ইউনিয়নের বড়ঢুলু পাড়ার এক মারমা তরুণীর (২৩) প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তরুণীটি ফাহিমদের বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে অবস্থান করতেন। সেখান থেকেই দুজনের মধ্যে গভীর সম্পর্কের সূত্রপাত। স্থানীয়রা জানান, উভয়েই প্রাপ্তবয়স্ক এবং সম্মতিতেই তাদের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

তবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারণে পরিস্থিতির মোড় ঘুরে যায়। ফাহিমের পিতা আনোয়ার মেম্বার আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ায়, তাকে এবং তার পরিবারকে চাপে ফেলার কৌশল হিসেবে ছেলের প্রেমের সম্পর্ককে ব্যবহার করে প্রতিপক্ষরা। অভিযোগ রয়েছে, কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা এবং এলাকার কিছু উশৃঙ্খল তরুণ মিলে কৌশলে ষড়যন্ত্র সাজিয়ে ফাহিমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তৈরির চেষ্টা করে।

স্থানীয়রা দাবি করেন, ১৫ তারিখ তরুণী ধর্ষিত হয়েছে বলে নাটক সাজানো হয় এবং গত ১৭ এপ্রিল রাতের একটি ঘটনায় তরুণী ও তার পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করে কাউখালী থানায় ধর্ষণের মামলা করানো হয়। একইসাথে, নির্দিষ্ট কিছু সাংবাদিককে ব্যবহার করে প্রচার চালানো হয় যে, এক বাঙালি যুবক মারমা তরুণীকে ধর্ষণ করেছে। এরপর পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ, সমাবেশ এবং মিডিয়া-ভিত্তিক তথ্যসন্ত্রাস ছড়িয়ে পড়ে।

ফাহিমের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ তাদের উপর প্রচণ্ড চাপ প্রয়োগ করে এবং অবশেষে বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার কদম রসূল এলাকা থেকে ফাহিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তাকে রাঙামাটির কাউখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং আগামীকাল তাকে আদালতে পাঠানো হবে। কিন্তু মামলায় রিমন চাকমাকে গ্রেফতার না করায় মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

এ বিষয়ে একাধিক স্থানীয় ব্যক্তি বলেন, “প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে-মেয়ের প্রেম থাকতেই পারে। সম্মতিতে যদি কিছু হয়, তাহলে সেটা ধর্ষণ হয় কীভাবে? এটা তো সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা।” তাদের ভাষ্য, “ফাহিম মূলত তার পিতার রাজনীতির বলি হয়েছেন।”

আঞ্চলিক দলগুলো তথ্য ছড়িয়েছে সেটেলার বাঙালি মারমা তরুনী ধর্ষণ করেছে। এর মাধ্যমে তারা বাঙালিদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে। এ বিষয়ে এখনো বাঙালি সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয়দের দাবি, সত্য উদঘাটনে নিরপেক্ষ তদন্ত জরুরি।

একটি সূত্র জানিয়েছে ফাহিমকে ধরতে পুলিশ ফাহিমের বোনকে শশুর বাড়ি থেকে তুলে এনেছে এবং তার মাকে আটক করে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে এবং মারধরের ভয়ভীতি দেখায়। পুলিশের অতিউৎসাহী ভূমিকা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল। এছাড়াও পিতা আনোয়ার মেম্বারকে মিথ্যা মামলায় দেওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়েছে।

 

 

আগের পোস্টনিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতায় ইউপিডিএফ ৪ শিক্ষার্থীকে মুক্তি দিতে বাধ্য হলো।
পরের পোস্টজাতিসংঘে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি পূর্ণ বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন