রাঙামাটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সশস্ত্র টহল, নিরাপত্তা নিয়ে তীব্র উদ্বেগ।

0
একটি সশস্ত্র গ্রুপ

নিউজ ডেস্ক:

রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে অস্ত্র হাতে একদল লোক টহল দিচ্ছে। অন্ধকার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে এমন দৃশ্য ধরা পড়ায় গোটা অঞ্চলে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়েছে।

জানা গেছে, গত ২৬ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিট — ক্যাম্পাসে অস্ত্রধারী যে দলটি ঘোরাফেরা করেছে, তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি শুক্রবার সকাল পর্যন্ত। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো গোষ্ঠী বা সংগঠনের নামও এখনো প্রকাশ করা হয়নি। ভিডিও ফুটেজ পরীক্ষা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাটির পেছনে সম্ভাব্য উদ্দেশ্য ও সংশ্লিষ্টতা অনুসন্ধানে কাজ করছে।

ভিডিও-

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের সহিংসতা, হতাহত বা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। তবু অস্বস্তিকর এই অবস্থায় কর্তৃপক্ষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং ক্যাম্পাসজুড়ে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।

স্থানীয় পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সক্রিয় কোনো উপজাতীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা হয়তো এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। তবে তাদের দাবির পক্ষে এখনো কোনো শক্ত প্রমাণ মেলেনি। প্রশাসনের একটি সূত্র জানায়, বিষয়টি রাজনৈতিক বা আঞ্চলিক দৃষ্টিকোণ থেকেও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, রাঙামাটি এবং পার্শ্ববর্তী পাহাড়ি অঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে বিচ্ছিন্নতাবাদী চুক্তি পক্ষ বিপক্ষ বিভিন্ন দাবিকারী কিছু সশস্ত্র গোষ্ঠীর তৎপরতায় উত্তপ্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভেতরে অস্ত্রধারীদের চলাচল সেই দীর্ঘস্থায়ী সংকটকে নতুন মাত্রা দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

এই ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত পাঠদান চালু থাকলেও তা এখন চলছে বাড়তি নিরাপত্তার ভেতরে।

এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি না এলেও সংশ্লিষ্ট মহল জানায়, পার্বত্য অঞ্চলের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের জরুরি বৈঠক আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয় প্রশাসনও এই ঘটনার পর পরই পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছে। এলাকার শান্তি বজায় রাখা এবং সম্ভাব্য উত্তেজনা প্রশমনে একযোগে কাজ করছে প্রশাসন ও নিরাপত্তাবাহিনী।

আগের পোস্টলামায় রিসোর্ট ম্যানেজারকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ, গণধোলাইয়ের পর আটক ৩ সন্ত্রাসী।
পরের পোস্টরাবিপ্রবির রাতের অস্ত্রধারী টহল—শিক্ষাঙ্গনে বিপদের বার্তা।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন