চন্দনাইশে শান্তিবাহিনীর অপহরণ, দ্রুত সেনা অভিযানে উদ্ধার।

0

হিলনিউজবিডি প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব এলাহাবাদের চাইলাছড়ি পাহাড়ি এলাকায় তিন জন গ্রামবাসী পাহাড়ে নিজেদের লেবু বাগানে কাজ করার সময় অস্ত্রের মুখে অপহরণ করেছিল সশস্ত্র শান্তিবাহিনীর সন্ত্রাসীরা।

শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫ খ্রি. সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঘটে এই ঘটনা। তবে সেনাবাহিনীর দ্রুত ও পরিকল্পিত অভিযানের মাধ্যমে অপহৃতরা উদ্ধার হয়।

অপহৃতরা হলেন মো. হারুন (৭০) ও তার দুই ছেলে নোমান (২০) এবং মাঈম (১৫), যারা ওই এলাকায় বসবাস করতেন।

সেনা সূত্র জানায়, শান্তিবাহিনীর আট সদস্য পূর্ব এলাহাবাদের চাইলাছড়ি এলাকায় থেকে তিন গ্রামবাসীকে জোরপূর্বক তুলে নেয়। তাদের মধ্যে একজনকে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ আনার শর্তে মুক্তি দেওয়া হলেও বাকি দুইজনকে পাহাড়ের অভিমুখে নিয়ে যাওয়া হয়।

মুক্তিপণ দিয়ে ফেরত আসা ব্যক্তি বিষয়টি চন্দনাইশ সেনা ক্যাম্পে জানালে ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন খালিদ হাসান মুগ্ধের নেতৃত্বে ৩৬ সদস্যের একটি দল সকাল ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সইন্নারঢালা, ধুচরি, স্বরবাথুলি ও ছইল্লাছড়ি এলাকায় প্রায় ১৮ থেকে ২০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে।

সন্ত্রাসীদের আশ্রয়স্থল তিন দিক থেকে ঘিরে ফেলার ফলে অপহরণকারীরা সেনা উপস্থিতি টের পেয়ে অপহৃত দুই কিশোরকে রেখে পালিয়ে যায়। পরে সেনাবাহিনী তাদের উদ্ধার করে বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।

দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় শান্তিবাহিনীর অপহরণের ঘটনা ঘটলেও আজকের সফল অভিযানে সেনাবাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপে স্থানীয়দের মধ্যে নিরাপত্তার অনুভূতি ফিরে এসেছে।

স্থানীয়রা জানায়, বান্দরবান-চট্টগ্রাম সীমান্ত এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজি ও অপহরণ করে এখানকার কয়েকটি পাড়াবাসীর জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে৷ অপহরণ ইস্যুতে দ্রুত চন্দনাইশ সেনা ক্যাম্পের অভিযানকে স্থানীয়রা সাধুবাদ জানান।

আগের পোস্টকাউখালীতে তিন অতিথির ওপর হামলার প্রতিবাদে বাজার বর্জনের ডাক ইউপিডিএফের।
পরের পোস্টঅস্ত্রের মুখে বাইক জিম্মি, পাহাড়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রশ্নে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন