সন্ত্রাসীদের গুলিবর্ষণে কাঁপলো সরই — পুলিশ ফাঁড়ি ঘিরে হুমকি, আতঙ্কে জনপদ।

0

লামা প্রতিনিধি | হিলনিউজবিডি ডটকম

বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের কেয়াজুপাড়া বাজারে শনিবার (১৭ মে) রাত ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে এক ভয়ংকর দৃশ্যের অবতারণা ঘটে। হঠাৎ করেই অতর্কিতে পাহাড়ি সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা বাজারে ঢুকে সাধারণ মানুষের ওপর লাঠিচার্জ করে, দুই রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে এলাকাজুড়ে ভয়াবহ আতঙ্ক সৃষ্টি করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাজারে ক্রয়-বিক্রয় ও চা-নাস্তার জন্য অবস্থানরত ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ তখন হঠাৎ গোলযোগের শিকার হন। সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি চিৎকার করে লাঠিচার্জ শুরু করে এবং গুলির শব্দে মানুষ দিগ্বিদিক ছুটতে থাকে।

বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী হিলনিউজবিডিকে জানান, হামলার পর সন্ত্রাসীরা কিছু সময়ের জন্য সরই পুলিশ ফাঁড়িকে ঘিরে রাখে এবং সেখানকার অবস্থান পর্যবেক্ষণ করে।

হামলাকারীরা যাওয়ার সময় প্রকাশ্যেই বলে, “যাদের চিঠি দেয়া হয়েছে, তারা টাকা পৌঁছে দিবে। না হয় খবর আছে। এইটাই শেষ ওয়ানিং।”

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সন্ত্রাসীদের হাতে ছিল উন্নতমানের আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। তারা অত্যন্ত সংগঠিতভাবে হামলায় অংশ নেয়। যদিও প্রত্যক্ষদর্শীরা কেউই নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি, সন্ত্রাসীরা কোন গ্রুপের সদস্য।

তবে তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, অন্তত ৮-১০ জনকে বাজারে সরাসরি দেখা গেছে এবং বাজারের চারপাশে আরও বেশ কয়েকজন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সন্ত্রাসীরা বাজারে প্রবেশ করে সরইয়ের পূর্ব দিক অর্থাৎ লুলাইং রাস্তা হয়ে আসার পথ ব্যবহার করে।

হঠাৎ এই হামলার ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। বাজারের এক প্রবীণ ব্যবসায়ী বলেন, “এভাবে রাতের বেলা বাজারে ঢুকে হামলা চালানো আমাদের জীবনে কখনো দেখিনি। এখন ঘুমাতে ভয় লাগছে। কাল সকালেই দোকান বন্ধ করে দেব ভাবছি।”

আতঙ্কিত এলাকাবাসীরা দ্রুত নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন। হামলা, গুলিবর্ষণ ও পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও প্রসঙ্গে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।

আগের পোস্টপার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর আত্মত্যাগ ও অবদান: এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়।
পরের পোস্টবান্দরবান-চট্টগ্রাম সীমান্তে অস্থিরতা, জেএসএস সশস্ত্র টহল, চাঁদাবাজি ও হামলা।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন