গুইমারা প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়ির গুইমারায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে স্থানীয় জনসাধারণের হাতে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন মার্টিন চাকমা নামে এক কুখ্যাত উপজাতি সন্ত্রাসী। আজ বুধবার (৭ মে ২০২৫) সকালের দিকে গুইমারা উপজেলার দেওয়ানপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মার্টিন চাকমা এলাকাবাসীর কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করছিলেন। এ সময় ক্ষুব্ধ জনতা তাকে আটক করে এবং বেদম মারধর করে। ঘটনার খবর পেয়ে গুইমারা থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মার্টিনকে উদ্ধার করে। পুলিশের সহযোগিতায় উভয়পক্ষের মধ্যে মিটমাটের মাধ্যমে পরে স্থানীয়ভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা নিংহ্লা মারমা জানান, “মার্টিন চাকমার চাঁদাবাজিতে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলাম। সে প্রায়শই মোবাইলে হত্যার হুমকি দিত, ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করত। তার এই ধরনের কর্মকাণ্ড আমাদের জনজীবনকে অতিরিক্ত দুর্বিষহ করে তুলেছে।”
আরেক বাসিন্দা পাইচা চিং বলেন, “মার্টিন চাকমা প্রায়ই গুইমারার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াত এবং তার সঙ্গে আরও ২-৩ জন সঙ্গী থাকত। তারা নিজেদের ‘পার্টির লোক’ দাবি করে জাতির মুক্তির নামে চাঁদা দাবি করত। আমরা বহুবার বাধা দিয়েছি, কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। এখন পুলিশ এসে উদ্ধার না করলে জনতা তাকে উত্তম শিক্ষা দিতো। ”
মার্টিন চাকমা (৩ ১) জানান, তার বাড়ি রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার ২নং ফটিকছড়ি ইউনিয়নের ঢুলুপাড়া গ্রামে। তার পিতার নাম নিরঞ্জন চাকমা এবং মাতার নাম শুভপুতি চাকমা।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, মার্টিন চাকমা দীর্ঘদিন ধরে পার্বত্য অঞ্চলে চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি ও অস্ত্রের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শনের কাজে লিপ্ত ছিল। গত ২০২২ সালের ২১ আগস্ট তাকে রাঙামাটি ঘাগড়া ৩ইবি এলাকায় সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে সেনাবাহিনী। তখন মুচলেকা দিয়ে সে মুক্তি পায় এবং প্রতিশ্রুতি দেয় যে, সে আর এই ধরনের কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হবে না। কিন্তু বারবার কাউখালী উপজেলায় চাঁদাবাজি, গাড়ি ছিনতাই, চুরি-ডাকাতি, মানুষদের ক্ষতিসাধন, অস্ত্র ব্যবসা, অপহরণ ও মানুষদের ভয়ভীতি দেখান। কাউখালী হাজাছড়ির কচুখালীর দোকানদার লিটন চাকমাকে অপহরণ করে ৩ লাখ টাকা আদায় করেছিল এই মারটিন চাকমা। পরবর্তীতে বিভিন্ন অভিযোগে সন্ত্রাসী মারটিন চাকমা কাউখালী ছাড়া হন বলে জানান সূত্র।