চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়িতে ৪ টেলিকমকর্মী অপহরণের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সার্বস কমিউনিকেশন লিমিটেড।
সোমবার (১৬ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মোহম্মদ সুমন ইসলাম (৩২ বছর) ও আব্দুর রহিম (৩৬ বছর) নামে দুই কর্মী গত ৫ জুন সন্ধ্যা ৭টার দিকে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানার লেলাং ইউনিয়নের কর্নফুলী বাজার এলাকায় রবি টাওয়ারে কর্মরত অবস্থায় নিখোঁজ হন। বিষয়টি অবহিত করে ফটিকছড়ি থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয় ৬ জুন। কিন্তু ১০ দিন হয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত সেই ঘটনায় নিখোঁজ কর্মীদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এর আগে গত ১৯ এপ্রিল বেলা ১১টার দিকে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় ইডটকোর আওতাধীন রবি মোবাইল টাওয়ার থেকে মো. ইসমাইল মিয়া এবং আরে মারমা নামক অপর দুই কর্মীকে অপহরণ করা হয়। এ নিয়ে জাতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশ হয়। অপহৃতদের উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে জানালেও প্রায় দুমাসেও তাদেরকে উদ্ধার করা যায়নি। অপহৃতদের পরিবার, স্বজন ও সহকর্মী এ ঘটনায় আতঙ্কিত ও চরমভাবে উদ্বিগ্ন।
দুই মাসের মধ্যে পর পর এ রকম অপহরণের ঘটনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রামসহ সারা দেশে মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবার সঙ্গে জড়িত কয়েক হাজার কর্মী ভিষণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অপহৃত এবং নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবার ও স্বজনরা পার করছেন এক কঠিন সময়। তাদের সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় দ্রুততম সময়ে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। এ অবস্থায় সব ভয় ও আতঙ্ক দূর করতে নিখোঁজ ও অপহৃতদের দ্রুত উদ্ধারে আমরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্ট তথা প্রশাসনের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।
প্রসঙ্গত, বিটিআরসি অনুমোদিত টাওয়ার কোম্পানি ইডটকো বিডির হয়ে চট্টগ্রামসহ পার্বত্য চট্টগ্রমের তিন জেলায় অবস্থানরত টাওয়ারগুলোর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান সার্বস কমিউনিকেশন লিমিটেড। ২০২২ সাল থেকে টাওয়ারগুলো থেকে মূলত রবি ও অন্যান্য টেলিকম প্রতিষ্ঠান নেটওয়ার্ক তথ্য ভয়েস কল, ডাটা ও সব ধরণের সেবা যেমন- মোবাইল ব্যাংকিং এবং বিভিন্ন প্রয়োজনীয় অ্যাপস পরিষেবা চালনা করা হয়।