সেনাবাহিনী ও ইউপিডিএফ-এর ভয়াবহ গুলিবিনিময়: আহত ২, অস্ত্রসহ আটক ৩

0

নিজস্ব প্রতিনিধি

আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন) ভোরে রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের মইনেপাড়া স্কুল সংলগ্ন এলাকায় সেনাবাহিনী ও ইউপিডিএফ (প্রসীত গ্রুপ)-এর মধ্যে ভয়াবহ গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। সকাল ৪টা ১০ মিনিট থেকে ৫টা ৫ মিনিট পর্যন্ত চলমান এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষ আনুমানিক কয়েক ডজন রাউন্ড গুলি বিনিময় করে বলে নিশ্চিত করেছে নিরাপত্তা সূত্র।

ছবি: উদ্ধারকৃত অস্ত্র, গোলাবারুদ

সূত্র অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর রাঙামাটি সদর জোন (৬০ ইবিবি)-এর ক্যাপ্টেন আসিফ হাসান শোভনের নেতৃত্বে একটি টহল দল ওই এলাকায় ইউপিডিএফ-এর অস্তিত্বের খবর পেয়ে অভিযান চালায়। অভিযানের সময় ইউপিডিএফ সশস্ত্র সদস্যরা গুলিবর্ষণ শুরু করলে সেনাবাহিনীও পাল্টা জবাব দেয়। সেনাবাহিনীর একাধিক টিম বিভিন্ন দিক থেকে এলাকা ঘেরাও করে অভিযান পরিচালনা করে।

ঘটনায় সেনাবাহিনীর একজন সদস্য মো. তরিকুজ্জামান খান ডান হাতের আঙুলে গুলিবিদ্ধ হন। তাকে দ্রুত হেলিকপ্টারযোগে চট্টগ্রামের সিএমএইচ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও ইউপিডিএফ (প্রসীত)-এর তিনজন সদস্যকে ঘটনাস্থল থেকে এসএমজি রাইফেল, গোলাবারুদ ও আইডি কার্ডসহ আটক করা হয়।

ছবি: সেনা অভিযানে আটক তিন

আটককৃতরা হলেন: ১. মনসুখ চাকমা (৫০), পিতা মৃত বিন্দু কুমার চাকমা, ২. সিন্ধু মনি চাকমা (২৩), পিতা মনসুখ চাকমা, ৩. অন্তর চাকমা (১৯), পিতা সোনামুনি চাকমা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোলাগুলির সময় ঘাগড়া উল্টো পাড়ার এক পাহাড়ি ব্যক্তি পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

ছবি: সংগৃহীত গুলিবিদ্ধ পাহাড়ি

ঘটনার সময় ইউপিডিএফ-এর ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এলাকাটি সেনাবাহিনী ঘেরাও করে অভিযান চালায়। অভিযান এখনও চলমান রয়েছে বলে সেনাবাহিনী সূত্র জানিয়েছে।

এই সংঘর্ষ আবারও পাহাড়ে সশস্ত্র দলগুলোর সক্রিয়তার প্রমাণ বহন করে। স্থানীয়দের মাঝে এ নিয়ে আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে।

উল্লেখ্য, ইউপিডিএফ (প্রসীত গ্রুপ) দীর্ঘদিন ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা চালিয়ে আসছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টানা অভিযানের মধ্যেও তাদের কার্যক্রম বন্ধ হয়নি।

আগের পোস্টসেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র সহ ৯ জন সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ গ্রেফতার।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন