কুকি-চিন কারা?

0
ছবি সংগৃহীত: কুকি নারীরা ঐতিহ্যবাহী পোশাকে

কুকি-চিন কারা – এই বিতর্কের অবসান ঘটাতে প্রথমেই কুকি জনগোষ্ঠীর ইতিহাস জানা প্রয়োজন। কুকি ও লুসাই শব্দের উৎপত্তি সম্পর্কে শ্রী রমাপ্রসাদ দত্তের গবেষণামূলক লুসাই কুকিদের ইতিকথা বইটি থেকে জানা যায়, ‘লুসাই’ শব্দটি বর্তমান সময়ে ব্যাপক অর্থ বহন করছে। ‘লুসাই’ বলতে এখন বহু পরিবারের মানুষকে বোঝানো হয়। ‘লুসেই’ শব্দটির ভুল ট্রান্সলিটারেশনের ফলেই ‘লুসাই’ শব্দের উৎপত্তি। ‘লুসেই’ হলো বংশের নাম। এই বংশ থঙ্গুর, পড়ুআও, ছংতে, ছোংতে, ছোআছেং প্রভৃতি অনেক পরিবারে বিভক্ত। প্রত্যেক পরিবারেও রয়েছে বেশ কয়েকটি করে শাখা।

আজ যাদের আমরা মিজো বলি, তারাও লুসাইয়ের একটি শাখা। ত্রিপুরার জম্পুই পাহাড়ে যারা বাস করে, তাদেরকে আমরা মিজো বলে থাকি।

ক্যাপ্টেন সেক্সপীয়ার তাঁর গ্রন্থে সেখানকার অধিবাসীদের ‘লুসাই কুকি জাতীয়’ বলেছিলেন। সেই থেকে অ-মিজোদের কাছে মিজোরা লুসাই নামে পরিচিত। মিজোদের ভাষায় ‘কুকি’ মানে শিং। অতীতে মিজো ও অন্যান্য কুকিরা শিংযুক্ত টুপি পরত। তবে কুকিরা ‘কুকি’ বলতে বুঝত মস্তক শিকারী। মিজোদের ভাষায় ‘লু’ অর্থ শির, আর ‘সেই’ অর্থ বড়। কুকি ভাষাতেও ‘কুকি’র প্রতিশব্দ রয়েছে – তারা বলে ‘হায়েম’।

ছবি সংগৃহীত: মিজো কুকিদের একটি উৎসব থেকে

মিজোরা অনেকগুলি উপজাতিতে বিভক্ত। যেমন – লুসাই, মার, রংরাইতে, জাংতে, রাখমে, সাইলো, জদেং, থাংলিয়া, রিবোং, রাংখম (পাঁচুহীন), শিয়াক, কলনে, তাংজিরা ইত্যাদি। মিজোদের মধ্যে বহু কথ্য ভাষা আছে। এর মধ্যে লুসাই ভাষাই সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয়। মিজোদের কোনো ভাষারই নিজস্ব বর্ণমালা নেই। খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারকেরা লুসাই ভাষাকে রোমান হরফে ট্রান্সলিটারেশনের মাধ্যমে অক্ষরীকরণ করে মিজো অধ্যুষিত অঞ্চলে প্রচলন করেছেন। মিজো ছেলে-মেয়েরা রোমান হরফে লুসাই ভাষার ইতিহাস ও ভূগোল অধ্যয়ন করে। লুসাই ভাষায় ‘x’, ‘y’ ও ‘a’ এর ব্যবহার নেই।

উপরোক্ত ইতিহাসভিত্তিক তথ্য উপাত্ত ও অন্যান্য গবেষণামূলক তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, লুসাই বা কুকি জাতীয় জনগোষ্ঠীর সঙ্গে বম জনগোষ্ঠীর কোনো প্রকার সরাসরি সম্পৃক্ততা নেই। কুকি-লুসাই জনগোষ্ঠীর অনেক শাখা-প্রশাখা আছে। সেসব শাখা-প্রশাখায় বম জনগোষ্ঠীর অস্তিত্ব নেই। গোষ্ঠীগত বা বংশপরম্পরায় কুকিদের কোনো শাখা নয় বম জনগোষ্ঠী। বর্তমানে ভারত ত্রিপুরা, মিজোরাম ও বাংলাদেশে কুকিদের অবস্থান। তবে উৎপত্তিস্থল ত্রিপুরা ও মিজোরামে। ভারতসহ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোতে এদের আদিনিবাস। এদের আদিনিবাস কোনোভাবেই বাংলাদেশে নয়। তারা যাযাবর হিসেবে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে বসতি স্থাপন করে। আর বম জাতির আবাসভূমি হচ্ছে মায়ানমারের চিন প্রদেশ। এখনো ইতিহাস ঘাঁটলে এটাই পাওয়া যাবে। সুতরাং বম জনগোষ্ঠী সরাসরি কুকি বা লুসাই জনগোষ্ঠীর কোনো শাখা নয়। অনুরূপভাবে কুকিদের মতো বমরাও পার্বত্য চট্টগ্রামে যাযাবর জনগোষ্ঠী হিসেবে বসতিস্থাপন করে। বমদের পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি দাবি বা ভূমিপুত্র হিসেবে কুকিল্যান্ড কিংবা কুকি রাজ্য দাবি কতটুকু ন্যায়সংগত, সেটা ইতিহাসই বলে দেবে। কুকিদের নামে পার্বত্য চট্টগ্রামে যে দুর্নাম আছে, তার কেন্দ্রবিন্দুতে কিন্তু বম জনগোষ্ঠী। সবসময় কুকি জনগোষ্ঠীর নাম ও পরিচয় বহন করে অপকর্ম করেছে এবং অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সঙ্গে বিরোধ তৈরি করেছে। বিষয়টি এতদিন ধরে অপ্রকাশিত থাকলেও চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য কুকিরা বম জনগোষ্ঠী থেকে সৃষ্ট কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)-এর সন্ত্রাসবাদ ও অশান্তির দাবানল সৃষ্টিকে দায়ী করে আসছে।

বম জনগোষ্ঠীর উৎপত্তি ও পরিচয় সম্পর্কে ইতিহাসের পাতা থেকে—

ঐতিহাসিক তথ্য বিচার-বিশ্লেষণ করে জানা যায়, মায়ানমারের চিন প্রদেশে বসবাসরত চিনভিত্তিক লাই জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত বেশ কয়েকটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী আছে। এসব জনগোষ্ঠী লাই জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। আর বম জনগোষ্ঠীও চিনভিত্তিক লাই জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। এই বম জনগোষ্ঠী মূলত চিন জনগোষ্ঠী, কুকি জনগোষ্ঠী নয়। ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে, লাই তথাকথিত চিন-কুকি-মিজো প্রভাবশালী উপজাতিগুলোর মধ্যে একটি। উপজাতি পরিচয় বিচারে তারা এক হলেও বংশগত ও জন্মগত পরিচয়ে এক নয়। বম জনগোষ্ঠী যে কুকিদেরই গোষ্ঠী বা বংশপরম্পরায় উৎপত্তি, এমন কোনো শক্ত প্রমাণ বমদের হাতে নেই। চিন লাই জনগোষ্ঠী কুকি জনগোষ্ঠীর সঙ্গে উপজাতি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার বিষয় নিয়ে নানা বিতর্ক ও মতবাদ আছে। উপজাতি পরিচয়ে বা স্বীকৃতিতে সমগ্র পৃথিবীর সব উপজাতির সংজ্ঞা এক – এটা ঠিক। তবে গোষ্ঠীগত, বংশপরম্পরায়, বর্ণগত, ভাষাগত, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যগত দিক থেকে উপজাতিগুলো একে অপরের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। সবার স্বস্ব পরিচয় আছে। সুতরাং মায়ানমারের চিন প্রদেশের লাই জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত চিন পরিচয়ের বম জনগোষ্ঠী আর কুকি জনগোষ্ঠী এক নয়। কেউ যদি কুকি শব্দের সঙ্গে চিন শব্দ যুক্ত করে ‘কুকি-চিন’ পরিচয় বহন করেই ভারতের বিশাল মিজো কুকি ও বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের কুকিভুক্ত জাতিগোষ্ঠীর অধিকার সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে অসাংবিধানিক স্বায়ত্তশাসন দাবির পক্ষে কথা বলে, তখন সেটা কুকিভুক্ত জনগোষ্ঠীর দাবি নয়। তখন সেটা হয় উদ্দেশ্যমূলক প্রতারণা। অস্ত্র হাতে নিয়ে সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে নিজেদের কুকি-চিন দাবি করা যেমন হাস্যকর, তেমনি কুকিভুক্ত জনগোষ্ঠীর নাম ব্যবহার করাও অর্থহীন। ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মায়ানমারের চিন প্রদেশের চিনভিত্তিক লাই জনগোষ্ঠীর বম জনগোষ্ঠী কুকি জাতি নয় এবং কুকি-চিনও নয়। কুকি-চিন সামগ্রিকভাবে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী দ্বারা উপজাতি হতে পারে, কিন্তু কুকি-চিন গোষ্ঠীগত বা বংশপরম্পরায় কোনো একক জাতি নয়। কুকি-চিন শব্দটি একটি ভুল শব্দ তা বলছি না, তবে এটিকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রচার করা হয়েছে। যেমন চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরাদের স্ব-পরিচয় আছে। সামগ্রিকভাবে তারা উপজাতি হলেও একই গোত্র বা বংশপরম্পরায় নয়। কুকিদের পরিচয় হবে কুকি বা লুসাই আর বমদের পরিচয় হবে চিন বম জনগোষ্ঠী। কুকি-চিন কোনো একক গোষ্ঠী বা বংশপরম্পরার জাতি নয়। এছাড়াও বমরা মায়ানমারের চিনভিত্তিক লাই জনগোষ্ঠী (মায়ানমারে চিন, ভারতে পাওয়ি নামে পরিচিত)। তারা কীভাবে পাহাড়ে কুকি জাতীয়তাবাদের ধারণা করে? চিনভিত্তিক লাই জনগোষ্ঠীর নামটি কুকি জাতির সঙ্গে জড়িয়ে তারা কুকি-চিন জাতিভুক্ত দাবি করছে। বমদের উৎপত্তি মায়ানমারে হলেও সেখানেই এখন সবচেয়ে কমসংখ্যক বমদের দেখা যায়। সবচেয়ে বেশি দেখা যায় বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচিতে। ধারণা করা হয়, সেখানে তারা জাতিগত নিপীড়নের শিকার হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে অগ্রসর হয়েছে। একে তো যাযাবর জনগোষ্ঠী, অন্যদিকে উগ্র ও সাম্প্রদায়িক পরিচায়ক হিসেবে বিভিন্ন স্থান থেকে তারা নিপীড়নের মাধ্যমে বিতাড়িত হচ্ছে। স্থানীয় অধিবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে অন্যান্য জনগোষ্ঠীর দ্বারা বিতাড়নের মাধ্যমে ভূমি হারানোর শঙ্কা করছে বম জনগোষ্ঠী। হয়তো এই ভয় থেকেই বম জনগোষ্ঠীর একটি উগ্র অংশ নাথান বমের নেতৃত্বে বা ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠীর নীলনকশা বাস্তবায়নে কুকিভুক্ত জনগোষ্ঠীর নাম-পরিচয় হিসেবে ‘কেএনএফ’ ধারণ করে সশস্ত্র গেরিলা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কথিত অস্তিত্ব বিলীন হওয়া থেকে রক্ষার চেষ্টা করছে। সাধারণ বমদের সঙ্গে কথা বলেও তাদের ভূমি হারানোর শঙ্কার মনোভাব জানা গেছে। তাদের মধ্যে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যে, তারা পার্বত্য মাটি থেকে উচ্ছেদ হবে। এমনকি পার্বত্য চট্টগ্রাম একসময় তাদের স্বাধীন কুকিল্যান্ড ছিল – এমন গল্পও সাধারণ বমদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনো স্বার্থন্বেষী মহল বিশেষ উদ্দেশ্যেই এসব করছে বলে ধারণা করা হয়। তবে তাদের এই ভূমি হারানো বা বিতাড়নের আশঙ্কা একদম সত্য নয়। কারণ বাংলাদেশের জনগণ এবং সরকার প্রতিটি উপজাতি জনগোষ্ঠীর অধিকার বিষয়ে আন্তরিক। পাহাড়ে প্রতিটি জাতি যেন তার অধিকার নিয়ে বাঁচতে পারে, সরকার সে মানসেই কাজ করছে।

ছবি: কেএনএফ এর সভাপতি নাথান বম ও তার সশস্ত্র সদস্যরা

যদি যুক্তির খাতিরে নিরপেক্ষভাবে বলি, কুকি-চিন পরিচয় ছাড়াও উপজাতি জনগোষ্ঠী হিসেবে চিনখ্যাত বম জনগোষ্ঠীর সন্ত্রাসীরা কুকি বা কুকি-চিনদের অধিকার প্রসঙ্গে সশস্ত্র আন্দোলন করে থাকে, তাহলে কি উপজাতি বিচারে বাংলাদেশের ৪৫টি উপজাতির জন্যও আন্দোলনের মাধ্যমে দাবিদাওয়া পেশ করা উচিত নয়? পাহাড়ে ১৩টি উপজাতি জনগোষ্ঠীর বসবাস, তাহলে বম জনগোষ্ঠীর কথিত কেএনএফ কেন শুধুমাত্র কুকিভুক্ত ৬টি জনগোষ্ঠীর জন্য সশস্ত্র আন্দোলন করছে? এই আন্দোলন কি ১৩টি উপজাতি জনগোষ্ঠীর জন্য সামগ্রিকভাবে হওয়া উচিত নয়? শুধুমাত্র উপজাতি পরিচয় থেকে যদি চিনভিত্তিক লাই জনগোষ্ঠীর বম জনগোষ্ঠী কুকিদের অংশীদার হতে পারে, তাহলে নৃতাত্ত্বিক বিচারে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তংচঙ্যাসহ অন্যান্য উপজাতি অংশ হতে পারবে না কেন?

ছবি: কেএনএফ এর নারী সশস্ত্র টিমের সদস্যরা

বম কেএনএফের দাবিদাওয়া অন্তরালে কী আছে? আর আমরা কেন বলি কুকি-চিন আর ‘বম জনগোষ্ঠী থেকে সৃষ্ট’ কথিত কেএনএফ বংশপরম্পরায় এক নয়, তার বাস্তবিক ব্যাখ্যা –

পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ১৩,১৯৩ বম জনগোষ্ঠী রয়েছে। বম থেকে সৃষ্ট মাত্র ১ হাজার বম সন্ত্রাসী কীভাবে ৭৬,৫৮১ জন কুকি জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি হতে পারে? এটা কী হাস্যকর নয়? উপর্যুক্ত তথ্যপ্রমাণ থেকে স্পষ্ট যে কুকি-চিন কোনোভাবে বম কেএনএফ নয়। আর বমদের কথিত কেএনএফ যে অস্ত্রবাজি, চাঁদাবাজি, খুনখারাপি ও অপহরণ বাণিজ্যের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে অরাজকতা তৈরি করে এই অঞ্চলের ৯টি উপজেলাকে বিচ্ছিন্ন করতে চায় এবং অনেকগুলো উপজাতি জনগোষ্ঠীর অধিকার কেড়ে নিতে চায়, তার বাস্তব প্রমাণ হলো – বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের আয়তন এক-দশমাংশ। খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি এবং বান্দরবান এই তিন পার্বত্য জেলার আয়তন ১৩,২৯৫ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ১৮ লাখ ৪২ হাজার ৮১৫ জন। এই বিপুল জনগোষ্ঠীর মধ্য থেকে চিনভিত্তিক লাই অন্তর্ভুক্ত বম জনগোষ্ঠীর ১৩,১৯৩ জন মানুষের জন্য কী পার্বত্য চট্টগ্রামের ৯টি উপজেলা প্রয়োজন? পার্বত্য চট্টগ্রাম ১৩,২৯৫ বর্গকিলোমিটার থেকে বান্দরবান জেলার ৭টি এবং রাঙামাটি জেলার ২টি মিলে মোট ৯টি উপজেলার আয়তন বাদ দিলে, অবশিষ্ট আয়তনে কি ১৮ লাখ ৪২ হাজার ৮১৫ জন মানুষ বসবাস করতে পারবে? বান্দরবানে বিপুল সংখ্যক মারমা, ত্রিপুরা, তংচঙ্যা ও কুকি জনগোষ্ঠীর বাস। তারা কী ১৩,১৯৩ বম জনগোষ্ঠীর কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করবে? নিঃসন্দেহে না। বম জনগোষ্ঠীর কথিত কেএনএফ যে কতটা উগ্র সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন, তা তাদের একপেশে দাবিদাওয়া ও সন্ত্রাসবাদমূলক কর্মকাণ্ড থেকেই স্পষ্ট। সুতরাং তাদেরকে কুকি-চিন বা কুকিভুক্ত জনগোষ্ঠীর সংগঠন মনে করার কোনো অবকাশ নেই। বরং তারা বম জনগোষ্ঠী থেকে সৃষ্ট একটি সন্ত্রাসী সংগঠন – এ পরিচয়টুকুই যথাযথ।

ছবি: কেএনএফ কর্তৃক তৈরি কল্পিত কুকিল্যান্ডের ম্যাপ

লেখক: রাঙামাটি থেকে, ২৪/০৭/২০২৫ খ্রিঃ

আগের পোস্টসাজেকে সেনাবাহিনীর নিরলস প্রচেষ্টায় যান চলাচল স্বাভাবিক।
পরের পোস্টপার্বত্য অঞ্চলকে ‘খ্রিস্টান রাজ্য’ বানানোর জন্যই ঢাকায় মানবাধিকার মিশন, অভিযোগ জমিয়তের।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন