সাজেকে পাহাড় ধসে সড়ক বন্ধ, বিপাকে শত শত পর্যটক: সহায়তায় এগিয়ে এসেছে সেনাবাহিনী।

0
সড়ক পরিষ্কারে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও বিজিবি

বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি

রাতভর টানা বর্ষণে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক সড়কের নন্দারাম, চাইল্ল্যাতলী ও চম্পক নগর এলাকায় পাহাড় ধসে পড়েছে। এতে খাগড়াছড়ির দিঘিনালা হয়ে সাজেকের সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে অন্তত তিনটি স্থানে পাহাড়ি মাটি, পাথর ও উপড়ে যাওয়া গাছপালা সড়কের উপর পড়ে। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। সাজেকে বেড়াতে যাওয়া ৪২৫ জন পর্যটক সেখানে আটকা পড়েছেন। পাশাপাশি দুই পাশে আটকে পড়া যানবাহনের যাত্রীদের মধ্যে নারী ও শিশুরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

পাহাড় ধসের পর বন্ধ যাতায়াত স্বাভাবিক করতে সহায়তায় এগিয়ে এসেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা

ঘটনার খবর পেয়ে দিঘিনালা ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দ্রুত সড়ক থেকে মাটি ও গাছ সরানোর কাজ শুরু করে। এছাড়া বড় পাথর ও উপড়ে যাওয়া গাছপালা সরাতে সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ও স্থানীয় প্রশাসন যৌথভাবে অভিযান শুরু করেছে। সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা জানান, “স্থানীয়দের নিয়ে প্রাথমিক কাজ শুরু করেছি। সেনাবাহিনী ও প্রশাসনকে জানিয়েছি, কারণ এসব সরাতে বুলডোজারের প্রয়োজন।”

এদিকে, খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপদ বিভাগের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, এই সড়কটি তাদের আওতাভুক্ত নয়; এটি ইসিবি (ECB) নির্মিত হওয়ায় সেনাবাহিনীর অধীনে রক্ষণাবেক্ষণ হয়ে থাকে। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর সিক্স বেঙ্গল বাঘাইহাট জোন, বিজিবি এবং বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। যার ফলে সড়ক পরিষ্কার কাজে সহায়তার অংশ হিসেবে সেনাবাহিনী ও বিজিবি এবং ফায়ার সার্ভিস যোগ দিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, টানা বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসের আশঙ্কা এখনও রয়েছে। দ্রুত রাস্তা পরিষ্কার করে যান চলাচল স্বাভাবিক করার দাবি জানিয়েছেন সাজেকে আটকে পড়া পর্যটকরা।

আগের পোস্টঅভিযুক্ত ও অযোগ্য কর্মকর্তাদের পাহাড়ে শাস্তিমূলক বদলি: পার্বত্য চট্টগ্রাম সমিতির প্রতিবাদ।
পরের পোস্টসাজেকে সেনাবাহিনীর নিরলস প্রচেষ্টায় যান চলাচল স্বাভাবিক।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন