দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে ‘মিলিটারি অপারেশনস জোন’ একটি গুজব: Northeast News-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।

0

দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কক্সবাজার থেকে বান্দরবান পর্যন্ত এলাকাকে “মিলিটারি অপারেশনস জোন” হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে—এমন দাবি করে ভারতীয় গণমাধ্যম Northeast News একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তবে এই প্রতিবেদনকে সম্পূর্ণ মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার হিসেবে আখ্যায়িত করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

আজ রবিবার (০১ জুলাই) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, Northeast News-এর “Bangladesh to declare Cox’s Bazar to Bandarban area as a Military Operations Zone” শীর্ষক প্রতিবেদনটি কোনোভাবেই বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে, যা স্পষ্টত একটি সাংবাদিকতার মুখোশে বিদ্বেষমূলক অপচেষ্টা।

প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নাকি “সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর প্রতি সহানুভূতিশীল”। আইএসপিআর এই মন্তব্যকে নিতান্তই কল্পনাপ্রসূত, বিভ্রান্তিকর এবং দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার একটি চক্রান্ত হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। এমন ভুয়া সংবাদের উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা এবং দেশের শান্তিপূর্ণ পার্বত্য অঞ্চলে অস্থিরতা উসকে দেওয়া।

আইএসপিআর আরও জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব, সংবিধান এবং শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় সদা প্রস্তুত ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেনাবাহিনী পেশাদারিত্বের সর্বোচ্চ মানদণ্ডে থেকে কাজ করে থাকে, এবং দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কখনোই কোনো আপস করে না।

সংস্থাটি এও উল্লেখ করেছে, এই ধরনের মিথ্যা ও কল্পনাপ্রসূত প্রতিবেদনকে সাংবাদিকতা বলা যায় না। এটি একটি সুপরিকল্পিত ও ধারাবাহিক কুৎসা রচনার অংশ, যা পার্শ্ববর্তী দেশের কিছু মহলের নির্দিষ্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও কৌশলের বহিঃপ্রকাশ।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা দেশের অখণ্ডতা, জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি রক্ষায় সর্বদা সক্রিয় এবং প্রয়োজনবোধে যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ।

বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র, এবং দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভিন্নদেশীয় অপপ্রচার বা বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচারের কোনো সুযোগ নেই—এ কথা পুনরায় স্মরণ করিয়ে দিয়ে আইএসপিআর গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল ও তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন প্রকাশের আহ্বান জানায়।

প্রসঙ্গত, পার্বত্য চট্টগ্রামে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কার্যক্রম শান্তি চুক্তির আলোকে পরিচালিত হয়, যেখানে নাগরিক নিরাপত্তা, অবকাঠামো উন্নয়ন ও সন্ত্রাস দমনই প্রধান লক্ষ্য। দেশের এই অংশে যে কোনো ধরনের সহিংসতা বা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রশাসন ও সেনাবাহিনী সবসময় জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে থাকে।

আগের পোস্টঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার সংলাপ শুরু সোমবার, ইউপিডিএফ বাদ।
পরের পোস্টকাপ্তাই সেনা জোনের উদ্যোগে মাদ্রাসা ও এতিমখানায় ত্রাণ সহায়তা প্রদান।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন