অবৈধ সেগুন কাঠ জব্দ: বন কর্মকর্তার তৎপরতায় চোরাকারবার ব্যর্থ।

0

অমর বিন জাবেদ | লামা প্রতিনিধি

বান্দরবান জেলার লামা সদর রেঞ্জে ট্রাক ভর্তি অবৈধ সেগুন কাঠ পাচারকালে একটি কাঠভর্তি ট্রাক জব্দ করেছে বন বিভাগ। সোমবার (২ জুন) রাত আনুমানিক ৮টার দিকে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় কাঠবোঝাই ট্রাকটির গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা আতা এলাহি ধাওয়া শুরু করেন।

ধাওয়া খেয়ে ট্রাকটি সাবেক বিলছড়ি সড়কে থেমে গেলে পুলিশ সহায়তায় সেটি জব্দ করে লামা সদর রেঞ্জ কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।

বন বিভাগের একাধিক সূত্র জানায়, ডলুছড়ি রেঞ্জের আওতাধীন পাহাড়ি এলাকা থেকে মূল্যবান সেগুন কাঠ কেটে পাচার করা হচ্ছিল। বন কর্মকর্তাদের সক্রিয় ভূমিকায় কাঠ চোরাকারবারিদের এ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রামে বহুদিন ধরে সক্রিয় কাঠ চোরাকারবারি সিন্ডিকেট ধ্বংস করে চলেছে পাহাড়ি বনজ পরিবেশ। বিলুপ্তপ্রায় ও সংরক্ষিত গাছের নির্বিচার কাটায় স্থানীয় বাস্তুতন্ত্র বিপন্ন হয়ে পড়েছে। এ সিন্ডিকেট নানান মহলে চাঁদা প্রদান এবং প্রশাসনের নিরবতা বা সহযোগিতা নিশ্চিত করে কাঠ পাচারের পথ সুগম করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এই অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে সরকার প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। বন সংরক্ষণ আইন থাকা সত্ত্বেও কাঠ পাচার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলে পরিবেশবাদীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

এ বিষয়ে রেঞ্জ কর্মকর্তা আতা এলাহি বলেন, “আমরা বনজ সম্পদ রক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্ক আছি। এই ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জব্দকৃত ট্রাক ও কাঠের বিষয়ে বন আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। একইসাথে সিন্ডিকেটে জড়িতদের শনাক্ত করতে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

স্থানীয় পরিবেশ কর্মীরা জানিয়েছেন, অবৈধ কাঠ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে পার্বত্য অঞ্চলের বনভূমি এবং জীববৈচিত্র্য চিরতরে হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

 

 

আগের পোস্টকাপ্তাই সেনা জোনের উদ্যোগে মাদ্রাসা ও এতিমখানায় ত্রাণ সহায়তা প্রদান।
পরের পোস্টপোশাক কারখানায় সন্দেহজনক ইউনিফর্ম, সাবেক এমপি আবদুচ ছালামের প্রতিষ্ঠানে অভিযান।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন