মানিকছড়ি প্রতিনিধি
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার বাটনাতলী ইউনিয়নের বুদংপাড়া এলাকা থেকে অপহরণের ১২ দিন পর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ টহল। নিহত কিশোরের নাম মো. সোহেল (১৪)। সে স্থানীয় গোরখানা শাহানশাহ হক ভান্ডারী সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে ছদুরখীল ওয়ার্ডের দুর্গম বুদংপাড়ার একটি ছড়া থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকালে তার হাত, পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় ছিল। নিহত সোহেল আবদুল জলিল দম্পতির একমাত্র ছেলে। তার বাড়ি ছদুরখীল এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরের পর জমিতে কাজ করতে গিয়ে ছড়ার পাশে লাশটি দেখতে পান কৃষক অংগ্যজাই মারমা। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ টহল ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
এর আগে, ৪ জুলাই রাতে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে সোহেল নিখোঁজ হয়। পরদিন অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তার নানার ফোনে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। বিষয়টি নিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে ১১ জুলাই অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ছদুরখীলের আবদুর রহিম ওরফে গফুর আনসার ৫ জনকে অভিযুক্ত করেন। যৌথবাহিনী প্রযুক্তির সহায়তায় ৩ জনকে আটক করে। আটকরা হলেন কসমকার্বারি পাড়ার সম্বু কুমার ত্রিপুরা (৩৬), গোরখানার মো. মাঈন উদ্দিন (২১) ও মো. ইয়াছিন মিয়া (২৮)।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা অপহরণের কথা স্বীকার করলেও সোহেলের অবস্থান জানাতে পারেনি। শনিবার (১২ জুলাই) তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আজ বিকালে এলাকায় পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।